১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`
ব ই আ লো চ না

মুক্তিযুদ্ধ ইতিহাসের এক অনন্য দলিল

সিরাজগঞ্জ জেলার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস
-

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে সিরাজগঞ্জ অতি গুরুত্বপূর্ণ জেলা। মুক্তিযুদ্ধের সময় এ জেলা পাবনা জেলার ১টি মহকুমা ছিল। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রকাশিত হয়েছে ড. আশরাফ পিন্টু সম্পাদিত ‘সিরাজগঞ্জ জেলার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস’। ৪৬৪ পৃষ্ঠার এই বইখানি প্রকাশ করেছে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান গতিধারা।
‘সিরাজগঞ্জ জেলার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস’ গ্রন্থ ১৪টি অধ্যায়ে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম অধ্যায়ে ‘সিরাজগঞ্জ জেলার সাধারণ বিবরণ’-এ আছে- জেলার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস, নামকরণের ইতিহাস, জনসংখ্যা, প্রশাসনিক এলাকা, নির্বাচিত প্রতিনিধি, ভূ-প্রকৃতি, জলবায়ু, কৃষি, শিল্প, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, নদ-নদী, জনজীবন, সিরাজগঞ্জের জমিদার, পুরাকীর্তি ও দর্শনীয় স্থান, সিরাজগঞ্জের মুক্তিযুদ্ধের বিবিধ বিবরণ ইত্যাদি।
দ্বিতীয় অধ্যায়ে ‘আন্দোলনে-সংগ্রামে সিরাজগঞ্জ জেলা’-এ সিরাজগঞ্জে মধ্যযুগ ও আধুনিক যুগের প্রারম্ভে সঙ্ঘটিত বিভিন্ন আন্দোলন ও বিদ্রোহের সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হয়েছে। এর মধ্যে আছে- ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহ, কৃষক বিদ্রোহ, নীল বিদ্রোহ, সিপাহি-বিদ্রোহ, স্বদেশি আন্দোলন, সলঙ্গা আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন ইত্যাদি।
তৃতীয় অধ্যায় থেকে একাদশ অধ্যায় পর্যন্ত সিরাজগঞ্জ জেলার ৯টি উপজেলার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস (উপজেলাভিত্তিক) আলোচনা করা হয়েছে। আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে আছে- বিভিন্ন উপজেলায় সংগ্রাম কমিটি ও শান্তি কমিটি গঠন, মুক্তিযোদ্ধাদের সশস্ত্র সংগ্রাম, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গণহত্যা, শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি, মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভের বর্ণনা ইত্যাদি।
দ্বাদশ অধ্যায়ে ‘সিরাজগঞ্জ জেলার মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের কথা’-য় মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষকারীদের স্মৃতিচারণ এবং রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের সাক্ষাৎকার বর্ণিত হয়েছে। এখানে মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযুদ্ধের নানা বিচিত্র ঘটনার স্মৃতিচারণ করেছেন, দিয়েছেন সাক্ষাৎকার। তাদের স্মৃতিচারণ ও সাক্ষাৎকারের মধ্য দিয়ে উঠে এসেছে মুক্তিযুদ্ধের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও নাটকীয় ঘটনাবলী। এ ছাড়া যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ দেখেছেন, ওই সময় তারা কিশোর তরুণ ছিলেন; তাদের স্মৃতিচারণেও মুক্তিযুদ্ধের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে।
ত্রয়োদশ অধ্যায়ে সিরাজগঞ্জ জেলার বরেণ্য মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকদের সংক্ষিপ্ত জীবনী বর্ণিত হয়েছে। উল্লেখ্য, বরেণ্য ব্যক্তিদের পরিচিতি সাজানো হয়েছে আভিধানিকভাবে।
চতুর্দশ অধ্যায়- ‘বিবিধ’-এর মধ্যে আছে- মুক্তিযুদ্ধে বিদেশী বন্ধুদের অবদান, ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে বিশ্ববরেণ্য শিল্পীসমাজ, ভারতীয় পত্র-পত্রিকায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের খবর, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার তালিকা, সিরাজগঞ্জে বিহারি সহিংসতা, সিরাজগঞ্জ জেলার মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সাহিত্য ইত্যাদি।
ইতোপূর্বে সিরাজগঞ্জ জেলার মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কিছু বই বেরিয়েছে তবে সিরাজগঞ্জের ৯টি উপজেলা নিয়ে উপজেলাভিত্তিক কোনো বই বের হয়নি। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের অনেক দুর্লভ ছবি রয়েছে বইটিতে যা ইতোপূর্বে কোনো বইতে লিপিবদ্ধ হতে দেখা যায় না। সর্বোপরি
বইটির বহুল প্রচার কামনা করি।


আরো সংবাদ



premium cement
বিদেশে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর ৮ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি বৃষ্টিতে ভাসবে ভারত-বাংলাদেশ প্রথম টেস্ট! মিয়ানমার সীমান্ত কাঁটাতার দিয়ে ঘেরার সিদ্ধান্ত ভারতের ‘এক দেশ এক ভোট’ চালু করার দিকে আরো এক ধাপ এগুলো ভারত! সেই আফগানিস্তানের কাছে শোচনীয় হার দক্ষিণ আফ্রিকার ইউনূসের সাথে সাক্ষাত হচ্ছে না মোদির লেবাননে পেজারের পর ওয়াকি-টকি বিস্ফোরণে নিহত ২০, আহত ৪৫০ আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ গ্রেফতার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজায় আসলে কী হয়েছিল? মেয়াদবিহীন ইন্টারনেট প্যাকেজ চালু করুন : তথ্য উপদেষ্টা বহিরাগতমুক্ত ক্যাম্পাস গড়তে ঢাবিতে নামবে ‘মোবাইল কোর্ট’

সকল