৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১, ১৮ রজব ১৪৪৫
`

বিম্বিত ভাবনায় কদম

-

গেল শুক্রবারের মতো এ শুক্রবারেও শুক্রাবাদ মসজিদে জুমার নামাজে শামিল হয়েছে কদম। তার নিজের যেমন ঠিকানা নেই তেমন শুক্রবারের মসজিদেরও কোনো নির্দিষ্টতা নেই। যখন যেখানে যেমন সুবিধা। তবে পরপর দুই শুক্রবার একই মসজিদে জুমার নামাজ পড়ার চেষ্টা করে। অন্যদিনতো তার ছারখার। আজানের পরপর মসজিদে ঢুকলেও বসে একদম শেষ লাইনে।
খুতবার আগে ইমাম সাহেবের বয়ান চলছে। বয়ান মানে পাবলিক ধোলাই পর্ব। মোল্লা মৌলভী সাহেবরা অন্য সময় পাবলিক ধোলাই করার তেমন সুযোগ পায় না, শুক্রবার ছাড়া ওয়াজ নসিহতের সুযোগ মিলে না। কথার মধ্যে ভেজাল নাই, আল্লাহ রাসূলের বাণীর মধ্যে তঞ্চকতা নাই, ধোলাই পর্বে মুসল্লিদের অংশ গ্রহণের সুযোগ নাই। সব কথাই অতি দরকারি, ঈমানি বলয়ের এবং ভাষ্যকার একজনই।
হে মমিন মুসলমানেরা, শুক্রবারে মসজিদে জায়গা ধরে না। চারতলা মসজিদের ছাদেও ঠাঁই নাই। রাস্তার মধ্যেও ছালা বিছিয়ে নামাজের জায়গা করে দিতে হয়। এইসব মুসল্লিরা সপ্তাহের অন্যদিন কই থাকে? বুঝলাম, কাজে কামে ব্যস্ত থাকে আবার অন্যদিন ছুটি ছাটাও সবার নাই। তাই বলে ওয়াক্তিয়া নামাজে নিচতলায় মুসল্লির কমতি থাকে। এটা মানা যায় না।
জামাতের ফজিলত সবার জানা। দিলেরে কেন মাহরুম করেন? আজ বাসায় ফিরবেন নিশ্চয়তা আছে? গেল সপ্তাহে কয়বার ইন্না লিল্লাহ্ পড়েছেন? তিনবার। তিনজন মুসল্লি আল্লাহর দুনিয়া ছেড়ে গেছেন। সুস্থ সবল মানুষ। বয়স তো তেমন হয় নাই। আপনাদেরই পড়শী। মনে করবেন না দাড়ি পাকলেই আজরাইলে টোকা মারবো। না না হায়াত মউত আল্লাহর হাতে। ডাক পড়বো যাইতে হইবো। খালি তো মনেরে বুঝ দেন কাইল থেইক্যা নিয়মিত নামাজ পড়বেন। পড়েছেন? কত কাইল পার হইলো। এটাই শয়তানের ফেরেক। বুঝতে অইবো সাবধান!
আরেকটা কথা, কথাটা কঠিনভাবেই শুনেন। মসজিদ কমিটির অনুমোদন আছে। গত এক মাসে মসজিদের দোতলায় দুইখান ঘড়ি চুরি গেছে। হর হামেশাই মুসল্লিদের জুতা স্যান্ডেল চুরি যায়। একটা চোরও ধরা পড়ে নাই। কমিটির অনুমতি নিয়া দশ জোড়া চোখ লাগাইছি। খা-লি একটাকে পাকড়াও করতে পারলে পুলিশে দিমু পরে, হাড্ডি, মাংস এক কইরা তারপর। গজারির লাঠি চাইরটা আনছি। এমন মার দিবাম? লাঠি ভাইঙ্গা ফালামু মগর...
ইমাম ছাহেবের গোসসার প্রতিফলন তার আঞ্চলিক ভাষার সাথে উর্দু কনিকার উদগিরণে মুসল্লিরা একটুখানি না হেসে পারলেন না।
দোতলায় শেষ লাইনে বসা কদমের শির দাঁড়া বেয়ে যেন কাতু কুতু বয়ে যায়। পিঠের মোড়ামুড়ি ভেঙে স্বস্তি পায় না। পাবলিকের মাইর জীবনে বহুবার খেয়েছে। একটু রক্ত বাইর করতে পারলেই বেঁচে যায়। পাবলিক তখন মার ছেড়ে পালায়। তবে বহু দিন থেকে ফাঁক গলিয়ে ধোলাই থেকে বেঁচে যাচ্ছে। বুদ্ধি বিবেচনায় জীবনের ফাঁকগুলো চিনে নিয়েছে।
মাঝখানে খারাপ ছিল না। পেটে-ভাতে বাড়তি যোগ মাসে সাড়ে তিনশ’ টাকা। একলা মানুষ। মতিঝিল ব্যাংক পাড়ায় ফুটপাথ দখল করে আবুল মিয়ার পেঁয়াজু আর ছোলার দোকান। দোকানের নাম নাই। ফুটপাথে তেরপাল টাঙিয়ে কুরিয়ার সার্ভিসের কোনাটা দখল করে জমিয়েছে বেশ। সকাল দশটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত। দু’টো গ্যাসের চুলায় ফুটন্ত কড়াইতে ডালপুরি, আলুপুরি, পেঁয়াজু, বেগুনি। অন্য চুলায় সারাক্ষণ ছোলাভাজি।
বেলা বারোটার মধ্যে তিন কড়াই ছোলা শেষ। কদম, আলী, খবীর একই বয়েসী তিন দোস্তের কাজ খালি পাবলিকের হাতে প্লাস্টিকের কোয়ার্টার প্লেটে দশ টাকার ছোলা ধরিয়ে দেয়া, কেউ চাইলে পেঁয়াজু, আলুপুরি যোগ করে।
বিল্ডিং-এর গা ঘেঁষে চার ইঞ্চি চওড়া একটা বেঞ্চিতে চারজোড়া কাস্টমার বসা। অন্যেরা দাঁড়িয়ে ঘপাঘপ খাচ্ছে প্লাস্টিকের চামচে। স্টিলের চামচ হলে ডজনে দিনে চারটা মার। মালিক বুদ্ধি করে দশ পয়সা দামের প্লাস্টিকের চামচ ধরিয়ে দিয়েছে। পুঁজি কম, লাভের উপর লাভ। পাবলিকের খাওয়া দেখলে হাসি পায় কদমের। গলায় টাই, কোমরে ঝুলন্ত আইডি কার্ড, ঝকঝকে ড্রেস, হাফ সাহেব তার ভাষায়। ঘপাঘপ খায় আর এদিক ওদিক তাকায়। পরিচিতজন কেউ এসে পড়লে একটু লজ্জিত হয়ে বিগলিত আহ্বান, আরে দোস্ত আহ্ আহ্ আবুল মিয়ার কড়াইর স্বাদই আলাদা। খাইয়া দেহ না। আবার আইবা। হি-হি-হি করে একটু হাসিও যোগ করে। তার পর মানি ব্যাগ খুলে টাকা দিয়েই দৌড়। কেউ কেউ আত্মতৃপ্তি নিয়ে বলে ফুটপাথে খাওয়ার মজাই আলাদা আদি কবি-সাহিত্যিকদের আস্তানা। বলা যায় আড্ডার জমাট ব্যবস্থাপনা।
সকাল দশটা থেকে কাজের শেষ নেই কদমদের। প্লেট, চামচ ধোয়া, কড়াই থেকে পিতলের মাপা চামচ করে প্লেটে ঢেলে কাস্টমারের হাতে তুলে দেয়া, বিলের হিসাব দেয়া। বেশ চটপটে হয়ে উঠেছে ওরা। আলীর তোতলানো ভাবটা গেল না, হিসাবেও ভুল করে, মালিকের চটকনা ডেইলি দুই চারটা হজম করতে হয়। কাজের ফাঁকে ফাঁকে ওদের ফাও খাওয়া দাওয়াটাও সেরে ফেলে।
অন্য কোনো হোটেলে ঢুকলে শ’টাকার জায়গায় এখানে বিশ টাকায় ছোলা, পুরি, পেঁয়াজু মেরে অনেকেই মতিঝিলের সময়টা কাটিয়ে দেয়।
রাতে কমলাপুর রেল স্টেশনের বাইশ নম্বর পিলারটা ওদের তিন দোস্তের দখলে থাকে। মাঝে মধ্যে অন্য দলের সাথে হাতাহাতি হলেও দখলিস্বত্ব ওদেরই। স্টেশনের ঝাড়ুদার রতন লালকে সপ্তাহে এক প্যাকেট সিগারেট আর ডেইলি এক কাপ চা ধরিয়ে দিয়ে ওর আনুকূল্য পেয়ে যায়।
তিন দোস্ত হিসাব করে ডেইলি আবুল মিয়ার লাভ কত? এক বস্তা ছোলায় দুই দিন। কত প্লেট? কত টাকা? মাথায় গোলমাল বেঁধে যায়। ক্যাশ বাক্স ভর্তি টাকা। বড় বড় নোট সব আবুল মিয়ার পকেট আর কোমরে। ওদের মনে গোসসা পয়দা হয়। বড় নোট গোনার সময় আবুল মিয়া ওদের আড়াল করে রাখে। হালার খাচ্চর, আমরা কি চোর না ডাকাইত? আলীর এ কথায় কোনো তোতলামি ভাব নেই। নিজে নিজেই হেসে ওঠে। সকাল বেলা কদম সবে মাত্র চাটাই গোল করে রেললাইনের কাঁটা তারের বেড়ার ওপাশে রেখে এসেছে। বন্ধুদের দেরি দেখে খেপে যায়, হালারা অহনো বইসা রইছস্? মালিক তো দিবো হোগার মইদ্যে...
আলী নির্লিপ্ত, মুখ বাঁকা করে আগত ট্রেনের দিকে তাকিয়ে বলে আইজ যামু না। হালার আবুল মিয়ার হোটেল অচল কইরা দিমু।
কি কইলি আলী? ঐ ব্যাটা তোর তোতলামি গেল কই?
কইলামনা দোস্ত, হিসাব করতে গেলে তোতলামি আহে, অন্য সময় যায়গা। রেলের চাক্কার তলে।
ল, চল আজকা বেতন আনতে অইবো। মধুমিতায় দেখস্নাই কেমন পোস্টার টাঙ্গাইছে? আহ্-হা-রে আমাগো মোছ উঠে নাই তয় কী অইছে! দিলের মধ্যে তো উত্তাল পাতাল ঢেউ কি নাই?
খবীর উদাস হয়ে বলে আইজ কয় তারিখ? বেতন দিবো না মালিকে।
চাইয়াতো দেহি। নাইট শো মারুম। ল চল। কদমের কথা ওরা ফেলতে পারে না। দক্ষিণ কমলাপুরের কানা গলি দিয়ে দ্রুত চলে যায় ব্যাংক পাড়ায়।
মালিকের চেতনের সময়ের আগেই ওরা পৌঁছে যায়। কারিগর দু’জন তখনো ছোলা ভাজা শুরু করেনি। এরি মধ্যে ক’জন কাস্টমার বেঞ্চিতে বসে গেছে। বুকে জাপটে ধরা ফাইল। হালাগো ঘরে মনে হয় খাওন নাই। আমাগো মতনও অইতে পারে। খালি ফিটফাট তলেরটা নাই। বেতন চাইতেই মালিক খ্যাক্ খ্যাক্ করে ওঠে। দিনের আধা পার হয়। এরি মধ্যে সাদা পুলিশের আগমন। মালিক জোড়া খাম্বার আড়ালে দরাদারি করছে। কাস্টমার দু’জন পঞ্চাশ টাকার নোট দিয়ে ভাংতি ফেরত দিতে তাড়া দিচ্ছে। এ দিকে ক্যাশ বাক্সে হাত দিতে ওদের নিষেধ আছে। দু’একবার মালিকের নজর কাড়ার চেষ্টা করে কদম। মালিকের সাথে বনাবনি হচ্ছে না সাদা পুলিশের। আলীর ইশারায় কদম ক্যাশ খুলে শ টাকার নোট একটা পকেটে ভরে নেয়। মালিকের ফিরতি নজরে পড়ে যায়। খুন্তির গুঁতা আর বেলনের বাড়ির সাথে যোগ হয় চৌদ্দ পুরুষের কলঙ্ক গাঁথা। কদম দৌড়ে পালায়।
জমানো টাকায় তিন দিন পার করে। চতুর্থ দিন জুমাবার মসজিদে গিয়ে খোদার সাহায্য চায়। এতিম বালকের জন্য দয়া করো খোদা।
মসজিদের দান বাক্স ডানদিক থেকে ঘুরে আসে বামে। কদম লাইনের শেষ মাথায়। বাক্সের ডালা খুলে মুসল্লিরা টাকা দিচ্ছে, ভাংতি নিচ্ছে। কদমের মাথায় কাটতি বুদ্ধি চিলিক্ দিয়ে ওঠে। সকাল থেকে কিছুই খায়নি। ভেবেছিল নামাজ শেষে মসজিদের গেটে ভিক্ষুকের মতো হাত পাতবে। কিন্তু মন সায় দিলো না। হালার পচা কাম করবো হাত-পাওলা কদম!
বাক্সটা তার কাছাকাছি আসছে। বুক ঢিব ঢিব করছে। এই বুঝি দম বন্ধ হয়ে যায়। ডান পকেটে হাত ঢুকিয়ে মুষ্টিবদ্ধ হাত বের করে। বাক্সের ডালা খুলে বড় একটা নোট রাখার ভান করে। গুনে গুনে আশি টাকা তুলে নিয়ে ডালা বন্ধ করে দেয়।
পরের জুমাবার আবার সে মসজিদে। পরখ করে দেখে সমস্ত বাক্সে তালা মারা। তখুনি ভাবছিল, এ মসজিদ ছেড়ে পাশের মসজিদে যাবে। চোখ পড়ে সামনের দেয়ালে। মনে মনে ঘড়ির সাইজ পরিমাপ করে নিজের সার্টের দিকে তাকায়। নিশ্চিত হয়ে নামাজ শেষ করে অপেক্ষা করে। সামনের সারির মুসল্লিরা নেমে গেলে নাগালের মধ্যে থাকা ঘড়িটা খুলে সার্টের ভেতর লুকিয়ে তরতর করে নেমে যায় রাস্তায়। এবার শুরু হলো তার ভিন্ পথে যাত্রা। যেখানে বড় জামাত হয়, দাঁড়িয়ে যায়। সূযোগ মতো নতুন জুতা, স্যান্ডেল পায়ে বেরিয়ে আসে। দুবার ধরা খেয়ে ধোলাই খেয়ে মাফ পেয়ে যায়। কোন বেয়াক্কেল মুসল্লি কোনটা নাকে একটা ঘুষি, মারলেই রক্তাক্ত। ব্যাস, কাম ফতে। সবাই রক্ত দেখে পালায়। সে সুযোগে আচ্ছা করে চিল্লিয়ে কেঁদে নেয়।
সে দিন উত্তরার এক মসজিদে ইমাম সাহেবের বয়ান শুনে মনটা অপরাধী হয়ে ওঠে।
আপনি কী করছেন? প্রকাশ্যে, অপ্রকাশ্যে সব আল্লাহ দেখছেন। কারো হক নষ্ট করছেন? ফেরত দিতে হবে, না পারলে দোজখে জ্বলবেন। বান্দার হক আল্লাহ নিজেও মাফ করবেন না।
ভাবনার পেজকিতে আটকে যায় মন। একটা পবিত্রতার ছোঁয়া মনটাকে ভিজিয়ে দেয়। প্রতিজ্ঞা করে এ কাজ আর করবে না। খালি একটা বড় কড়াই মতিঝিল পাড়ায় বসাতে পারলেই হয়। আল্লার কাছে সাহায্য চায়। কিন্তু মানুষের হক কিভাবে ফিরিয়ে দিবে। কাউকে তো চিনে না। মসজিদের ঘড়ি, বাক্সের টাকা না হয় ফিরিয়ে দিলো কিন্তু পাবলিকের? কোনো মোল্লা মৌলভীর সাথে আলাপ করে বিষয়টা খোলাসা করে নিবে সে সাহসও হয় না।
একদিন সুযোগ পেয়ে যায় বাড্ডায় জামে মসজিদে এসে। নামাজ শেষে ভান করে যে তার নিজের স্যান্ডেল চুরি গেছে। শুনে হায় আফসোস করে খাদেম সাহেব। সাথে সাথে নাফরমান বান্দার উপর লানত বর্ষণ করেন। মসজিদের ঘড়ি নাই, বাক্সের টাকা নাই, মানুষের জুতা স্যান্ডেল...
কদম খাদেম সাহেবকে থামিয়ে দিয়ে বলে, এখন আমার কী হবে? আমার স্যান্ডেল? চোর দুনিয়া আখিরাত দুটোতেই ধরা খেয়ে বসে আছে। চুরিতো চুরিই। চোরের শাস্তি ইসলামের বিধানে হাত কাটা। কদমের কলজেটা একটা শক্ খেল। কদম আবার প্রশ্ন করে এবার চোরের মুক্তির কী উপায় হুজুর?
জুতা স্যান্ডেল ফেরৎ দিবে। মালিক না পেলে তার মূল্য কোনো মসজিদে দান করে দিলেও হবে। আর না হয় তুমি যদি মাফ করে দাও। তা কত দামের স্যান্ডেল তোমার? জবাব প্রত্যাশা না করে আফসোস করে বলেন, গেল শুক্রবারে আমাদের এক মুসল্লির স্যান্ডেল চুরি হয়েছে। ভদ্রলোক মসজিদে বড় বড় দান করতেন। স্যান্ডেল জোড়ার দাম নাকি সাড়ে আট হাজার টাকা। আস্তে করে উচ্চারণ করেন আমার এক মাসের বেতনের চেয়েও বেশি। ভাবনা এতোক্ষণে কদমের কলজে কামড়ে ধরে। সেই দামি স্যান্ডেল জোড়া কদমই পাচার করেছে একটা শপিং ব্যাগে করে। গুলিস্তানের কাদির মিয়ার দোকানে দিয়ে এসেছে। খুব গরজ দেখায়নি দোকানদার। ব্যাটা বলে কিনা রেখে যা, বেচতে পারলে শ দুই টেকা পাবি।
সাড়ে আট হাজার টাকা! এক জোড়া স্যান্ডেলের দাম! দুইশত টাকার কতগুণ হতে পারে? এ গুনাহগারি দিতে হবে তাকে? অথচ সে পাবে মাত্র দুইশ’ টাকা। একবার ভাবে খাদেম সাহেবকে প্রশ্ন করে চোরে যদি দুইশত টাকা বিক্রি করে তা হলে কত দান করতে হবে? আবার ভাবে মুসল্লিতো চিহ্নিত হয়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে পুরো দামটাই শোধ করতে হবে নিশ্চয়।
কদম দ্রুত মসজিদ থেকে বের হয় খালি পায়ে। ছুটে যায় মেইন রোডে। গুলিস্তানের বাস ধরতে হবে। যদি স্যান্ডেল জোড়া বেচা না হয় ফেরৎ নিয়ে আসবে। তারপর মসজিদে এক কোণায় রেখে দিবে। নিশ্চয় মালিকের কাছে পৌঁছে যাবে। এতোটা দায় বহন করা তার পক্ষে সম্ভব নয়।


আরো সংবাদ



premium cement
রংপুর প্রেসক্লাবের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা, নতুন প্রশাসক নিয়োগ সৌদি যাওয়ার পথে অসুস্থ হয়ে দুবাই হাসপাতালে লুৎফুজ্জামান বাবর ব্রিকসের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের হিলি স্থল বন্দরে ৬ মাসে ৩১৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল-আরোহী নিহত পাকুন্দিয়ায় অটো-বাইকেরচাপায় নারী নিহত ‘গরুর ডিম’ খাওয়ার পরামর্শ দিলো এআই, কঠোর হলো সরকার বুড়িগঙ্গা নদী পুনরুজ্জীবিত করতে টাস্কফোর্সের পরামর্শ প্রতিবেদন বিশ্ব ইজতেমায় লাখো ধর্মপ্রাণ মুসল্লির জমায়েত নোয়াখালীতে জামায়াত ইসলামীর মিডিয়া সমাবেশ অনুষ্ঠিত সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে

সকল