২১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭ মাঘ ১৪৩১, ২০ রজব ১৪৪৬
`

কাজী নজরুল ইসলাম : জাতীয় কবি স্বীকৃতি গহীনের গল্প

কাজী নজরুল ইসলাম : জাতীয় কবি স্বীকৃতি গহীনের গল্প -

‘হে প্রিয়, আমারে দেবো না ভুলিতে’। তোমারে যে ভোলা-ই গেল না প্রিয়। তোমারে যে, ভোলা যায় না। মানুষের হৃদয় থেকে, রেটিনার পটকক্ষ থেকে আকারে প্রকারে কতশতভাবে তোমাকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে মোছা যায়নি। কোটি কোটি মানুষের চিন্তায়-চেতনায়, অস্তি-মজ্জায়, রক্ত-কণিকায় যিনি মিলেমিশে এক হয়ে আছেন তাকে মোছা যায় না। ভোলাতে চাইলেই তাকে ভোলা যায় না। তিনি তো জাতপাত নির্বিশেষে প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে আসন পেতে আছেন পুরুষোত্তম সত্য। যার গান, কবিতা, গল্প, উপন্যাস, নাটক, গদ্য সাহিত্য বাংলা ভাষাকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। বাংলা ভাষা-সাহিত্যে একজনই কেবল সব মানুষের হয়ে উঠেছিলেন। সব জাতের, সব দেশের সব শ্রেণীর কবি ছিলেন তিনি।
তিনি আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম।
বাংলা ভাষা সাহিত্যে তার তুল্য কে আছে তেমন! এ মহান কবি ২৪ মে ১৮৯৯ সালে অবিভক্ত ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চুরুলিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ২৯ আগস্ট ১৯৭৬ স্বাধীন বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।
চির দুর্দম দুর্বিনীত এ কবির সংগ্রামমুখর জীবন এক অনন্য ট্র্যাজেডি। জন্মের পর থেকেই শত প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে হয়েছে তাকে। প্রতিশ্রুতিশীল এ কবি আজন্ম লড়ে গেছেন, হার মানেননি কোথাও। কেবল একবারই তিনি হার মেনেছেন প্রকৃতির কাছে ১৯৪২ সালে। সেবার অসুস্থতায় কবি বাকশক্তি হারিয়ে ফেলেন। তিনি আর বাকশক্তি ফিরে পাননি কোনো দিন। আর বাংলাদেশেও কবির আশা হয়নি। দেশ ভাগের পর অসুস্থ কবি কলকাতায় থেকে যান। মাত্র ২২-২৩ বছরের সাহিত্য সাধনা কবিকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। নিখিল ভারত বাংলার কাণ্ডারি হয়ে উঠেন তিনি। তিনি হয়ে উঠেন অবিভক্ত ভারতের জাতীয় কবি।
১৯২৯ সালের (সম্ভবত) ১৫ ডিসেম্বর তৎকালীন কলকাতার এলবার্ট হলে এক সভায় জড়ো হয়েছিলেন নিখিল ভারতের প্রথম সারির নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা। তাদের অন্যতম ছিলেন নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু, বিজ্ঞানী আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়, সাহিত্যিক এস ওয়াজেদ আলী, দীনেশ চন্দ্র দাস প্রমুখ। উদ্দেশ্য, বাঙালি জাতির পক্ষ থেকে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবি ঘোষণা। তখনো কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবিত। তার জীবদ্দশায় সেদিনের সভায় কাজী নজরুল ইসলামকে তার অসামান্য সৃষ্টির জন্য জাতীয় কাণ্ডারি এবং অবিভক্ত ভারতের জাতীয় কবি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। সেই থেকে কাজী নজরুল ইসলাম গণমানুষের চিন্তায় চেতনায় জাতীয় কবি হলেও এর মূলে কোনো রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ছিল না। বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৭২ সালের ২৪ মে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের আগ্রহে অসুস্থ কবিকে সপরিবারে ঢাকায় নিয়ে আসা হয় এবং কবির বসবাসের জন্য ধানমন্ডির ২৮ নং সড়কের ৩৩০ নম্বর বাসাটি বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু, কবিকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেয়া হয়নি। সরকারি আচার-অনুষ্ঠানে তাকে জাতীয় কবি হিসেবে উল্লেখ করা হলেও রাষ্ট্রীয়ভাবে কবিকে স্বীকৃতি দেয়া হয়নি।
পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাসনামলে ১৯৭৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি কবিকে সপরিবারে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেয়া হয় এবং একই বছর তাকে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়। এর কিছু দিন পর একই বছর ২৯ আগস্ট কবি পরলোক গমন করলে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়। কবির চলে যাওয়ার পর থেকে আজ অবধি রাষ্ট্রের আচার-অনুষ্ঠানে, নানা পার্বণে, পত্র-পত্রিকায়, এমনকি সরকারি দলিল দস্তাবেজ ও পাঠ্যপুস্তকে কাজী নজরুল ইসলাম জাতীয় কবি হিসেবে ভূষিত হয়ে এলেও অদৃশ্য কারণে কবিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে জাতীয় কবির স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। বাংলাদেশের সংবিধানের প্রথম ভাগে ৪ অনুচ্ছেদে জাতীয় সঙ্গীত, জাতীয় পতাকা, জাতীয় প্রতীক ইত্যাদি উল্লেখ থাকলেও ‘জাতীয় কবি’ বিষয়টির উল্লেøখ নেই। কারণ, নজরুল ইসলাম সাম্রাজ্যবাদের ঘোরতর শত্রু ছিলেন। আধিপত্যবাদ আর শোষণের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন উচ্চকণ্ঠ যার কারণে তাকে বিদ্রোহী বলা হতো। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশ গঠন ও পরিচালনায় পরদেশী আধিপত্যবাদীদের ভূমিকা ছিল প্রত্যক্ষ। বাংলাদেশের গড়পরতা ৯০ শতাংশ মানুষ মুসলিম। কাজী নজরুল ইসলাম মুসলিম। তাই, সেই আধিপত্যবাদীরা নজরুলকে না গিলতে পারছিল আর না ফেলতে পারছিল। নিদেন পক্ষে তাকে আড়াল করে রাখার অপকৌশলের আশ্রয় নেয়া হয়। ফলে, কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবি ঘোষণর বিষয়টি রাষ্ট্রপক্ষ নানান ছুতায় বারবার এড়িয়ে গেছে।
২০১২ সালের ২৫ মে কবি কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবি ঘোষণার নিমিত্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে একটি জাতীয় দৈনিকে একটি লেখা ছাপা হয়। দাবিটি সরকারের দৃষ্টিতে আনা হলে বেশ চতুরতার সাথে তা অগ্রাহ্য করা হয় এবং যুক্তি দেখানো হয়, নজরুল ইসলাম অলরেডি জাতীয় কবি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। তাই নতুন করে স্বীকৃতির কিছু নেই। এটি ১১ এপ্রিল ২০১২ সালের কথা। তখন আমি সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী অফিসার। এ ঘটনা অবহিত হওয়ার পর থেকে আমি এ বিষয়ে কাজ করার জন্য মানসিক প্রস্তুতি নিতে থাকি। এ ঘটনার আগে আমার কিংবা আমাদের অনেকের জানাই ছিল না, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি নেই। আমরা তো তাকে রাষ্ট্র স্বীকৃত জাতীয় কবিই জানি। বিষয়টি আলোতে আসার পর নজরুল ভক্তরা কোমর বেঁধে নামেন। ফলে, গণমানুষের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ১৯১৭ সালের ২৮ আগস্ট কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারির জন্য নজরুল ইনস্টিটিউট থেকে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে আবারো অনুরোধ করা হয়। এ যাত্রায়ও অনুরোধ অগ্রাহ্য করা হয় এবং যুক্তি খাড়া করা হয়, ২০১৮ সালের নজরুল ইনস্টিটিউট আইনের ধারা ২ এর উপধারা ৩-এ বলা হয়েছে- ‘কবি’ অর্থ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। কিন্তু কোন আইনের ভিত্তিতে তাকে জাতীয় কবি বলা হলো তার কোনো উত্তর পাওয়া গেল না; বরং নজরুল-বিরোধীরা নজরুল ইনস্টিটিউট আইনের ধারা ২ এর (৩) উপধারাকে জাতীয় কবির স্বীকৃতির বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করার কৌশল হিসেবে গ্রহণ করে।
একের পর এক উদ্যোগ ব্যর্থ হলেও নজরুল-ভক্তরা থেমে যায়নি। ২০২২ সালের ২৮ জুলাই কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিজ্ঞ আইনজীবী মো: আসাদ উদ্দিন গং মহামান্য হাইকোর্ট ডিভিশনে ৭৬৭১/২০২২ নং রিট পিটিশন দায়ের করেন। মহামান্য হাইকোর্ট ডিভিশনের শোকজের জবাবে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় রিটের বিষয়ে অনাপত্তি প্রকাশ করে বিস্তারিত জবাব দেয়। ‘কাজী নজরুল ইসলামকে কেন বাংলাদেশের জাতীয় কবি ঘোষণা করা হবে না’ এরূপ রুলের জবাবে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় জবাব দেয়- `No comments. Honourable court will decide the prayer’. সংস্কৃতি-বিষয়ক মন্ত্রণালয়, কার্যত কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশের জাতীয় কবি ঘোষণার বিষয়টি কোর্টের হাতে ছেড়ে দেয়। মানে সাপও মরলো লাঠিও ভাঙলো না। অনুতাপের বিষয় হলো- ১৬ অক্টোবর ২০২২ সালে অনাপত্তি দিলেও বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের বেঞ্চ এ বিষয়ে কোনো আদেশ দিতে বিরত থাকেন। সুযোগ থাকা সত্ত্বেও রিটের পক্ষে আদেশ না দিয়ে বস্তুত এটিই বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে যে, ওই বেঞ্চ গণমানুষের আকাক্সক্ষার প্রতি সম্মান প্রদর্শনে আগ্রহী নয়। বলাই বাহুল্য, স্বাধীনতার পর থেকে এদেশের একটি বিশেষ গোষ্ঠী কাজী নজরুল ইসলামকে আড়াল করার জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। তাদের ক্ষমতা এতটাই বেশি ছিল যে, কোটি কোটি মানুষের প্রবল চাপ থাকা সত্ত্বেও কাজী নজরুল ইসলামকে সরকারিভাবে বাংলাদেশের জাতীয় কবি ঘোষণা করা হয়নি।
অতঃপর, ৫ আগস্ট ২০২৪ পটপরিবর্তনের পর মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি। আমাকে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে উপসচিব পদে পদায়ন করা হলো। যদিও তা কাক্সিক্ষত পদায়ন ছিল না তথাপি আমি এই ভেবে খুশি হয়েছিলাম যে, এবার অন্তত কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারির কাজটি করতে পারব। ভাগ্য অনুকূলে ছিল। নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক কবি ও গীতিকার মো: লতিফুল ইসলাম শিবলী (তখন তিনিও সদ্য যোগদানকৃত) ভাইয়ের সাথে দেখা অতঃপর পরিচয়। সদা হাস্যোজ্জ্বল শিবলী ভাইকে দেখে তরুণ ও বেশ উৎসাহী মনে হলো। ভরসা পেলাম, কাজ করা যাবে- কাজী নজরুল ইসলামের পুত্রবধূ উমা কাজীর জন্মোৎসব উপলক্ষে নজরুল ইনস্টিটিউটে আমন্ত্রণ পেলাম। বিশেষ অতিথি। কথা বললাম মন খুলে। সুযোগ পেয়ে কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশের জাতীয় কবি ঘোষণাপূর্বক প্রজ্ঞাপন জারির বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বসি। যদিও কাজটি কঠিন। আমাকে যে, তা করতেই হবে।
শুরু হলো যাত্রা । যথারীতি শিবলী ভাইয়ের আবেদন । আবারো হোঁচট! দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব ‘কথা বলুন’ লিখে নথিটি নিচে নামিয়ে দেন। আমি তার সাথে দেখা করি এবং নথিটি নামিয়ে দেয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান, এ বিষয়টি ইতঃপূর্বে কেবিনেটে বহুবার উঠেছিল এবং এর কোনো প্রয়োজন নেই বিধায় ফেরত দেয়া হয়েছে। কাজেই, দু’বার একই বিষয় কেবিনেটে যাবে না। আমি বললাম, ‘যাবে- যেতে হবে। এটি নতুন বাংলাদেশ। এখানে নজরুল ইসলামকে আটকে রাখার সুযোগ হবে না।’ অতঃপর আমি সচিবের দায়িত্বে থাকা আতাউর রহমানের শরণাপন্ন হই। বগুড়ার মানুষ। অত্যন্ত সজ্জন। নিরহঙ্কার। তিনি বিষয়টির গুরুত্ব উপলব্ধি করলেন এবং নথিটি পুনরায় উত্থাপনের বিষয়ে আমাকে আশ্বস্ত করেন। পরবর্তীতে রীতিবিরুদ্ধ পন্থায় আমার রেফারেন্স ব্যবহার করে আমার নামে নথিটি পুনরায় উপস্থাপন করা হয়। আমি নথিটির পিছু অনুসন্ধান করতে থাকি এবং ঘাটে ঘাটে পারসু করি। নিজে সামারি তৈরি করি। সামারিতে দু’টি বিষয় উপস্থাপন করি-
১. কবি কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবি ঘোষণাপূর্বক প্রজ্ঞাপন জারি,
২. বাংলাদেশের সংবিধানের প্রথম ভাগে ৪ অনুচ্ছেদে বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে কাজী নজরুল ইসলামের নাম অন্তর্ভুক্ত করা।
বলে রাখা ভালো, বিষয়টি আমার কর্তৃত্বে না থাকলেও সামারি প্রস্তুত থেকে শুরু করে সব কাজ আমাকেই করতে হয়েছে। ২৪ নভেম্বর ২০২৪ উপদেষ্টা পরিষদের সভায় উপস্থাপনের নিমিত্ত সামারি প্রেরণে সক্ষম হই। অবশেষে, সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ৫ ডিসেম্বর ২০২৪ উপদেষ্টা পরিষদের সভায় কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশের জাতীয় কবি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারির প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। সংবিধানে অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি পরিষদের এখতিয়ারে নেই মন্তব্য করে পরবর্তীতে জাতীয় সংসদে উপস্থাপনের জন্য বলা হয়।
যাই হোক, প্রজ্ঞাপন জারির সম্মতিই কম কিসে যা আদায় করতে প্রায় ৫২ বছর লেগে গেল! অবশেষে, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ কাজী নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের জাতীয় কবি এই মর্মে সরকারি গেজেট প্রকাশিত হলো। আনন্দে আহ্লাদে মস্তিষ্কে ডোপামিনের ক্ষরণ বেড়ে গেল। বুকের ভেতর কেমন একটি স্বস্তির অনুভূতি পেলাম। আনন্দের সংবাদটি মুঠোফোনে শিবলী ভাইকে (নির্বাহী পরিচালক, নজরুল ইনস্টিটিউট) অবহিত করি। এ আনন্দ কার কাছে শেয়ার করা যায় ভাবছিলাম। মনের আয়নায় একটি ছবি ধরা দেয়। তিনি আর কেউ নন, নজরুলপ্রেমী, সাহসী কবি আবদুল হাই শিকদার। তাকে জানাতেই তিনি আনন্দে নড়চড়ে উঠলেন। আনন্দের সে দোলা ছড়িয়ে পড়েছিল যতদূর বাংলাদেশ ততদূর। অতঃপর শত সংগ্রাম শেষে ২০২৪-এ এসে কাজী নজরুল ইসলাম ‘বাংলাদেশের জাতীয় কবি’। রাষ্ট্র স্বীকৃত জাতীয় কবি।


আরো সংবাদ



premium cement