দিগন্ত সাহিত্যিক কবিতা
- ০৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
মা হ বু বু ল আ ল ম গো রা
মুখোশ
সবার মুখেই দেখছি মুখোশ আঁটা
আশে পাশে নেই কি চেনা মুখ!
ভর দুপুরে চলছি অন্ধ হয়ে
চোখ খুললেই হারিয়ে যাবে সুখ।
কার কাছে আজ কে লুকাতে চায়!
জনপদে ভয় দিয়েছে হানা,
অদৃশ্য চোখ রাখছে চোখে চোখে
মন খুলে আজ কইতে কথা মানা।
মনকে ঢাকা যায় না মুখোশ দিয়ে
মন তো থাকে বুকের মাঝে ঢাকা,
তার গতি কেউ রুখতে পারে নাতো
প্রলয় ঝড়েও অনিরুদ্ধ চাকা।
মুখোশ পরে চলবে কতদিন!
ভুলেই যাবে আত্মপরিচয়,
মনের সাথে মনকে কর যোগ,
রুখতে হবে রক্তচক্ষু ভয়।
হু সা ই ন আ ল ম গী র
মোটেই সে যাদুকর নয়
দৈত্যের উদর ছিন্ন করে কিছুক্ষণ পূর্বে
অতিশয় যত্নশীল ধাত্রীর কাফেলা
যে শিশুকে দেখালো সূর্যের আলো
সে এখন শুয়ে আছে জাদুকরের রুমালের নিচে....
আস্তিনে তার লুকানো ছুরি
ভেলকি দেখায়, বার বার বেজে ওঠে তুড়ি
শিশুটি কি তবে দ্বিখণ্ডিত হতে চলেছে?
নাকি নিমিষেই হয়ে যাবে সুতা-কাটা ঘুড়ি!
আমার ভীষণ ভয়
মোটেই সে জাদুকর নয়.......
হাতের আঙুলে তার প্রলম্বিত নখ
পাপড়ির নিচে তার লুকায়িত লাল লাল চোখ
কি রকম অদ্ভুত স্বর
হতে পারে সেই অতীতের দৈত্যের দোসর!
আমার ভীষণ ভয়
পাছে শিশুটির কিছু হয়.......
শিশুটিকে ফের গিলে খায় পুরোনো রাক্ষুস....
হে ধাত্রীর দল
এক্ষুনি, এক্ষুনি শিশুটিকে তুলে নাও কোলে
হাতছাড়া হতে পারে ভুলে
পাছে তোমরাও হতে পারো দৈত্যের খাবার।
হা রু ন ই ব নে শা হা দা ত
গোলাপ ফোটার আয়োজন
আমার গোলাপ বাগানের বুলবুলিটা আজ রক্তাক্ত
ওপারের শকুনেরা ময়ূর বেশে ঢুকে পড়েছে বাগানে
প্রিয়তমা তোমার হাতে তুলে দেয়ার মতো গোলাপ ফোটাব কোথায়?
রক্তাক্ত বুলবুলিকে বাঁচাতে পানি চাই কিন্তু বাঁধের ওপারে সব পানি
আসবে সেই বর্ষায় প্লাবন হয়ে ততদিন পাখিটা বাঁচবে
নাকি কষ্টে আর অভিমানে রক্তঝরা বুকে চলে যাবে দূরে, কেউ কি বলবে আমায়?
প্রিয়তমা তুমি কাঁদছো বুলবুলিটার শোকে নাকি ভয়ে
তোমার ভয় শোক কোনো কিছুই অকারণ নয় জানি আমি
বাগানের মালি রক্ষী সবাই মহা খুশী ময়ূর দেখে,
শকুনটা কি ওদের অচেনা?
পরম বান্ধবের মতো ওরা বুকে আগলে রেখেছে শকুন
অথচ নখের আঁচড়ে রক্তাক্ত হচ্ছে ওদের বুক তবুও ময়ূরসুখ
চিরচেনা বুলবুলিটার আর্তগানে ওদের ময়ূরসিংহাসন
হারানোর ভয় কারো কি অজানা?
বাগানটাই যাচ্ছে চলে হিংস্র শকুনের পাখনার আদরের ছলে
ওপারে ঐ বৃষভক্ত এক হিংস্র রাজার চিরদখলে গোলাপ
বুলবুলি পাখি আরো সুখের যত গান কিছু তো থাকছে না আমার,
নেই কি কেউ রুখে দাঁড়াবার?
প্রিয়তমা ভয় পেয়ো না আমার কোষমুক্ত তলোয়ার হায়দারি হাক
বারুদের গন্ধভরা বাতাস সবই তোমার
গোলাপ ফোটার আয়োজন লাল টকটকে রক্ত
তুমি কি নিবে না আমার ভালোবাসার রক্ত লাল?
বা ছি ত ই ব নে হা বী ব
একতাবোধক বাংলাদেশে
তোমার জন্যে এক উঠোন নরম রোদের কবোষ্ণ তরংগ জমা করে রেখেছি। আসন্ন বর্ষোদয়ে তোমার হাতে তুলে দেব বলে।
বিগত বসন্তে তুমি আমাকে এক প্রহর সায়াহ্ন উপহার দিয়েছিলে। মনে আছে নিশ্চয়?
চিরতারুণ্যে ভরপুর সেই প্রাচুর্য প্রহর আমার ভরাবর্ষা হৃদয়ে আলোর ঝলকানি হয়ে নামে।
এবার আমরা জোছনাজামা পরে তারকা গুনতে যাবো যুবারাতে। আমাদের সানন্দে বরণ করে নেবে, শুভেচ্ছা জানাবে মধ্যরাতের নদী।
ক্লান্ত হলে একটু জিরিয়ে নেবো। সমুজ্জ্বল সকালে
দেখব নতুন বাংলাদেশের মতো একটি সঘন সবুজ উদ্যান।
যত বেদনা- বিষাদ- যাতনা সব ভুলে যাবো। একতাবোধক বাংলাদেশে তুমি আমি হবো
প্রথম প্রেরণা উৎস।
শ হী দ সি রা জী
প্রেম ও দ্রোহ
প্রেম হলো মনোবনে ফোটা বোধফুল
দ্রোহ হলো হৃদ ফুলে কীট নির্মূল
প্রেম, দ্রোহে মোহ যদি হয় কর্পূর
পিছুটানে ইবলিস হয়ে যায় দূর!
আমার ভেতরে আছে প্রেম আছে দ্রোহ
তাই চোখে চোখ রাখি হয়ে নির্মোহ
ভালোবাসি দেশটাকে ভালোবাসি মাটি
দ্রোহীদের দ্রোহে দেশপ্রেম করি খাঁটি।
প্রেম যদি থাকে তুমি হবে মানবিক
প্রেম ছাড়া হয়ে যাবে জালিম অধিক
স্বৈরীতা রোধে যারা হয় খাঁটি দ্রোহি
মানবতা প্রেমে তারা হয় সদা জয়ী।
প্রেম আর দ্রোহ পারে বদলাতে দিন
এসো করি প্রেমে দ্রোহে পৃথিবী রঙিন।
মো হা ম্ম দ কু তু ব উ দ্দি ন
জলের বুকে জ্বলে
শুকনো পাতারা উড়ে উড়ে যায়, ফেরে না ভুলে
নদীর বুকে আছড়ে পড়া ঢেউ হারায় দু’কূলে ।
জীবনের তরি পাল তুলে ছোটে অজানা দিগন্তে
কিছু ভাবনা কিছু অনুভূতির রেশ হারায় স্রোতে ।
শূন্য তরী দু'হাতে ভরি ফেলে রাখা যাতনা
মানুষের সুখের মোহে শোকগীতি; থাক অজানা।
জলের বুকে জ্বলে অগ্নি শিখা; পোড়ায় জল
জলের চাদর বিছিয়ে তুলে নেয় ব্যথার অনল ।
রাতের ডাকে চাঁদের সাজ আঁধারের পর্বত সরিয়ে
জ্যোৎস্নায় ফড়িং নাচে, চাঁদের আড়াল কলঙ্ক জড়িয়ে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা