২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
বিশ্বসাহিত্যের টুকিটাকি

সোনালির বইতে সুনামির বর্ণনা

-

ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর লেখা শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিবিদ-শিক্ষাবিদ সোনালি দেরানিয়াগালার একটি স্মৃতিকথা বেশ পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে। তার এই বইটির নাম ‘ওয়েভ : লাইফ অ্যান্ড মেমোরিজ আফটার সুনামি’। ২০০৪ সালের ডিসেম্বরে ভয়াবহ সুনামি আঘাত হানে শ্রীলঙ্কাসহ ভারত মহাসাগরের তীরবর্তী কয়েকটি দেশে। তার পরই তিনি লেখেন এই বই। ভারত মহাসাগরের ভূমিকম্প এবং সুনামি সম্পর্কে তার স্মৃতিকথা (ঢেউ : সুনামির পরে জীবন ও স্মৃতি) প্রথম ২০১৩ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। পরে কিন্ডলে সংস্করণসহ একাধিক সংস্করণ হয়েছে। ২৬ ডিসেম্বর, ২০০৪-এর সকালে শ্রীলঙ্কার দক্ষিণ উপকূলে সোনালি সুনামিতে তার বাবা-মা, তার স্বামী এবং দুই ছোট ছেলেকে হারিয়ে অলৌকিকভাবে বেঁচে যান। এই সাহসী এবং খোলামেলা স্মৃতিকথায় তিনি সেই প্রথম ভয়ঙ্কর মুহূর্তগুলো এবং তারপর থেকে তার দীর্ঘ যাত্রা বর্ণনা করেছেন। তিনি একটি অনুভূতিহীন, সুন্দরভাবে সাজানো বিবরণ লিখেছেন। বইটিতে সুনামি উপকূলে আঘাত হানার আগে দেরানিয়াগালার জীবন-চিত্র বর্ণনা করা হয়েছে। কীভাবে এটি দুর্যোগের পরে নাটকীয়ভাবে পরিবর্তিত হয়েছিল। সেই বিপর্যয়ে সোনালি তার মা-বাবা, স্বামী ও দুই ছেলেকে হারান। এটি উত্তম পুরুষে আখ্যান শৈলীতে লেখা। ২৬ ডিসেম্বর ২০০৪ এর বিবরণ দিয়ে শুরু। বইটি সমালোচকদের ভালো সাড়া, ইতিবাচক পর্যালোচনা পেয়েছে আর লাভ করেছে বেশ কিছু পুরস্কার। ড. সোনালি দেরানিয়াগালা সুনামি থেকে তার পরিবারের একমাত্র বেঁচে থাকা ব্যক্তি। সে সময়ে তারা শ্রীলঙ্কার উপকূলে ছুটি কাটাচ্ছিলেন। বইটি শুরু হয় শ্রীলঙ্কার উপকূলে সৈকতের পাশের একটি হোটেলে তার পরিবারের সাথে লেখিকার অবস্থানের বর্ণনা দিয়ে। তিনি বইয়ের দ্বিতীয় লাইনে আসন্ন বিপর্যয়ের প্রথম ইঙ্গিত দিয়েছেন এভাবে ‘সমুদ্রটিকে আমাদের হোটেলের স্বাভাবিকের চেয়ে একটু কাছাকাছি দেখাচ্ছিল’। ডেরানিয়াগালা বর্ণনা করেছেন, কীভাবে কয়েক মিনিটের মধ্যে তার চোখের সামনে সবকিছু বদলে যায় এবং তার পরিবার হারিয়ে যায়। তারা ‘দূরে’ কোথাও ভেসে যায়। তিনি প্রায়ই পুরো বইজুড়ে তার ক্ষতি সম্পর্কে অকপটে লিখেন। ডেরানিয়াগালা উত্তাল তরঙ্গের আগের দিনের স্মৃতির বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি নস্টালজিক হয়ে পড়েন। সেই দিনগুলো ফিরে পেতে চান, কিন্তু ভাগ্য তা অনুমোদন করে না। সমালোচকরা এটিকে দুঃখের আখ্যান বলে উল্লেখ করেন। নিউইয়র্ক টাইমসের রিভিউয়ার লিখেছেন, বইটি পড়তে পড়তে তার চোখ পানিতে ভিজে গেছে। সোনালির জন্ম ১৯৬৪ সালে কলম্বোতে। তিনি এসওএএস সাউথ এশিয়া ইনস্টিটিউটে অর্থনীতির লেকচারার হিসেবে কাজ করছেন। তার পরলোকগত স্বামী অর্থনীতিবিদ স্টিফেন লিসেনবার্গ ব্রিটিশ পাবলিক পলিসি গবেষণায় বড় অবদান রেখেছিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement
পুড়িয়ে দেয়া ত্রিপুরা পাড়ায় পার্বত্য উপদেষ্টা ভোটার হওয়ার বয়স ১৭ বছর হওয়া উচিত : ড. ইউনূস অস্ট্রেলিয়ায় দাবানলে পুড়লো সিঙ্গাপুরের সমান এলাকা অভিশংসনের মুখে দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট ক্ষমতায় গেলে নারীদের যোগ্যতা অনুসারে কাজে লাগাবে জামায়াত : আমির কক্সবাজার জেলা আ’লীগ নেত্রী চট্টগ্রামে গ্রেফতার সিলেটে বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর দাফন রোববার : মেয়ে সামিরা মর্গে পড়েছিল পুত্রের লাশ, বাবা ছুটেছেন এক থানা থেকে আরেক থানায় কানু কান্ডে মসজিদের ইমামসহ ৪ জনের জামিনে মুক্তি আমাদের পেছনে ফেরার কোনো সুযোগ নেই : প্রধান উপদেষ্টা বেনাপোলে বাংলাদেশে অবৈধ ১৬ অনুপ্রবেশকারী আটক

সকল