মুঠোফোনে সংলাপ, তার কবিতা, মৃত্যু ও একটি পুরস্কারের গল্প
- জাকির আবু জাফর
- ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
মৃত্যুর ঠিক দু’দিন আগের কথা। কবিকে কল দিয়েছি মুঠোফোনে। একাধিকবার। রিংটোন বেজে বেজে দম ফুরিয়ে গেল। রিসিভ করলেন না তিনি। কিছুটা হতাশ হয়েছি বৈকি। অসুস্থতার বিষয়টিই শিস দিয়ে উঠলো মনে। দীর্ঘ দিন অসুস্থ তিনি। মাঝে মাঝে কিছুটা উন্নতি হলেও খারাপ অবস্থাই থাকে বেশির ভাগ। হয়তো তেমনই খারাপ অবস্থা আজও। রিসিভ করতে সমর্থ হননি কেন এ জিজ্ঞাসা মনের ভেতর উঁকিঝুঁকি দিচ্ছিল বারবার। একধরনের শঙ্কা সন্দেহের দড়ি পাকাচ্ছে মনের কোণে। ভাবলাম, সন্ধ্যার দিকে আবার নক করা যাবে। না, সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়নি আমাকে। শেষ বিকেলে ফিরতি ফোন দিলেন কবি। স্ক্রিনে চোখ পড়তেই ভালো লাগল, যাক অন্তত ফোন করার মতো অবস্থায় আছেন তিনি। কথা হলো, বেশ ক’মিনিট। কষ্ট হচ্ছিল কথা বলতে। তবুও থামলেন না।
বললাম- কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে আপনার। আমি বরং মূল কথাটি বলে ফোন রেখে দিই। একরকম প্রতিবাদ করে উঠলেন তিনি। বললেন- ‘এটিই এখন আমার জীবন। এটিই নিয়তি। বেঁচে আছি কষ্ট নিয়েই। ফোন রেখো না। কথা বলো। অনেক দিন তো কথা হয় না। কী আর হবে দু-চারটি কথা বললে। হয়তো কষ্ট বাড়বে খানিকটা, এর বেশি কিছু তো নয়।’ এ সময় তাকে স্মরণ করিয়ে দিলাম তার একটি কবিতার কথা। কষ্ট নিয়েই কবিতাটি। কবিতার নাম- ফেরীঅলা। বললাম- আপনিই তো জীবনের ফেরীঅলা।
শুনে মুহূর্তের জন্য চুপ হয়ে গেলেন। একটি দীর্ঘ শ্বাস ফেলে বললেন- ‘হ্যাঁরে কবি, আমার সেই কষ্ট কেউ তো নিলো না।’ কষ্ট তো দিতে চাইলাম, কবিতায় বিজ্ঞাপন দিলাম কষ্টের, নিলো না কেউ।
শারীরিক কষ্টের সাথে মানসিক কষ্ট যোগ হতে দেখে আমি চুপ হয়ে গেলাম। তিনিও চুপ। খানিক পর শ্বাস ফেলে বললেন- ‘সেই কবিতাটি কি আমি আমার জন্য লিখেছিলাম!’ স্বগোতক্তির মতোই বললেন। আমি তখনও নীরব। এর কোনো জবাব তো আমার কাছে নেই । তিনিই বললেন- কেন যে লিখেছিলাম কবিতাটি জানি না। তবে সত্যি হলো কষ্ট কখনও আমার পিছু ছাড়েনি। এখন তো কষ্টের ওপর কষ্ট! তার কণ্ঠ বেদনায় এতটাই ভারী, যার স্বর আমার শ্রবণেন্দ্রিয় ভেদ করে পৌঁছে যাচ্ছিলো মর্মে। তার কষ্টের কাতরতা আমাকে বিষণœ করে দিলো! হায়রে জীবন! এভাবে জীবন চেপে বসে জীবনের ওপর। আমি দোষী ভাবছিলাম নিজেকে। কেন এ কবিতার কথাটি তুললাম! একটি কবিতার সাথে কবির এতো বেদনা জড়িত যা মথিত করছে তাকে! হায় জীবন! হায় সময়! আরো কিছু বলতে যেয়েও থেমে গেলেন তিনি। মনে হচ্ছিল- ফোনের ওপাশে ঝরছে কবির অশ্রু! না, তিনি কবিতা নিয়ে আর কিছুই বললেন না।
কবিকে ফোন করার যে কারণ ছিল সে গল্পটি বলছি পরে। তার আগে যে কবিতা নিয়ে মুঠোফোনে এত কথা, কবিতাটি পাঠ করা যাক। আগেই বলেছি- কবিতাটির নাম ফেরীঅলা।
‘কষ্ট নেবে কষ্ট/হরেক রকম কষ্ট আছে/ কষ্ট নেবে কষ্ট!
লাল কষ্ট/ নীল কষ্ট/ কাঁচা হলুদ রঙের কষ্ট/
পাথর চাপা/ সবুজ ঘাসের/সাদা কষ্ট,/
আলোর মাঝে/কালোর কষ্ট/‘মালটি-কালার’ কষ্ট আছে/কষ্ট নেবে কষ্ট।
ঘরের কষ্ট/ পরেরর কষ্ট /পাখি এবং পাতার কষ্ট/
চোখের বুকের নখের কষ্ট,/একটি মানুষ খুব নীরবে/নষ্ট হবার কষ্ট আছে/কষ্ট নেবে কষ্ট।
প্রেমের কষ্ট/ঘৃণার কষ্ট/নদী এবং নারীর কষ্ট/
অনাদর ও অবহেলার তুমুল কষ্ট,/
ভুল রমণী ভালোবাসার/ভুল নেতাদের জনসভার/হাইড্রোজনে দুইটি জোকার নষ্ট হবার কষ্ট আছে/কষ্ট নেবে কষ্ট।
দিনের কষ্ট/রাতের কষ্ট/পথের এবং পায়ের কষ্ট/
অসাধারণ করুণ চারু ফেরীঅলার কষ্ট/
কষ্ট নেবে কষ্ট।/
আর কে দেবে আমি ছাড়া/আসল শোভন কষ্ট,
কার পুড়েছে জন্ম থেকে কপাল এমন/আমার মত ক’জনের আর/সব হয়েছে নষ্ট,/
আর কে দেবে আমার মতো হৃষ্টপুষ্ট কষ্ট ।'
সত্যিই কষ্টে ভরা এই কবিতাটি তাকে কষ্টে ফেলে দিলো।
তার পরিবার নেই। না, বিয়ে করেননি। ভাই ভাতিজা ভাতিজি আছে, থাকতেন না এদের সাথেও। প্রেস ক্লাবকে বলা হয় সাংবাদিকদের দ্বিতীয় বাড়ি। কিন্তু হেলাল হাফিজের প্রথম বাড়িই ছিল প্রেস ক্লাব। সকালে নাশতার সময় ৮টা সাড়ে ৮টা থেকে শুরু করে রাত ১০টা কিংবা ১১টা অব্দি দীর্ঘ সময় কাটিয়ে দিতেন ক্লাবেই। কখনও বেশি অসুস্থ হলে হাসপাতালে ভর্তি হতেন। বিশেষ করে পিজি হাসপাতালে অসুস্থতার সময় গড়িয়ে যেত তার। শেষের দিকে চলাচলে প্রায় অক্ষম হয়ে পড়লেন। এ সময় প্রেস ক্লাবে যাতায়াতও বন্ধ হয়ে যায়। বেছে নেন হোস্টেল জীবন। সেটিও শাহবাগ পিজি হাসপাতালের কাছেই। এই আবাসিক হোস্টেলেই ছিল হেলাল হাফিজের বসতঘর। এখানে আরও লোক থাকেন। তাদের কেউ কেউ ছাত্র কেউ আবার চাকরিজীবী।
১৩ ডিসেম্বর শুক্রবার দুপুর। হোস্টেলের শৌচাগারে গেলেন কবি। আকস্মিক পড়ে যান বেসিনের ওপর। পড়ে মাথা কেটে যায় তার। প্রায় আধা ঘণ্টারও বেশি কোনো সাড়াশব্দ নেই। হয়তো বাথরুম দীর্ঘ সময় আটকে আছে বলে কেউ নক করল। না, কোনো সাড়া নেই ভেতর থেকে। ফলে শৌচাগারের দরজা ভাঙলেন তারা। দেখলেন- রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন হেলাল হাফিজ। উদ্ধার করে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) অর্থাৎ পিজি হাসপাতালে নিয়ে গেলেন। দেখে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করলেন। এভাবেই শেষ হয়ে যায় হেলাল হাফিজের পৃথিবীর জীবন।
তার জন্ম ৭ অক্টোবর ১৯৪৮, নেত্রকোনায়। শৈশব-কৈশোর গ্রামেই কাটে। নেত্রকোনা দত্ত হাই স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন। এইচএসসি পাস করেন নেত্রকোনা কলেজ থেকে ১৯৬৭ সালে। তারপর ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে।
প্রথম কবিতা লেখেন নবম শ্রেণীতে পড়াকালীন। স্কুলের দেয়াল পত্রিকায় ছাপা হয় কবিতাটি। তার পর থেকে পথচলা কবিতার সাথে।
সালটি ঊনসত্তর। শুরু হলো গণআন্দোলন। চতুর্দিকে মিছিল, প্রতিবাদ, প্রতিরোধের উত্তাপ! এ সময় হেলাল হাফিজ লিখলেন তার জনপ্রিয় কবিতাটি- "নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়।"
‘এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়/এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’। এ দু’টি ছত্র কবিকে খ্যাতি এনে দিলো।
এ দুটো ছত্র সম্বন্ধে বলা হয়- আহমদ ছফা এবং হুমায়ুন কবির দু’টি ছত্রকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের কোনো একটি দেয়ালে লিখে দিয়েছিলেন।
হেলাল হাফিজের অনেক জনপ্রিয় কবিতা রয়েছে। প্রথম কবিতাবই প্রকাশিত হয়েছে ১৯৮৬ সালে। বইটির নাম- ‘যে জলে আগুন জ্বলে’। প্রথম বই দিয়েই পাঠক হৃদয়ে আসন করে নেন হেলাল হাফিজ।
যে জলে আগুন জ্বলে কাব্যগ্রন্থভুক্ত প্রতিটি কবিতার শেষে উল্লেখ আছে তারিখ। সে তারিখ অনুযায়ী কবিতাগুলো লেখা হয়েছে ১৯৬৯ থেকে ১৯৮৫ সালের মধ্যে।
বিস্ময়ের বিষয় হলো ৮৬ সালের পর দীর্ঘ দু’যুগেরও বেশি সময় আর কোনো গ্রন্থ প্রকাশিত হয়নি। ২৬ বছর পর প্রকাশ পেল দ্বিতীয় গ্রন্থ ‘কবিতা একাত্তর’। আবারো দীর্ঘ বিরতি। তৃতীয় এবং শেষ কাব্যগ্রন্থটি বের হয় ২০১৯-এ। এ গ্রন্থের নাম- ‘বেদনাকে বলেছি কেঁদো না।’
হেলাল হাফিজ সাংবাদিক ছিলেন। ছিলেন জাতীয় দৈনিকের সাহিত্য সম্পাদক। ১৯৭৬-এ সাহিত্য সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন দৈনিক দেশ পত্রিকায়। অনেক পরে একসময় যোগ দেন দৈনিক যুগান্তরে। এ পত্রিকায় দীর্ঘ দিন সাহিত্য সম্পাদক ছিলেন।
হেলাল হাফিজ একজন আধুনিক কবি। প্রেম ও দ্রোহের কবি হিসেবে তার পরিচিতি লতিয়ে উঠেছে। লড়াইয়, সংগ্রাম, প্রেম-বিরহ, দ্রোহ এবং জীবনের দুঃখ বেদনা স্পর্শ করেছে তার কবিতা। তার একটি কবিতার নাম- ‘অগ্ন্যুৎসব’ এ কবিতাটির ক’টি ছত্র পাঠ করা যাক- ‘ছিল তা এক অগ্ন্যুৎসব, সেদিন আমি/ সবটুকু বুক রেখেছিলাম স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্রে? জীবন বাজি ধরেছিলাম প্রেমের নামে/ রক্তঋণে স্বদেশ হলো,/ তোমার দিকে চোখ ছিল না/ জন্মভূমি সেদিন তোমার সতীন ছিলো।’ এ কবিতায়ও দ্রোহের বিষয়টি উচ্চকিত।
তার লেখালেখির সময়টি বেশ দীর্ঘ। কিন্তু লিখেছেন নেহাতই কম। তবে খ্যাতির বিস্তারটি বেশ ছড়ানো। পেয়েছেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার। ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেন চিরদিনের জন্য।
এবার বলি সেই গল্পটি, যেজন্য ফোন করেছিলাম কবিকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ৫০ বছর পূর্তি উৎসব। উৎসবটি ছিল ৭ দিনব্যাপী। ৭ ডিসেম্বর ’২৪ থেকে ১৩ ডিসেম্বর ’২৪ ছিল এর ব্যাপ্তি। বিভাগটি মার্কেটিং অথচ ৭ দিনের গোটা একটি দিন (১২ তারিখ) ছিল সাহিত্যের পক্ষে নিবেদিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে আর কোনো বিভাগ এমন নজির স্থাপন করেনি।
সারাটা দিনে অনেকগুলো পর্ব ছিল।
একটি পর্ব ছিল জাতীয় দৈনিকের সাহিত্য সম্পাদকদের নিয়ে। একটি পর্ব কবিতাবিষয়ে আলোচনা। আরেকটি কথাসাহিত্যের। এরপর সঙ্গীত এবং সবশেষে ছিল কবিদের স্বরচিতু কবিতা পাঠ। দিনের শুরুতেই ছিল একটি আকর্ষণীয় পর্ব। পর্বটি ছিল সাহিত্য পুরস্কার প্রদান। এটি আজীবন সম্মাননা। সম্মান জনক নগদ অর্থ এবং একটি নান্দনিক ক্রেস্ট। পুরস্কৃত করা হয়েছে দু’জনকে- একজন সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী এবং অন্যজন কবি হেলাল হাফিজ।
মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর এ বি এম শহিদুল ইসলাম। তিনি খ্যাতিমান একজন কবি। শহিদ আজাদ নামে লেখেন কবিতা। তিনি কবিতার জন্য নিবেদিত একজন। কবিতার জালেই আমাদের সম্পর্কের বন্ধন। মূলত তাঁর উৎসাহেই এমন বিশাল আয়োজন হলো সাহিত্যের। সঙ্গে তাঁরই ছাত্রী, বর্তমানে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. ইশরাত তানিয়া এবং শিল্পী জাহিদ মুস্তফাও ছিলেন সক্রিয়। ছিলেন মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষক
অধ্যাপক ড. সিরাজুল হক, অধ্যাপক ড. সেহেলী পারভীন, সহকারী অধ্যাপক শাহরিন আশরাফ , অধ্যাপক ড. সমীর কুমার শীল, অধ্যাপক ড. আশরাফুল ইসলাম চৌধুরী, অধ্যাপক ড. ইশতিয়াক আহমেদ, অধ্যাপক ড. রাজিয়া বেগম, অধ্যাপক মাহবুবা বেগম ও তানভীর হিমেল।
চেয়ারম্যান এ বি এম শহিদুল ইসলাম আমাকে অনুরোধ করলেন, কবি হেলাল হাফিজের পুরস্কারের খবরটি আমিই যেনো অবহিত করি। গুরুত্বপূর্ণ অনুরোধটি পেয়ে পুলকিত হলাম। পুরস্কারের সুখবরটি দিতেই মুঠোফোনে কল করেছিলাম তাকে। জানালাম সুসংবাদটি। শুনেই মনে হলো তার কষ্ট অনেকটা উড়ে গেল। বেশ খানিকটা চাঙ্গা এবং ফুরফুরে মেজাজে বললেন- এটি আমার জন্য একটি আনন্দের খবর! বড় কথা নগদ অর্থটা আমার খুব প্রয়োজন! কিন্তু আমি তো অসুস্থ। চলাফেরার সুযোগ বোধ হয় আমার জীবন থেকে হারিয়েছে। পুরস্কার গ্রহণের জন্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারবো না। আমাকে পৌঁছে দিও পুরস্কারটি। কথাগুলো বেদনায় ভীষণ ভারী । যেন দুঃখ ফেঁড়ে বেরিয়ে আসলো বেদনামাখা কথাগুলো! বিষণœতা যেন আরও পেয়ে বসলো আমাকে। আহা জীবন! কী অসহায় মানুষ! যৌবন যার মিছিলে যাওয়ার তার শ্রেষ্ঠ সময়! তবে কি যৌবন খরচ হয়ে গেলে এমনই নিরুপায় জীবন! তাহলে কোনো এত অহঙ্কার! এত উল্লম্ফন আমাদের! সকল অহঙ্কার সকল উল্লম্ফন ঝরা পাতার মতো শুকিয়ে যায়!
পুরস্কার প্রদানের তারিখ ছিল ১২ ডিসেম্বর ’২৪। ঠিক পরদিন ১৩ ডিসেম্বর মৃত্যুর হিম হাত দখল করে নিলো তাকে। পুরস্কারটি তার হাতে পৌঁছানো সম্ভব হলো না। চেয়ারম্যান কবি শহিদ আজাদ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন- মার্কেটিং বিভাগে চালু করবেন কবি হেলাল হাফিজ সাহিত্য পুরস্কার। এর মাধ্যমে বছরে অন্তত একবার স্মরণ করা হবে কবিকে।
তবে পাঠকের কাছে কবির রচনাই মুখ্য। রচনাই একজন কবির বড় পুঁজি। একটি বিখ্যাত বাণী এমন- মৃত্যুর পরও যদি পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে চাও, হয় এমন কিছু লিখে যাও যা মানুষ পড়বে। অথবা এমন কিছু করে যাও যা মানুষ লিখবে। কবি হেলাল হাফিজ তার লেখার ভেতর বেঁচে থাকবেন হয়তো।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা