আ গ্রা স ন বি রো ধী ক বি তা
- ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
ফে র দৌ স সা লা ম
সুরক্ষিত মানচিত্র
স্বপ্নাবিষ্ট নদী তুমি বহিতেছ মৃত্তিকার বুকে
অন্তর্গত বন্দনায় উড়ে আসে গাঙের শালিক
বিদ্রোহের শব্দশঙ্খ ভাঙবেই কারাকক্ষ শিক
অপরাধী কানামাছি মরবেই অগ্নিরোদে ধুঁকে।
আবার মিছিল হবে স্বৈরাচার যাবে নিরুদ্দেশ
সত্যের বিনাশ নেই প্রকৃতিই নেবে প্রতিশোধ
সন্তান হত্যার দায় ন্যায়দণ্ডে হবে প্রতিরোধ
প্রত্যাশিত স্বাধীনতা ফিরে পাবে বিপন্ন স্বদেশ।
সুরক্ষিত মানচিত্র ছাড়ব না এক ইঞ্চি মাটি
দেখিয়ো না রক্ত চক্ষু এই পেশি শক্তিমান অতি
আঘাতে সক্ষম আমি এই হাতে অসুরের গতি
একাত্তরে জয়ভাগ্য আনিনি তা ভিক্ষে হাত পাতি।
অবহেলা করো যদি ভেঙে ফেলে অন্ধকার ঘোর
পৃথিবী দেখবে ফের তোরা সব ষড়যন্ত্রী চোর!
সায়ীদ আবুবকর
বাঘের বাড়ি
ব্যাঙের মতো লাফাচ্ছ যে বড়,
অনেক বুঝি হয়েছে টানা তাড়ি?
কণ্ঠ দেখি কেমন ঝড়ো ঝড়ো,
দখল করে নেবে বাঘের বাড়ি!
বাঘের ছবি দেখেছ এতকাল,
জ্যান্ত বাঘ পড়েনি সম্মুখে;
থাকবে পড়ে কেবলি কংকাল,
কেবল ধুলো ইতিহাসের বুকে।
মানসিংহ-গংরা যদি আসে,
আঙুল বুঝি চুষবে ঈশা খাঁরা?
কল্লা পড়ে থাকবে ঘাসে ঘাসে,
দিল্লি ছুটে যাবে লোহুর ধারা।
বাংলাদেশ নয় রে কারো দাস-
এ-ই সত্য, এটাই ইতিহাস।
সৈ য় দ সা ই ফু ল্লা হ শি হা ব
নতজানু হও, কুর্নিশ করো
নতজানু হও, কুর্নিশ করো হে উদ্ধত, আগ্রাসী
চকচকে গেরুয়া বসনে কেবল লকলকে আগুন-
জ্বলে, মনোভূমে উত্থিত কেওড়ার কাঁটা বহুগুণ,
সভ্যতা লুণ্ঠিত বহু যুগ ধরে, মরা-বানভাসী।
অন্তর গৃহের আনাচে কানাচে, হাটে, মাঠে, ঘাটে
হিংসার আগুন জ্বেলে দাউ দাউ, মতলবি ফুল ফোটে,
আমরা তো জেনেছি, কোথাকার পানি কোথা যায় ছুটে,
বাংলাদেশ ভূমি স্বাধীন, তোমার অস্তিত্ব নেই এ তল্লাটে।
মনে রেখো যাদু, হিংসুটে, হিংসার খানা এ দেশে নাই।
আমরা খুনের উত্তাল দরিয়া পার হতে জানি,
বুকের বাঙ্কারে বোমার পরমানু, মৃত্য-ঘাত হানি,
হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, মুসলিম, খ্রিষ্টান, পাহাড়ি ভাইভাই।
শুনো, তুমি যত করো লাফালাফি, হবে না হাসিল-
এক বিন্দু ফায়দা, শুধু হবে দেহ কাতর কাহিল।
মা মু ন সু ল তা ন
পাশের বাড়ির লোকটা
এমন নির্লজ্জ লোক পাশের বাড়িতে ঘুম যায়
সকালে চোখ দুটো লাল আর বড় বড় করে জাগে
গেরুয়া রঙের লুঙ্গি টানতে টানতে চেয়ারে বসে
তারপর ফন্দি করে নানান জটিল ও জটিলতার
খুলেই বলি শুনুন
আমরা সব ভাইয়েরা মিলে বাড়ির মালিটাকে
তাড়িয়ে দিলাম চুরি আর হিংস্রতার সীমাহীন কারণে
সে করল কী! গিয়ে উঠল পাশের লোকটার বাড়িতে
কুতুব মিনার আর বাবরি মসজিদের মতো দামি -
ইতিহাস জোর করে নিয়ে গেল বিনা-দলিলে
আমাদের বাড়ির সীমানা-পিলার থাকলেও প্রায়-সবসময়
এখানে তার সিপাহি দিয়ে ফেলানীদের গুলি করে
এ-লোকটার অত্যাচারে বলতে গেলে আমরা অতিষ্ঠ
রাতে ঘুমাতে পারি না এই বলে চট্টগ্রাম নাকি তার
ফেনী নদীতে পানির চলাচল আটকে দেয়
পদ্মা গিলেছে আগেই পদ্মায় গেলে হৃদয়টা কাঁদে
ওদের বাড়িটা কিন্তু অনেক বড় তবু তার দৃষ্টি
আমাদের ছোট্টবাড়ি যেখানে নরম মানুষের বসবাস
আইল ঠেলাঠেলি আর প্রতিদিন গালাগালি কিংবা
লাঠিয়াল লোক দিয়ে শাসালে আমরা কী করে থাকি?
তবে একখান কথা আছে
আমাদের মাঝে কোনো ভেজাল নাই
ভাইয়ে ভাইয়ে মিল আছে মায়া আছে ভালোবাসা আছে
গেরুয়া মুরুব্বি শুনো
বেশি বাড়াবাড়ি করলে আমরা সব-সম্পর্ক ভুলে যাবো
তোমাদের বলে রাখি
আমাদের মালির কথায় বেশি নাচানাচি করো না
ওর মিথ্যাচারে এতদিন আমাদের ঘরে অশান্তি ছিল
অশান্ত এই মালি আর তোমরা মিলে আগুন জ্বালিও না
মনে রেখো আমাদের সন্তানেরা
এখন বিদ্রোহ করা শিখে গেছে
যখন তখন তারা চরম শত্রুকেও পরোয়া করে না।
মু স্ত ফা হা বী ব
জাগো বাংলাদেশ
ওই নরপিশাচের দল সহস্র ছলনায়
রসুন বুনতে চায় বাংলাদেশের এঁটেল মাটিতে
খেলার পুতুল ধরাশায়ী হবার পর
ওরা নিয়ত ফন্দি আঁটে, কিভাবে আমাদের পরাস্ত করে
পতিত স্বৈরিণীকে ফেরানো যায় মসনদে।
জেনে রাখো পুতুল পূজারী
কূটচালে আর নেভাতে পারবে না তারণ্যের অগ্নিশিখা।
মাটির কসম আমরা আর মেনে নেবো না
ওই ফন্দিবাজ চন্ডালদের চাঁড়ালিপনা
ঢিল ছুঁড়লে পাটকেল খেতে দেব
লাশের বদলে ফিরিয়ে দেব লাশ।
ওদের অর্ধশতাব্দীর সংস্কৃতির চর্চা দেখে জেনেছি
ওদের গাঁদাফুলের ভেতর ফণীমনসা ওঁত পেতে থাকে
ওদের লৌকিক বদান্যতা নিছক নাটকের সিকোয়েন্স।
আর নয় তাঁবেদারি, আর শুনব না হারামবাজনার গান
এবার জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেবো জালিমের ধূম্রজাল
হে দেশপ্রেমিক সত্যের পতাকা তলে দাঁড়াও সটান
জাগো, জাগো বাংলাদেশ।
মা হ ফু জ জো হা
প্রেরণার কবিতা
মৃত্যুপুরীতে দাঁড়িয়ে
কিংবা পুলিশের বন্ধুকের মুখোমুখি দাঁড়িয়েও
আকাশের বিস্তৃত বুকে
দিগন্তরেখায় একটি চিহ্ন আঁকতে চাই
একটি কবিতা লিখতে চাই
সার্থক কবিতা
আমার বুকে বুলেট বিদ্ধ হোক
কিংবা আমি মরে গেলেও
রক্তের অক্ষরে লেখা সে কবিতা
সূর্যের আলোর ন্যায় জ্বলজ্বল করে জ্বলবে
আর মুক্তিকামী মানুষকে প্রেরণা জাগিয়ে যাবে
দিনের পর দিন
মেঘও যাকে আড়াল করতে পারবে না
ক্যাম্পাসে অক্ষরে অক্ষরে
রাজপথে মশালে মশালে
গণতন্ত্র মুক্তির মিছিলে স্লোগান হবে এই কবিতা
এমন কিছু স্তুতি লিখে যেতে চাই
যে স্তুতি মানুষের মুক্তির কথা বলবে
প্রাণে প্রাণে আশা জাগাবে
স্বপ্ন দেখাবে একটি বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণের।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা