ইউরোপীয় সাহিত্য ও বাংলা সাহিত্যে গ্রিক মিথ
- ড. শাহাজাদা বসুনিয়া
- ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
জন কিটস্ ও মাইকেল মধুসূদন দত্তের রচনায় গ্রিক মিথের ব্যবহার গ্রিক পুরাণ কথায় দেব-পরিবারের কাহিনী যেন চির নতুন যা বিশ্ব সাহিত্যকে করেছে প্রাণবন্ত আর পৌরাণিক কাহিনীর রসবৈচিত্র্য পাঠককে করেছে কৌতূহলী। শুধু তাই নয়, কবিতায় মিথ বা পুরাণ ব্যবহার যেন একটি চিরন্তনী প্রক্রিয়া যা চিরায়ত কবিতার দেহে সুন্দর পরিপাটিতে অলঙ্কৃত। বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্যে সুন্দর ও অর্থবহ উপায়ে মিথের ব্যবহার হচ্ছে। মিথ ব্যবহারের মাধ্যমে শুধু বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্যই সমৃদ্ধশালী হয়নি বরং ইউরোপীয় সাহিত্যেও গ্রিক মিথোলজির প্রয়োগ একটি মজ্জাগত কাব্যিক অলঙ্কার। বিশ্বসাহিত্যে স্বগোত্র এবং স্বধর্মের পুরাণ কাহিনীগুলোও শৈল্পিক উপাদান হিসেবে ক্রিয়াশীল। হিন্দু মিথ, গ্রিক মিথ, রোমান মিথ এবং মুসলিম মিথ কাহিনীগুলোও বিশ্বসাহিত্যকে করেছে সমৃদ্ধশালী।
গ্রিক মিথ কাহিনীগুলো বিশেষ করে ইংরেজি ও ইউরোপিয়ান সাহিত্যে তাৎপর্যপূর্ণভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এ কথা সুস্পষ্ট যে, কাল্পনিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়েই গ্রিকরা এ সুন্দর মিথোলজির জন্ম দিয়েছে। গ্রিকরা মনে করেন- প্রটিউস (Proteus) হচ্ছে সমুদ্রের অধীশ্বর, ড্রাইয়াডস (Dryades) হচ্ছে গাছ-পালার দেবতা আর জলপরী নীরিড মোহে গ্রিকরা প্রার্থনারত। ঠিক গ্রিকদের মতোই প্রাকৃতিক দৃশ্য, প্রথাগত নিয়মরীতি ও গ্রিক মিথোলজি জন কিটসকে প্রভাবিত করতো। এই রোমান্টিক কবি বিশ্বাস করতেন না যে, সূর্যোদয় কেবলই একটি অগ্নিপিণ্ড বরং তিনি ভাবতেন Applo riding his chariot যার কাছে স্থান নেই অন্ধকারের। কিটস্ চাঁদকে দেবী মনে করেন যা আকাশ থেকে নেমে এসে এনডিমিয়নকে আলোকিত করতো। চ্যাপমানের অনুবাদিত হোমারের ইলিয়াড ও ওডিসি পড়ার পর গ্রিক সাহিত্যের ওপর কিটস -এর অজ্ঞতা দূর হয়েছিল এবং পরবর্তীতে তিনি তার ‘অন ফাস্ট লুকিং ইনটু চ্যাপমানস হোমার’ সনেটে গ্রিক সাহিত্যের প্রতি বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। চ্যাপমানের এই অনুবাদ পড়ে কিটস্ গ্রিক সাহিত্যের রস আস্বাদন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। হোমারের ইলিয়ড পড়ার পর কিটস্-এর অবস্থা এরূপ হয়েছিল যে, তিনি নিজেকে এমন একজন জ্যোতির্বিদ হিসেবে ভাবছিলেন, যিনি তার টেলিস্কোপের মাধ্যমে একটি নতুন গ্রহ দেখতে পাচ্ছিলেন, যা তখন অবধি আবিষ্কৃত হয়নি। কিটসের লেখা ‘অন ফাস্ট লুকিং ইনটু চ্যাপমানস হোমার’ সনেটের একটি লাইনে বলা হয়েছে Which bards in fealty to Apollo hold। গ্রিক মিথোলজিতে দেবরাজ জিউস এবং লেটো-এর পুত্র হচ্ছেন অ্যাপোলো (Apollo)। অ্যাপোলো দেখতে সুদর্শন, সঙ্গীতদেব এবং কবিতার দেব। চিন্তা-চেতনায় কিটস্ ছিলেন গ্রিকভক্ত। ফলে তার কবিতায় গ্রিক মিথের ব্যবহার অধিকহারে পরিলক্ষিত। এজন্য শেলী কিটসকে একজন গ্রিক হিসেবে মন্তব্য করেন। অবশ্য লিমপ্রিয়ার্স ক্লাসিক্যাল ডিকশনারির সঙ্গে কিটস্ ব্যাপকভাবে পরিচিত ছিলেন। তিনি এ ক্লাসিক্যাল ডিকশনারি অধ্যয়ন করতেন গভীরভাবে। এ ডিকশনারিতে গ্রিক মিথোলজির ওপর বিশেষভাবে জোর দেয়া হয়েছিল। এ অভিধান থেকে গ্রিক কল্পকাহিনী ও মিথোলজির ওপর আহরিত অভিজ্ঞতা লামিয়া, হাইপোরিয়ন এবং এনডিমিয়ন এর প্রতিটি কবিতায় তিনি অতি যতœসহকারে ব্যবহার করেন। ১৮১৮ সালে কিটস্-এর রচিত এনডিমিয়ন হচ্ছে একটি বর্ণনাত্মক দীর্ঘতম কবিতা যেখানে তিনি গ্রিক ও রোমান পৌরাণিক কাহিনীর মাধ্যমে চাওয়া-পাওয়া-ব্যর্থতার কল্পকাহিনী নির্মাণ করেছেন। বিশ বছর বয়সে তিনি লিখেছিলেন ODE TO APPOLLO এবং HYMN TO APOLLO। কিটস্ সত্যিকার অর্থে অ্যাপোলো বন্দনায় নিমজ্জিত ছিলেন। কেননা অ্যাপোলো আলোর দেবতার পাশাপাশি সঙ্গীত নিয়ন্ত্রণ করতেন যা কবিতা সৃষ্টির প্রেরণা। কিটস্ ODE ON MELANCHOLY তে খবঃযব গ্রিক পৌরাণিক ব্যবহার করেছেন। গ্রিক মিথে বলা হয় যে, তিনটি নদী পৃথিবী থেকে পাতালপুরীকে পৃথক করেছে। একটি হচ্ছে আগুনের নদী যার নাম ফ্লাজেথন (Phlegethon), শপথ বাক্যের নদী হচ্ছে স্টিক্স (Styx) এবং লিথি (Lethe) হচ্ছে বিস্মরণের নদী।
গ্রিক দেশের অমর কল্পকথায় স্থান পেয়েছিল এক বিশাল প্যানথিয়াম তথা দেব-দেবী সংবলিত অমর্ত্যরে ধারা এবং অলিম্পীয় দেব পরম্পরার অমর কাহিনীতে বিস্মিত হয়ে কিটস্ রচনা করেন ' ODE TO PAN এবং ' ODE TO NEPTUNE-এর মতো কবিতা। গ্রিক পুরাণে পৃথিবীর দেবতারা হলেন ডিমিটার যিনি শস্যের দেবী এবং ডিওনিসুম হচ্ছে দ্রাক্ষলতার দেবতা। আর অন্য যেসব দেব-দেবী ভূতলবাসী তারা অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ। এদের মধ্যে রয়েছে প্যান। এই প্যান দেবতাকে ঘিরে কিটস্ তার কবিতায় কল্পকাহিনী রচনা করেন। প্যানের এর মাথায় ছাগলের শিং এবং পায়ে ছাগলের খুর অর্থাৎ যিনি ছিলেন ছাগল পালক ও মেষ পালকের দেবতা। এ কবিতার মাধ্যমে MYSTICAL VIEW OF PAN প্রকাশিত হয়েছে। দ্বাদশসংখ্যক দেব পরিবারের জিউস দেব পরিবারের দুই ভাইয়ের মধ্যে এক ভাই হচ্ছে নেপচুন। নেপচুন হচ্ছে রোমান দেবরাজ যাকে গ্রিক মিথোলজিতে বলা হয় পসাইডন। পসাইডন হলেন সমুদ্রের দেবতা। ক্ষমতায় জিউসের পরেই তার স্থান। সমুদ্রের নিচে নেপচুনের জাঁকজমকপূর্ণ প্রাসাদ ছিল। প্রেমে যারা ব্যর্থ হয়ে পানিতে ডুবে মারা গেছেন, তাদের কিটস্ নেপচুনের সহায়তায় জীবন ফিরে দেয়ার কল্পকাহিনী তৈরি করেছেন। কিটস্ ' TO DIANA' কবিতায় গ্রিক মিথকে আরো বেশিমাত্রায় প্রয়োগ করেছেন। গ্রিক মিথলজিতে বলা হয় জিউসের এক সন্তান হচ্ছেন আর্টেমিস যাকে রোমানরা ডায়ানা হিসেবে সম্বোধন করেন এবং আর্টেমিস হলেন অ্যাপোলোর যমজ বোন। অলিম্পাসের তিনজন কুমারী দেবীর অন্যতমা তিনি। ডায়ানা হলেন বন্যপ্রাণীর দেবী। শিকারির মতোই তিনি শাবকদের রক্ষা করতে তৎপর। আবার অনেক কাহিনীতে ডায়ানাকে হিংস্র এবং প্রতিশোধ পরায়ণা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। গ্রিক ও রোমানরা যেভাবে MAIA কে বন্দনা করেছেন একইভাবে কিটস্ তার ' TO MAIA কবিতায় মায়াকে তুলে ধরেছেন। জিউস এবং অ্যাটলাসের কন্যা মায়া। গ্রিক পুরাণে বলা হয় মায়ারা ছয় বোন। এদের এক শব্দে প্লিয়াডস (Pleiades) বলা হয়। দেবরাজ জিউস কোনো কাজে সন্তুষ্ট হয়ে তাদের নক্ষত্রমণ্ডলীতে স্থাপন করেন। মে মাসের সন্ধ্যাকাশে এদের দেখা যায় এবং নভেম্বর মাসের সকালে এরা অস্ত যায়। আবার রোমান পুরাণে বলা হয়, মে মাসের নামানুসারে মায়া নামকরণ করা হয়েছে। মায়াকে ঘিরে মে-ডে-তে কিটস্ এ কবিতাটি রচনা করেন।
বাংলা সাহিত্যেও গ্রিক মিথের ব্যবহার অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। মিথের ব্যবহারের কারণে বাংলাসাহিত্য একসময় বিশ্বসাহিত্যে প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠেছিল। গ্রিক মিথ অনুকরণের জন্য মাইকেল মধুসূদনের মেঘনাদবধ কাব্য অদ্যাবধি পাঠকরা কৌতূহলের সঙ্গে পড়েন। মধুসূদন তার মহাকাব্যে দেবী অমৃতভাষিণী দ্বারা বাগদেবী সরস্বতীকে বন্দনা করেছেন। প্রকৃতপক্ষে, এই দেবী পাশ্চত্য কাব্যাধীষ্ঠাত্রী দেবী মিউজ (MUSE) ও সরস্বতীর মিশ্রিত রূপ বলে সমালোচকেরা মন্তব্য করেছেন। মধ্যযুগে বাংলা সাহিত্যে সরস্বতীর বন্দনা থাকলেও সে বন্দনার চেয়ে মধুসূদনের দেবী বন্দনার সঙ্গে হোমার, ভার্জিল ও মিল্টনের মিউজ বন্দনার সাদৃশ্যই বেশিমাত্রায় পরিলক্ষিত। উল্লেখ্য যে, গ্রিক পুরাণে ভগ্নিরা দুই দলে বিভক্ত। দুই দলের একদল হচ্ছে মিউজরা। সংখ্যায় মিউজরা হলেন ৯জন। এরা স্মৃতি দেবীর কন্যা, এদের হৃদয় সঙ্গীতে নিবেদিত। মিউজরা ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রের অধিকারিণী যেমন: ইতিহাস, জোতির্বিদ্যা, নৃত্য, ট্র্যাজেডি, কমিডি, মহাকাব্য, প্রেম, দেবগীতি এবং গীতিকবিতার অধিষ্ঠাত্রী। এ কথা সত্য যে, মেঘনাদবধ মহাকাব্যে সরস্বতী বন্দনার আদলে মাইকেল মধুসূদন দত্ত মিউজ বন্দনায় বিভোর ছিলেন। গ্রিক পুরাণে ক্যালিওপি হচ্ছে মহাকাব্যের মিউজ দেবী। মেঘনাদবধ কাব্য সমালোচনায় বলা হয় যে, মাইকেল মধুসূদন বাল্মীকিকে অনুসরণ করার চাইতে পাশ্চাত্য কবিদের ব্যবহৃত গ্রিক মিথোলজি অনুসরণ করেছেন। শুধু মাইকেল মধুসূদনই নন বরং অনেক বড় মাপের বাংলা সাহিত্যিকরা তাদের লেখায় গ্রিক পুরাণ ব্যবহার করেছেন।
বাংলা সাহিত্য গ্রিক, হিন্দু ও মুসলিম পৌরাণিক কাহিনীতে ভরপুর। তবুও উল্লেখ্য যে, হোমার, ভার্জিল, দান্তে, মিল্টন, ট্যাসো প্রভৃতি পাশ্চাত্য কবিদের মধ্যে হোমারের ইলিয়ড ও ওডিসি কাব্যে ব্যবহৃত মিথের প্রভাব মেঘনাদবধ কাব্যে পড়েছে সবচেয়ে বেশি। মাইকেল মধুসূদন বেশিমাত্রায় গ্রিক ভক্ত ছিলেন। এক চিঠিতে তিনি লেখেন- ‘আমি গ্রিক কাহিনী ধার করব না, বরং লিখব, লেখার চেষ্টা করব যেমনটা একজন গ্রিক করত।’ মেঘনাদবধ কাব্য বিশ্লেষণে দেখা যায় গ্রিক সাহিত্যেও দৈবনির্বন্ধবাদের বিচরণ মেঘনাদবধ কাব্যের সর্বত্র। হোমারের মহাকাব্যে হেক্টরকে বধ করার লক্ষ্যে দেবী থোতিস দৈবশিল্পী হেফাইসতোসের দ্বারা স্বর্গীয় অস্ত্র তৈরি করে পুত্র আথিলেডসকে সরবরাহ করেন। এ আলোকেই মধুসূদনও মহামায়ার কাছ থেকে দিব্য অস্ত্র নিয়ে ইন্দ্র কর্তৃক গন্ধব চিত্রের মাধ্যমে লক্ষণের নিকট পাঠানোর কাহিনী বর্ণনা করেছেন। মধুসূদন হিন্দুধর্মের অন্তর্ভুক্ত দেবদেবীগণের ওপর পাশ্চাত্য দেবদেবীর ক্রিয়াকলাপ ও রীতিনীতি আরোপ করেছেন যা তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন এক চিঠিতে,‘আমি হিন্দুত্ববাদিতাকে বিন্দু পরিমাণও তোয়াক্কা করি না, আমি পিতৃপুরুষদের চমৎকার পৌরাণিক কাহিনীকে খুব ভালোবাসি’। শুধু তাই নয়, ভার্জিলের মহাকাব্য ঈনিড (Aenied)-এর দ্বিতীয় অধ্যায় ও হোমারের ইলিয়ডের মতোই মধুসূদন তার মহাকাব্য মেঘনাদবধে যুদ্ধবিগ্রহ এবং বীরত্বপূর্ণ আত্মদানের কাহিনী বিনির্মাণ করেছেন।
গ্রিক দেবদেবীদের অনুকরণে মাইকেল মধুসূদন তার মেঘনাদবধ কাব্যে কল্পকাহিনী নির্মাণ করেন। দেবী জুনোর গ্রিক নাম হীরা এবং জুপিটারের গ্রিক নাম হচ্ছে জিউস। জিউসের পতœী হচ্ছে জুনো বা হীরা। এই দেব পরিবারের জুপিটার জুনোর আদর্শে ইন্দ ও উমাকে বিনির্মাণ করা হয়েছে মেঘনাদবধ কাব্যে। নিঃসন্দহে মহামায়া হোমারের অ্যাথোনার প্রতিচ্ছায়া। শুধু চরিত্র বৈশিষ্ট্য নয়, ঘটনাবলিও যে গ্রিক পৌরাণিক কাহিনী আদর্শে মেঘনাদবধ কাব্যে পরিগৃহীত হয়েছে যা মাইকেল মধুসূদন সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন- আমি এটা বলতে লজ্জাবোধ করবো না যে, `Juno’s visit to Jupitor on Mount Ida.' কে আমি ইচ্ছাকৃতভাবে অনুকরণ করেছি। এ ছাড়াও হেলেন-হরণ, ট্রয়ের যুদ্ধে ট্রয় নগরী ধ্বংসের সঙ্গে লঙ্কা অবরোধ ও স্বর্ণলঙ্কা বিনাশের আশ্চর্য রকমের মিল রয়েছে যা সর্বজন স্বীকৃত ও আলোচিত। মিথকাহিনী অবলম্বনে রচিত হোমারের ইলিয়াডে উল্লেখ করা হয়েছে যে, নগরীর বীরসন্তান, বীর দেশপ্রেমিক হেক্টরের লাশ দেখে পুরো শহরবাসী নির্বাক হয়েছিলেন ; ঠিক একইভাবে মধুসূদনের মহাকাব্যে মেঘনাদের মৃত্যুর পর লঙ্কাপুরীতে শোকের ছায়া নেমে আসে।
বলাবাহুল্য যে, বিশ্বসাহিত্যে পৌরাণিক কাহিনীর মাধ্যমে সাহিত্যিকগণ পাঠককে করেছেন কৌতূহলী। ইংরেজি ও ইউরোপীয় সাহিত্যের পাশাপাশি বাংলা সাহিত্যেও গ্রিক মিথের ব্যবহার অত্যন্ত লক্ষণীয়। বাংলাসাহিত্যে মাইকেল মধুসূদনের মেঘনাদবধ কাব্যের মাধ্যমে গ্রিক মিথের ব্যবহারের অনিবার্যতার কথা বিশেষভাবে অনুবাধন করা যেতে পারে। অন্যদিকে, ইংরেজি সাহিত্যে মিথ প্রয়োগের মাধ্যমে জন কিটস্-এর কবিতা অমর হয়ে আছে। বিশ্বসাহিত্যে গ্রিক পৌরাণিক কাহিনী যেমন করে মূল্যায়িত হয়েছে, তেমনি মিথ কাহিনীগুলোও পাঠকের সন্তুষ্টিভাজনেও সক্ষম হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা