রূপান্তরের রক্তক্ষরণ
- নাইম হোসেন তামিম
- ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
অপরাহ্নের শেষলগ্নে টিএসসির অভ্যন্তরে নিঃসঙ্গ বসে আছে জিদান। দূর হতে তাকে বসে থাকতে দেখে আবিদও এসে বসল তার পাশে। আবিদ ও জিদান দু’জনেই সমবয়সী, ভালো সহপাঠী এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধুও। কিন্তু ইদানীং তাদের সম্পর্কে কেমন একটা ভাটা পড়েছে। আগের মতো ঘণ্টার পর ঘণ্টা পুলকিতচিত্তে হাসি-ঠাট্টা, আমোদ-প্রমোদ করতে দু’জনেই সঙ্কোচ বোধ করে এখন। স্বল্পদৈর্ঘ্য নীরবতার পরে কিছুটা সন্দিগ্ধ কণ্ঠে আবিদ বলল- গতকাল বিকেলে ‘রাজু’র সামনে বিশেষ একটি গোষ্ঠীর সমাবেশে তুমিও ছিলে, তাই না?
জিদান মুখ না তুলেই উত্তর দিলো, হু।
আবিদ পুনরায় বলল, বেশ, ভালো। কিন্তু জিদান, তোমরা যা চাইছ, তা কোনোভাবেই মানবপ্রকৃতির স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য নয়। আর এ কথা তোমাদেরও অজ্ঞাত নয়।
হ্যাঁ অন্য কারো ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যে বিঘœ ঘটানোও সংবিধান পরিপন্থী। আশা করি, এ কথাও তুমি ভুলে যাওনি, বলল-জিদান।
আবিদ বলল- বটেই তো, বটেই তো। কিন্তু সংবিধানও যে তোমাদের বিকৃতির সাক্ষ্য দেয়! যাই হোক, সেই পুরোনো একপেশে তর্কে আর যাচ্ছি না। শুধু বলব, একটি বিকৃত, অন্যায় কাজের বৈধতা চেয়ে তোমরা সমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছো।
জিদান বলল- ভুলে যেও না আমাদের নিয়েই সমাজ। আমরাও সমাজেরই অংশ।
আবিদ একটু দম নিয়ে বলল- তাই বলে তোমাদের মতিভ্রমকে মাথা ঠুকে সেলাম করতে হবে? ভ্রুকুচকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকালো সামনের দিকে। কিন্তু জিদানের নিরুদ্যম ভাব দেখে আবারো বলতে শুরু করল- মনে মনে যে আমিও জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব! এখন মনের কৃত্রিম বোধকে পুঁজি করে গুতেরেসের সাথে গুঁতোগুঁতি করতে যাওয়া কি আদৌ বুদ্ধির কাজ? শোনো জিদান, পাশ্চাত্যের পুঁজিবাদের পণ্য হয়ো না। বিকৃত মতাদর্শের সমর্থক কয়েকজন বিজ্ঞানী আর কিছু ভুলভাল পরিসংখ্যান বাদ দিলে প্রমাণ করার মতো তোমাদের আর কিছুই থাকে না। বিজ্ঞান সামগ্রিকভাবে কখনোই তোমাদেরকে স্বীকার করবে না, করতে পারে না।
সে দায় নেহাতই বিজ্ঞানের, আমাদের নয়, বলল- জিদান।
আবিদ একবার সম্মুখে তাকিয়ে শুষ্ক হেসে বলল- হ্যাঁ তাই। সৃষ্টির খুঁত ধরে স্রষ্টার দিকে আঙুল তুলতে উঠে পড়ে লেগেছ তোমরা! কিন্তু জেনে রাখো, সাফল্য কখনোই তোমাদের স্পর্শ করবে না।
সহসা কোনো উত্তর দিতে পারল না জিদান। গ্রামে থাকতে ধর্মকর্মে অনেকটাই আগ্রহ ছিল তার। শহরে এসে একটু বিগড়েছে, এই যা! জিদানের বিব্রত অবস্থা লক্ষ করে আবিদ একটু হেসে বলতে লাগল- পরনে লালপেড়ে শাড়ি জড়িয়ে, চোখের নিচে মোটা কাজল দিয়ে, কপালে সিঁদুররাঙা বড় একটি তিলক লাগিয়ে তুমি তোমার পুরুষত্বকে লুকাতে চাইছ! আর ওদিকে দেখো, কারো ঘরের অতি আদুরি কন্যা শার্ট-প্যান্ট পরে, হাতের জ্বলন্ত সিগারেটে টান দিয়ে ঊর্ধ্ববদনে হতাশার ধোঁয়া ছাড়ছে! তোমার কি মনে হয় না, এসব কেবল সভ্য জাতিকে অসভ্য করার কৌশল মাত্র?
প্রশ্নের উত্তর দেয়াকে বাহুল্য মনে করল জিদান। কিন্তু ততক্ষণে রাগে-ক্ষোভে রক্তবর্ণ হয়ে উঠল তার চোখ-মুখ। তীক্ষè দৃষ্টিতে আবিদের দিকে তাকিয়ে কর্কশকণ্ঠে বলল- আমার ব্যক্তিগত বিষয়ে নাক গলানোর তুমি কে?
ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বের সুবাদে আবিদ এতক্ষণ নির্বিঘেœ ও স্বাচ্ছন্দ্যে কথা বলে আসছিল। কিন্তু অকস্মাৎ জিদানের রূঢ় ব্যবহারে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল সে। আশপাশের লোকজনের কৌতূহলী দৃষ্টি লজ্জিত করল তাকে। দ্বিতীয় বাক্য উচ্চারণের আগেই ব্যাগটা হাতে নিয়ে পূর্বনির্ধারিত গন্তব্যের দিকে ধীর পদক্ষেপে হাঁটতে হাঁটতে চলে গেল।
দুই.
নিশীথের নিষ্কলুষ স্বচ্ছতায় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বসে জিদানের কর্মপরিণতি নিয়ে ভাবতে ভাবতে সহসা চিন্তিত হয়ে পড়ল আবিদ। কূলকিনারা করতে না পেরে অন্তত জিদানের বাবাকে সত্বর জানানো জরুরি মনে করল সে। যেমন ভাবনা তেমন কাজ। প্রত্যুষে উঠে হ্যান্ডসেটটায় ফোন করল জিদানের বাড়ির নম্বরে। গ্রামের অক্ষরজ্ঞানশূন্য জিদানের বাবা কৃষক মোবারক মিয়া কতক বুঝলেন, কতক বুঝলেন না। যেটুকু বুঝলেন, বিশ্বাস করতে চাইলেন না। কিন্তু আবিদকে আগ থেকে জানতেন বলে অগ্রাহ্যও করতে পারলেন না। আবিদ যখন তাকে বিস্তারিত বুঝিয়ে বলল, বৃদ্ধ গুরুতর বিপদের আশঙ্কা করে মাথায় হাত দিলেন। ছেলেকে ফোন দিয়ে শিগগিরই বাড়িতে ডেকে পাঠালেন। কিন্তু বাহ্যদৃষ্টিতে যখন ছেলের কোনো পরিবর্তন লক্ষ করলেন না তিনি, তখন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে মোবারক মিয়া নিশ্চিন্ত হলেন।
দিনান্তে গ্রামবাংলায় চাষাভুষা মিলে চা-পানের জমজমাট আড্ডা বসে। ঘটনার দুই মাস পরে একদিন, জোয়ান-প্রবীণ নিয়ে চায়ের আসর বেশ জমে উঠেছে। একজন গল্পচ্ছলে কারো চৌদ্দপুরুষ উদ্ধার করছে, আর বাকিরা তন্ময় হয়ে শুনছে। হঠাৎ মোবারক মিয়ার আবির্ভাবে গল্পের সুর কেটে গেল। আসরের মধ্য থেকে গ্রামের চৌকিদার মহাশয় সহাস্যে হাঁক দিয়ে উঠল- আরে মোবারক ভাই যে! আহো, বহো। কই হে ফকা ভাই, লিকার কমাইয়া ন্যাভাইরে এককাপ চা দ্যাও দেহি। শারীরিক কুশলাদি জিজ্ঞাসার পরে একটু ভণিতা করে বলল, পোলাডা তোমার লেখাপড়ায় গাঁয়ের মুখ উজ্জ্বল করছে, মাশাল্লাহ। তা তোমাগো খোঁজ-টোজ লয়নি? অপত্যের উচ্চশিক্ষার প্রসঙ্গ উত্থিত হলে মোবারক মিয়া সর্বদাই পুলকিত হয়ে ওঠেন। স্বতঃস্ফূর্ত উৎসাহের সঙ্গে বলতে লাগলেন, হ, হ, লয়। হপ্তায় একফির হইলেও অর মায়ের লগে কল দিয়া কথা কয়।
চৌকিদার হাস্যোজ্জ্বল ভঙ্গিতে বলল- বেশ, বেশ। তা শহরের আলো-বাতাস পাওয়া পোলা। দিনকাল তো এহন আর ভালা না। খবর টবর রাহো নি কিছু?
মোবারক মিয়া জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকালেন সামনের দিকে। চৌকিদার একটু নড়েচড়ে বসে শুরু করল, হপ্তাহখানেক আগে আমার বড় পোলাডা গেছিল শহরে। কই নাকি দেখছিল তোমার পোলারে। দূর থাইক্যা ডাক দিছিল হ্যারে। তা হ্যায় ফিররাও চায় নাই একবার। পোলা কি তোমার আর পোলা আছে মিয়া! মাইয়াগো সুরতে ঘুরে নাকি হ্যায়! কথাটা শেষ করতেই চৌকিদার মুখের ভাবখানা এমন করল, বোধ করি ওয়াটারলু যুদ্ধ জয়ের পরে ওয়েলিংটনের মুখেও এতটা প্রফুল্লতা দেখা যায়নি। মোবারকের ঔদাসীন্যের অবসরে আশপাশে একটু খোঁচা দিয়ে আরেকটু আমোদ করে নিলো চৌকিদার, কারণ মোবারকের আবির্ভাবের পূর্বের হাসি-ঠাট্টাটা তার পুত্রকে নিয়েই হচ্ছিল। অন্যদিকে মোবারক মিয়া লজ্জায়-ঘৃণায় মাথা হেঁট করে, অর্ধসমাপ্ত চায়ের কাপটা ফেলে রেখে হনহনিয়ে বাড়ির পথ ধরলেন। রোয়াকে কর্মনিযুক্ত মধ্যবয়স্কা স্ত্রীকে অভিধান-বহির্ভূত শ্রাব্য-অশ্রাব্য শব্দাবলিতে সম্ভাষণ করে উঠানে আশপাশের বাড়ির লোকজন জড়ো করলেন। শেষমেশ, জিদানকে ফোন দিয়ে জননীর অসুস্থতার মিথ্যা সংবাদ জানিয়ে অবিলম্বে বাড়ি ফেরার হুকুম জারি করে ক্ষান্ত দিলেন।
চৌকিদারের জ্যেষ্ঠ সুপুত্রের গাঁয়ের প্রতিটি বাটির হাঁড়ির খবর বের করে আনতে পারার যথেষ্ট সুনাম আছে। আর সেই সব খবর গাঁয়ের গলিঘুঁজি ঘুরে ঘুরে, সবার কর্ণগোচর করার গুরুভারও তার উপরেই ন্যস্ত। তাই স্বভাবজাত কারণেই হোক বা হিংসার, শহরফেরত আব্দুল আমোদমিশ্রিত এই সংবাদটি চায়ের বৈঠক থেকে তাসের আসর পর্যন্ত সবখানে নির্বিঘেœ সম্প্রচার করতে লাগল। একে শূন্য দশ হলো, দশে শূন্যে শত, আর শতে শূন্যে সহস্র এবং নিমেষেই আব্দুল এই মহা গুরুত্বপূর্ণ সংবাদটি গ্রামের আনাচে-কানাচে পৌঁছে দিলো। ফলাফল হলো এই, জিদান বাড়িতে ফিরলে গ্রামের মুরুব্বিরা ঠোঁট উল্টিয়ে বলতে লাগলেন, অ্যাহ, এ-ও আবার হয় নাকি? মহিলারা পর্দার আড়াল থেকে গালে-মুখে হাত দিয়ে ‘তৌবা তৌবা’ পড়তে লাগলেন, ছি ছি, এমন তো জন্মেও শুনিনি বাপু! বাল্যসখীরা আপনা থেকে গায়ে পড়ে টিটকারি করতে লাগল, আয় লো সখী, তোকে বধূ সাজিয়ে বিয়ে দিয়ে শ্বশুরবাড়ি পাঠাই। একথা বলে সমবেত কণ্ঠে খিলখিল শব্দে হাস্যকলরব তুলল। ফলত জিদান লজ্জায়-সঙ্কোচে এতটুকু হয়ে গেল। কিন্তু যে অন্ধকারাচ্ছন্ন গোলকধাঁধায় সে প্রবেশ করেছে, সেখান থেকে বের হতেও চাইল না। অনুচিত কর্মের রম্যতা এমনই প্রবল যে, মানুষ তার বন্ধন থেকে সহজে নিজেকে মুক্ত করতে চায় না।
তিন.
ছেলেসন্তানের প্রতি মায়ের স্নেহবাৎসল্য এবং বাবার সঙ্গে কিছুটা মারপিটের সম্পর্ক হওয়ায় ছোটবেলা থেকেই জিদান আর মোবারক মিয়ার মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছিল। আর জিদান যতই বাবার স্নেহ থেকে দূরে সরেছে, ততই মায়ের মমতা আর বোনের ভালোবাসায় সেই ঘাটতি পূরণের চেষ্টা করেছে। আবার ধর্মীয় রক্ষণশীল পরিবারের সন্তান হওয়ায় পাড়ার দুরন্ত ছেলেপুলেদের সাথে দুরন্তপনার ফুরসতও তেমন একটা পায়নি সে। ফলে শৈশব থেকেই পুরুষালি দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে তেমন পরিচিত হয়ে ওঠা হয়নি তার। ওদিকে ভার্সিটিতে পা দিতে না দিতেই রংধনু-পতাকাধারীদের সঙ্গে মিশে চরিত্র-বিকৃতির ষোলকলা পূর্ণ হয়েছে। বিয়াল্লিøশ বছরে পা দিয়ে মোবারক মিয়া উপলব্ধি করলেন, বাবার সংস্পর্শেই কেবল একটি শিশু পুরুষ হয়ে ওঠে। সঠিক সময়ে সন্তানকে সঠিক শিক্ষাটি দিতে না পারলে ভুল সময়ে ভুল মানুষ এসে ভুল শিক্ষাটি দিয়ে যায়। ২২ বছর পরে এসে অনুশোচনা করতে লাগলেন, কেন ছেলেকে ছোটোবেলা থেকে সঙ্গে সঙ্গে রাখলেন না, কেন হাত ধরে হাঁটতে নিয়ে গেলেন না, কেনইবা ছেলের হাতে বাজারের থলেটা-লাঙলের ঈষটা তুলে দিলেন না। এই তো পুরুষত্বের দাবি। শৌর্যে-বীর্যে বলবান পুরুষ যদি প্রসাধনী ব্যাগ স্কন্ধে ঝুলিয়ে মেয়েলি ভঙ্গিতে সঞ্চরণ করে বেড়ায়, তবে যে তা পুরুষের লজ্জা এবং পুরুষত্বের অপমান। তবে, এই মুহূর্তে ভাবনা ছাড়া আর যে পথ নেই। ব্যঞ্জন যে সম্মুখেই উপস্থিত! চক্ষু মুদ্রিত করে ভক্ষণ ব্যতীত আর উপায় কী?
লোকসমাজের নিন্দার বিষ এবং আপনজনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া হজম করতে না পেরে গৃহত্যাগে উদ্যত হয়ে মোবারক মিয়া শেষবারের মতো সন্তানের কাছে আকুতি জানালেন। কিন্তু বিনম্রভাবে তা প্রত্যাখ্যান করলো জিদান। মোবারক মিয়া ক্রোধান্বিত হয়ে অগ্নিদৃষ্টি নিক্ষেপ করে ক্ষিপ্ত কণ্ঠে চেঁচিয়ে উঠলেন, বাইর হইয়া যা আমার বাড়ি থেইক্যা। তোর মতো কুলাঙ্গার পোলা লাগব না আমার। আর আহিস না তুই বাড়িতে, আর আহিস না। শেষোক্ত কথাটা কয়েকবার পুনরুক্তি করে মোবারক মিয়া দরজার হাতলটা ধরে ধীরে ধীরে মেঝেতে বসে পড়লেন। চোখেমুখে তীব্র বেদনার ছাপ স্পষ্ট হয়ে উঠল। জিদান ততক্ষণে বাড়ির আঙিনা ডিঙিয়ে পথের মধ্যে অদৃশ্য হয়ে গেছে। জননী আড়ালে দাঁড়িয়ে আঁচলে কয়েক ফোঁটা অশ্রু মুছে নিয়ে জানালা দিয়ে তাকিয়ে রইলেন শ্রীহীন পথের পানে।
চার.
মাঝখানে কেটে গেল বেশ ক’টি বছর। বাড়ির কারো সাথে যোগাযোগ রইল না জিদানের। হঠাৎ একদিন শেষ বিকেলে বাড়ি ফিরল জিদান। দিনের শেষ মুহূর্তের কাজ আঞ্জাম দিচ্ছেন জিদানের বাবা। আকস্মিক ছেলেকে দেখে ভূত দেখার মতো চমকে উঠলেন। একি তার ছেলে জিদান! কি চেহারা কি হয়েছে। কি শরীর কি হলো! চোখ দুটো কোটরে ঢুকে গেছে। বাবাকে দেখে উপুড় হয়ে পায়ে পড়ল। বলল, বাবা আমি ভয়াবহ ভুল করেছি। আমি আর কখনো এমন করব না। আমাকে ক্ষমা করে দাও বাবা। বাবা চোখের অশ্রু ছেড়ে উপুড় হয়ে ছেলেকে বুকে চেপে হু হু করে কেঁদে উঠলেন। ততক্ষণে আঁচলে চোখ মুছতে মুছতে পাশে দাঁড়ালেন জিদানের মা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা