নদী ফুরিয়ে গেলে
- আ বু জু বা য়ে র
- ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
নদী ফুরিয়ে গেলে সঞ্চিত ক্ষার গলিয়ে
বালুকা বেলায় জমে ওঠে জঠর ফুটন্ত রক্ত,
অগ্নিমেঘের মিছিলে দাঁড়ায় বিবশ কঙ্কাল।
পার্থিব জলের তলায় ঢুকে যায় অনন্ত বিষণœতা,
স্রোতের স্বরলিপি ভুলে যায় তৃণমূলে বাঁধা আত্মচিহ্ন।
জলপিপাসু মাছেদের ছিন্নভিন্ন স্নায়ুগুলো
বিকলাঙ্গ রোদে উন্মুক্ত হয়ে পচে যায়,
প্রস্তরীভূত ভূমিজ শিরায় থমকে থাকে
শব্দহীন লৌকিক ব্যাকরণ।
তোমার কণ্ঠে বিদ্রোহের অভিশাপ ভেঙে,
আমি খুঁজতে থাকি দহনকাব্যের প্রান্তচিহ্ন।
নদী ফুরিয়ে গেলে শবযাত্রার সারি বাড়ে,
অহঙ্কারহীন মৃতদেহে বুনো শালিকেরা
লেখে যায় নৈঃশব্দ্যের শ্লোক।
মাটির শিরায় জমাট বাঁধা রক্তের মতো
জীবনের গহ্বর থেকে উঠে আসে
পলিমাটির সবুজ সত্তা,
যা একদিন ইতিহাসের উত্থিত চিতার জ্বালানি।
আমাদের শিকড়ে লেগে থাকা নোনা জল
পৃথিবীর ক্ষয়ে যাওয়া ত্বক চুষে নেয়,
তবু বিদীর্ণ কালের সমাধি থেকে
তোমার চোখের চূড়ায় জেগে থাকে
চূর্ণ বিন্দু জল।
সেই জল কী হবে? আমার নিঃশেষ কবিতার
শেষ স্রোতের প্রতœনদী? নদী ফুরিয়ে গেলে?
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা