হুমায়ূননামা
- জাকির আবু জাফর
- ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
তিনি তারুণ্যের চোখে লেপে দিলেন মধ্যবিত্তের রঙ
বুকে বাংলা-মাটির মমতা গুঁজে
বিশ্বাসে রুয়ে দিলেন ঐতিহ্যের বীজ!
চোখ থেকে দূরবর্তী চশমাটি খুলে
দেখালেন পাঁজর পাঠের কৌশল
কী অদ্ভুত গন্ধে ফুরফুরে
যুবারা যারপরনাই বাক-বাকুম
তারুণ্যের ঠোঁটে একটি নাম- হুমায়ূন
অর্থাৎ হুমায়ূন আহমেদ
হ্যাঁ হুমায়ূন, একাই একটি জগৎ
একটি নিজস্ব পৃথিবীর রচয়িতা
আমাদের ফসলের ছায়ার মৌনতা কিংবা
ঘাসের গন্ধের দিকে মুখ রেখে বললেন-
দেখো এই মেঠো-মন কিভাবে ধুয়ে যায় জোছনায়
কিভাবে তালুতে ছড়ায় চাঁদের কুসুম
রাতজ্বলা জোনাকির জ্যোতিগুলো একদমই দেশজ
আমাদের নদীগুলো বুকে তুলে দেখো
ঘোলা ও নোনা জলে মিশে আছে পূর্বপুরুষের ঘাম
সবুজ শরীরে আমাদের সমুদ্র বিলাস
মুখ ধুতে কোষে তুলি বঙ্গোপসাগর
দেখো না আদিগন্তে ঝিম সবুজ বাংলাদেশ!
চোখ ঠেরে লাভ নেই, খোলা চোখেই দেখো
দেখো আমাদের আকাশে একটিও কলঙ্ক নেই
রাত ও দিনের দেহে খুঁত নেই এতটুকু
কোনো রোদই পুরনো নয় আমাদের
ছায়াগুলো তাৎক্ষণিক, তরতাজা
কোনো বৃষ্টিই নয় গতকালের বাসি
আমাদের মেঘগুলো আমাদের সমুদ্র থেকেই জন্মায়
ইচ্ছে হলে কান পাতো হাওয়ার সেতারে
শোনো তরতরা মৌসুমি গান।
কিভাবে প্রেম ও বিরহের গল্পগুলো আবেগের সুতোয় সেলাই করা যায়, তারই নিপুণ চিত্রটি আঁকলেন তিনি
দৃঢ়তার সাথে বললেন- এ জাতির আছে দাঁড়ানোর আধুনিক সিঁড়ি, আছে প্রেরণার দ্রুততম যান
খোঁচা কেটেই দেখো কিভাবে রক্তের ফিনকি থেকে জন্মায় একেকটি সাহসের বারুদ
ধার করা মেঘের বৃষ্টিতে আমাদের পোষায় না
চড়চড়ে সূর্য রেখে কেনো ঋণ নেবো ঘোলাটে রোদ
২.
কিভাবে জোছনা ঘেঁটে তুমিই হিমু, টের পাই বেশ
কপালে চাঁদ তুলে চোখ থেকে ধুয়ে দিতে ঘুমের নদী
জোনাকির আদলে ঝরত তারার বৃষ্টি
মেঘের বুক থেকে কেমন করে বৃষ্টি নামে
এই ভাবতে ভাবতেই তুমি মিসির আলী
ফুলের গন্ধ সুড়সুড়ি দিলেই তুমি হলুদ হিমু
দুচোখে অপার সমুদ্র মেখে তুমি একজন শুভ্র
ভাঙা চালার ফাঁকে জোছনার মুদ্রাগুলো ধরতেই
নাই হওয়ার বিস্ময়টুকু বেদনার পাথর হয়েছিল তোমার বুকে
কাসিম জীবনের দীর্ঘতায় তুমুল ঈর্ষায় মানুষের
সংক্ষিপ্ত জীবন নিয়ে ছিল আফসোস!
তবুও একটি খরগোশের চোখ-ক্যামেরার বিস্ময়ে তুমি পরিতৃপ্ত ছিলে অদৃশ্যের প্রতি!
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা