০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬
`
বিশ্বসাহিত্যের টুকিটাকি

পাস্কেল পেপিটের উপন্যাস গদ্যের চমৎকার প্রকাশ

-

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কবিতার চর্চা কমে গেছে বলে অনেকের ধারণা। উপন্যাসের প্রতি পাঠকের ঝোঁক লেখকদেরই কথাসাহিত্যমুখী করেছে সন্দেহ নেই। আর চলছে ক্রাইম নভেলের বিপুল চর্চা। কবিতা অন্ত প্রাণ পাস্কেল পেটিট সম্ভবত সেই লক্ষ্যেই অগ্রসর হয়েছেন। ‘মাই হামিংবার্ড ফাদার’ হচ্ছে পাস্কেল পেটিটের নতুন বই। আর এটি হচ্ছে তার প্রথম উপন্যাস। অনেক কবিতার বই করার পর এ বছর বের হলো তার এই উপন্যাস। এর রিভিউ করেছেন সম্প্রতি গার্ডিয়ানের সানা গয়াল। তিনি বলেছেন, ‘কবির শিল্প ও অপব্যবহারের কাহনিটি দীর্ঘকালের হারানো স্মৃতি উন্মোচনের জন্য একজন মহিলার অনুসন্ধানকে স্পষ্টভাবে উদ্ভাসিত করে। পুরস্কারপ্রাপ্ত কবির এই ভুতুড়ে ও সম্মোহনী প্রথম উপন্যাসে জীবন শিল্পের অনুকরণ করে এবং শিল্প জীবনের অনুকরণ করে।’ লন্ডন, প্যারিস এবং অ্যামাজন রেইনফরেস্টের মধ্যে সেট করা এর কাহিনী হচ্ছে একজন চিত্রশিল্পী ডমিনিকের গল্প, যিনি তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে তার বাবাকে দেখেননি। তিনি ছয় বছর বয়সে পরিবার পরিত্যাগ করেছিলেন। তিনি অ্যাঞ্জেল জলপ্রপাত দেখতে ভেনিজুয়েলায় ভ্রমণ করেন, কিন্তু এর পরিবর্তে ‘পৃথিবীর সবচেয়ে বন্য স্থানে’ তার বাবার মুখ দেখেন। লন্ডনে ফিরে তিনি তার কাছ থেকে একটি চিঠি পান, যাতে লেখা আছে তিনি মৃত্যু পথযাত্রী। এ খবরে শিল্পী ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, আমি তার দ্বিতীয় প্রস্থানের জন্য শোক করছি। তিনি কেবল আমাদের ছেড়ে যাওয়ার জন্য যোগাযোগ করেছিলেন। এরপর একটি মহাকর্ষ বল ডমিনিককে প্যারিসে নিয়ে যায়, যেখানে তার বাবা ল্যাটিন কোয়ার্টারে থাকেন। সেখানে তিনি অবদমিত স্মৃতি খুঁজে পান। পান ৩৭ বছরের সুপ্ত অনেক কিছু। যখনই বাবা তাকে ছেড়ে চলে যায়। এত বছর আগে তার কী হয়েছিল? তার মা এবং তার বোন ভেরোর কী হয়েছিল এবং কেন তারা আর একটি পরিবার নয় এসব প্রশ্ন তার সামনে। সমালোচক বলেন, পেটিট দক্ষতার সাথে গদ্যের একটি চমৎকার ট্যাপেস্ট্রি বুনেছেন। ল্যান্ডস্কেপ এবং ভৌগোলিক, অতীত এবং বর্তমান, মানব ও প্রাকৃতিক জগত, শব্দ এবং চিত্র, ফরাসি কংক্রিটের জঙ্গল এবং আমাজনীয় বনের সংমিশ্রণ এবং সুপারইমপোজিশনে ‘দিনগুলোকে একে অপরের সাথে মিশে যায়’। প্যাসকেল পেটিট ফ্রান্সের প্যারিসে জন্মগ্রহণ করেন এবং ইংল্যান্ডের কর্নওয়ালে থাকেন। তিনি ফরাসি, ওয়েলশ এবং ভারতীয় ঐতিহ্যের অনুসারী। তার অষ্টম কবিতা সংগ্রহ, টাইগার গার্ল (ব্লাড্যাক্স বুকস প্রকাশিত, ২০২০) সেরা কবিতা সঙ্কলন হিসেবে ২০২০ সালের ফরোয়ার্ড পুরস্কার পায় এবং ২০২১ ওয়েলস বুক অফ দ্য ইয়ারের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত হয়েছিল। তার সপ্তম কবিতা সংকলন মামা অ্যামাজোনিকা (২০১৭), ইকো-কবিতার জন্য উদ্বোধনী (২০২০) লরেল পুরস্কার জিতেছে, ২০১৮ রয়্যাল সোসাইটি অফ লিটারেচার ওন্ডাতজে পুরস্কার জিতেছে, ২০১৮ রোহ্যাম্পটন পুরস্কারের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। তিনি প্রথম জীবনে একজন ভিজ্যুয়াল শিল্পী এবং এর পর পোয়েট্রি স্কুলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষক ছিলেন। ২০১৮ সালে তিনি রয়্যাল সোসাইটি অফ লিটারেচার ফেলো নির্বাচিত হন।


আরো সংবাদ



premium cement