১৮ অক্টোবর ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩০, ১৪ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

নোবেলজয়ী হান ক্যাঙ তার সাহিত্য

নোবেলজয়ী হান ক্যাঙ তার সাহিত্য -

এ বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার লেখিকা হান ক্যাঙ। গত ১০ অক্টোবর সুইডেনের স্টকহোম থেকে এ বছরের সাহিত্যে নোবেলজয়ীর নাম ঘোষণা করে রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি। সাইটেশনে বলা হয়, হান ক্যাঙয়ের লেখায় মানবজীবনের দুঃখ-কষ্টের নানা দিক ও ইতিহাসের সাথে এর সম্পর্ক প্রকাশ পেয়েছে। ইতিহাসের বিভিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে মানুষের জীবন ও অনুভূতিগুলোকে খুব তীক্ষè ও কাব্যিকভাবে বর্ণনা করেছেন তিনি। নোবেল কমিটি তার প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘তিনি সঙ্গীত ও শিল্পের জন্য তার জীবন উৎসর্গ করেছেন। --- ‘তার কাজ বিভিন্ন ধরনের শৈলীকে একত্র করে নতুন কিছু তৈরি করেছে। এই কাজগুলোয় সহিংসতা, শোক ও পিতৃতান্ত্রিক সমাজের মতো জটিল বিষয়গুলোকেও তুলে ধরেছেন তিনি।’ সাহিত্যে নোবেলজয়ী নির্ধারণ করে সুইডিশ অ্যাকাডেমি। নোবেল পুরস্কারের উদ্যোক্তা আলফ্রেড নোবেল উইল করে বিষয়টি ঠিক করে গিয়েছিলেন। ১৯০১ সাল থেকে নোবেল সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে। হান ক্যাঙ ১৮তম নারী, যিনি সাহিত্যে বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাবান এ পুরস্কারে জিতেছেন। বলা হচ্ছে- She was awarded the 2024 Nobel Prize in Literature for "her intense poetic prose that confronts historical traumas and exposes the fragility of human life", becoming the first Asian female Nobel Prize laureate in Literature and the second Korean Nobel Prize laureate.
(উইকিপিডিয়া)

হান ক্যাঙয়ের নাম ঘোষণার পর তার অনুভূতি জানার জন্য সুইডিশ কমিটি ফোনে তার সাথে কথা বলেন। সুইডিশ অ্যাকাডেমির স্থায়ী সেক্রেটারি ম্যাটস মালম বলেন, ‘তিনি একদম স্বাভাবিক ভঙ্গিতে তার দৈনন্দিন কাজকর্মে ব্যস্ত ছিলেন। মাত্র ছেলের সাথে রাতের খাবার শেষ করেছেন। তিনি এত তাড়াতাড়ি এমন একটি খবর শুনে কিছুটা অবাক হয়েছিলেন। পরে আমরা ডিসেম্বর মাসে নোবেল পদক তার হাতে তুলে দেয়া নিয়ে আলোচনা করি।’ ফোনকলে হান ক্যাঙ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি সত্যিই অবাক হয়েছি ও সম্মানিত বোধ করছি। কোরিয়ান সাহিত্য আমার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এখানেই আমার বেড়ে ওঠা। এই পুরস্কার কোরিয়ান সাহিত্যের পাঠক ও আমার সাহিত্যিক বন্ধুদের জন্যও একটি বিশেষ উপহার।’ অন্যান্য বিভাগের নোবেল বিজয়ীদের মতো হান ক্যাঙ পাবেন একটি সোনার নোবেল মেডেল, একটি সনদ ও মোট ১১ মিলিয়ন বা এক কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা। বর্তমানে এর বাজারমূল্য ১০ লাখ ৬৭ হাজার মার্কিন ডলার, বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১২ কোটি ৮০ লাখ টাকা। ২০২২ সালে ফরাসি লেখিকা অ্যানি এরনো এই পুরস্কার পেয়েছিলেন। হান ক্যাঙ হলেন এশিয়ার প্রথম নারী লেখক যিনি নোবেল পুরস্কার জিতেছেন।

২০১৬ সালে তিনি ম্যান বুকার ইটারন্যাশনাল প্রাইজ লাভের মধ্য দিয়ে লাইম লাইটে আসেন। এর আট বছর পর নোবেল জয়ের মধ্য দিয়ে তার ষোলকলা পূর্ণ হলো বলা যায়। তার নোবেল প্রাপ্তির মধ্য দিয়ে জাপানের বিখ্যাত লেখক হারুকি মুরাকামির নোবেল প্রাপ্তির আশা তিরোহিত হলো বলা চলে। অনেক বছর পরে নোবেল সাহিত্য পুরস্কার এলো এশিয়াতে। কিন্তু বইয়ের জগতে জীবন্ত কিংবদন্তি হিসেবে পরিচিত মুরাকামির এশিয়ান হিসেবে এই পুরস্কার পাবার সম্ভাবনা কার্যত আর থাকল না। বিগত কয়েক বছর ধরে মুরাকামির নাম সম্ভাব্য হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছিল। ২০১৬ সালে হান ক্যাঙয়ের সাহিত্যিক জীবনে একটি নতুন মাত্রা যোগ হয়। যখন তিনি ‘দ্য ভেজিটেরিয়ান’ বইটির জন্য ম্যান বুকার ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ পান। বইটি যদিও তারও প্রায় এক দশক আগে প্রকাশিত হয়েছিল। কিন্তু ডেবোরা স্মিথের ইংরেজি অনুবাদ ২০১৫ সালে প্রকাশিত হওয়ার পরই এটি বিশ্বব্যাপী পাঠকদের কাছে পৌঁছে যায়। ২০১৮ সালে হান ক্যাঙয়ের তৃতীয় উপন্যাস ‘দ্য হোয়াইট বুক’ও বুকার ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজের শর্টলিস্টভুক্ত হয়েছিল।

নোবেল পুরস্কারে লেখকরা প্রাধান্য বিস্তার করে আছেন, এ পর্যন্ত মাত্র ১৭ জন লেখিকা এ পুরস্কার পেয়েছেন। ২০২২ সালে ফ্রান্সের অ্যানি এরনক্স পেয়েছিলেন আর এবার পেলেন হান ক্যাঙ। তার পুরস্কার প্রাপ্তিকে লেখিকাদের উচ্চকিত করা হলো বলে মনে করা হচ্ছে। আর দক্ষিণ কোরীয় একজন লেখিকার এই পুরস্কার বিজয়ে এশিয়াজুড়ে আনন্দ হিল্লোল বইবে এটা স্পষ্ট। তবে কোরিয়া যে বিশ্বসাহিত্য অঙ্গনে নতুন করে পাকা আসন করে নিতে চলেছে সে কথাও মনে রাখতে হবে। কোন কোরীয় সাহিত্যিকের জন্য এটা যেমন বড় বিজয় তেমনি, এশিয়ার দিকে নতুন দৃষ্টি নিক্ষেপও অভিনিবেশসহকারে দেখা হবে সে কথা বলাই বাহুল্য।

২.
হান ক্যাঙ-এর জন্ম ১৯৭০ সালের ২৭ নভেম্বর গোয়াংজুতে। গোয়াংজু সিউলের পর দক্ষিণ কোরিয়ার একটি বড় শহর। তার পিতা হান সিয়ুং-ওনও একজন ঔপন্যাসিক। বলতে গেলে তার লেখক হয়ে ওঠা তার পিতার পথ ধরেই। তিনি ইয়োনসি বিশ্ববিদ্যালয়ে কোরীয় সাহিত্য নিয়ে লেখাপড়া করেছেন। তার ভাই হান ডং রিমও একজন লেখক। হান ক্যাঙ লেখা শুরু করেছেন কবিতা দিয়ে। তার একটি লেখা লিটারেচার অ্যান্ড সোসাইটি পত্রিকার শীত সংখ্যায় বেশ গুরুত্ব সহকারে প্রকাশিত হলে তিনি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। ১৯৯৩ সালে পাঁচটি কবিতা প্রকাশ করে তিনি সাহিত্যজগতে পা রাখেন। এরপর একটি ছোটগল্পের মাধ্যমে কথাসাহিত্যে তার পথচলা শুরু। দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল ইনস্টিটিউট অব আর্টসের সৃজনশীল লেখার শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি তিনি সাহিত্যচর্চা করেন। পরের বছর তার একটি গল্প ডেইলি সিউল শিনমুন এর স্প্রিং লিটারেরি কনটেস্টে বিজয়ী হওয়ার পর তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। এরপর এ পর্যন্ত তার সাতটি উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে। এরপর পেয়েছেন একের পর এক সাহিত্য পুরস্কার। তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের ইনস্টিটিউট অব আর্টস এর ক্রিয়েটিভ রাইটিং বিষয়ের একজন শিক্ষক। তিনি এর আগে ই সাং লিটারেরি প্রাইজ, টুডেজ ইয়ং আর্টিস্টস অ্যাওয়ার্ড এবং কোরিয়ান লিটারেচার নোভেল অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন।

হান নিজে একজন সঙ্গীতবিদ এবং সেই সাথে ছবি আঁকায়ও হার হাত আছে। তার লেখালেখিতে প্রায়শই এ সবের ছাপ পড়ে। তার নিজের লেখা, সুর করা ও গাওয়া গানের সিডিও রয়েছে। হান ১৯৯৯ সালে তার নভেলা বেবি বুদ্ধের জন্য ২৫তম কোরীয় নোভেল অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। বেবি বুদ্ধ ও দ্য ভেজিটেরিয়ান নিয়ে চলচ্চিত্রও নির্মিত হয়েছে। ভেজিটেরিয়ান চলচ্চিত্র দেশে বিদেশে কয়েকটি অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছে। দ্য ভেজিটেরিয়ান ইংরেজিতে অনূদিত তার প্রথম উপন্যাস। তার লেখা বই ৩০টির বেশি ভাষায় অনূদিত হয়েছে।

৩.
হানের প্রথম বই ‘এ কনভিক্টস লাভ’ প্রকাশিত হয় ১৯৯৫ সালে। এটি তার ভাষা বৈশিষ্ট্যের গুণে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। একই বছর প্রকাশিত হয় তার কবিতা সঙ্কলন ‘লাভ অব ইয়োস’। ১৯৯৮ সালে হান যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়াতে ইউনিভার্সিটি অব আইওয়া ইন্টারন্যাশনাল রাইটিং প্রোগ্রামে অংশ নেন। ১৯৯৮ সালে কোরিয়া থেকে প্রকাশিত হয় তার উপন্যাস ‘দ্য ব্ল্যাক ডিয়ার’। ২০০০ সালে কোরিয়াতে প্রকাশিত হয় ‘ফ্রুটস অব মাই ওম্যান’। এর পর প্রকাশিত হয় তার আরো চারটি উপন্যাস : ইয়োর কোল্ড হ্যান্ড (২০০২), দ্য ভেজিটেরিয়ান (২০০৭), ব্রিথ ফাইটিং (২০১০) এবং গ্রিক লেসন্স (২০১১) ।

দ্য ভেজিটেরিয়ান তিন খণ্ডে লেখা একটি উপন্যাস। বলা হয়ে থাকে পরাবাস্তববাদী উপন্যাস। এর কেন্দ্রীয় চরিত্র একজন দায়িত্বসচেতন কোরীয় স্ত্রী ইয়ং হাই। যিনি স্বপ্নের দ্বারা কমবেশি তাড়িত, তিনি একদিন সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি ভেজিটেরিয়ান অর্থাৎ নিরামিশ ভোজি হবেন, গোশত খাবেন না। দক্ষিণ কোরিয়ার ফুড হ্যাবিট বা খাদ্যাভ্যাস অনুযায়ী যা তিনি খুবই আনকমন বা ব্যতিক্রমী ঘটনা। বলা যত সহজ সারা জীবন গোশত বর্জন করা তত সহজ নয়। তবে ভারতে এমনকি আমাদের দেশেও বিপুলসংখ্যক মানুষ পাওয়া যাবে যারা নিরামিষাশী। কিন্তু কোরিয়ায় তা ব্যতিক্রমী মাত্র। এই ব্যতিক্রমী চরিত্র সৃজনই এই উপন্যাসের মূল বৈশিষ্ট্য। ইয়ং হাই চরিত্রের এই আখ্যান, তার আত্মীয়স্বজনের বিশেষ করে তার বোন ও ভগ্নিপতির সাথে এ নিয়ে ঘটে যাওয়া ঘটনা প্রাণ পেয়েছে এই উপন্যাসে। তিনটি ভিন্ন ভিন্ন কণ্ঠে তিনটি ভিন্ন প্রেক্ষাপটে একজন সাধারণ নারীর প্রচলিত রীতি ভাঙার চমৎকার আখ্যান দ্য ভেজিটেরিয়ান। একজন স্ত্রীর ধীরে ধীরে নিরামিষাশী হয়ে যাওয়ার কাহিনী চমৎকারভাবে এ উপন্যাসে উঠে এসেছে। এর ভাষা অনন্য সাধারণ হওয়ায় তা পাঠককে আপ্লুত করে। উত্তর কোরিয়া কমিউনিস্ট নিয়ন্ত্রিত আর দক্ষিণ গণতান্ত্রিক। এই সুবাদে সেখানে মার্কিনি প্রভাব বেড়েছে। লেখালেখির দুনিয়ায় নিয়ন্ত্রণ না থাকায় দক্ষিণ কোরীয় সাহিত্য বৈশ্বিক সাহিত্যের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়েছে। হাং এর উত্থান সে কথাই বলছে।

৪.
হান যেমন নতুন আখ্যান নতুন ভাবনা নিয়ে আসেন লেখায় এটা তার সচেতনতার পরিচায়ক। তার সচেতনতার আরো পরিচয় বহন করে তার কথার তার যুদ্ধবিরোধী মনোভাবের মাধ্যমে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ও ইসরাইল-ফিলিস্তিন সঙ্ঘাতের বৈশ্বিক বিপর্যয়ের কারণ দেখিয়ে তিনি সংবাদ সম্মেলন করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। এখানে তার যুদ্ধবিরোধী মনোভাবেরই প্রকাশ ঘটেছে। তার বাবা প্রখ্যাত সাহিত্যিক হান সেউং-ওন দক্ষিণ জোল্লার ঝাংহেওংয়ে একটি সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান। তিনি বলেন, ‘হান ক্যাঙ আমাকে বলেছে, ‘যুদ্ধ বাড়ছে এবং প্রতিদিন মানুষ মারা যাচ্ছে, এমন সময়ে আমরা কিভাবে উদযাপন করতে পারি? সে এ নিয়ে কোনো সংবাদ সম্মেলন করবে না।’ ১০ অক্টোবর সন্ধ্যায় সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার ঘোষণার পর, হান সিউং-ওন তার মেয়ের সাথে কথা বলেন এবং সংবাদ সম্মেলন আয়োজনের জন্য একটি প্রকাশনা সংস্থা নির্বাচন করার পরামর্শ দেন। শুরুতে রাজি হলেও, হান ক্যাঙ পরে তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। তিনি বলেন, ‘তার দৃষ্টিভঙ্গি কোরিয়ায় বসবাসকারী একজন লেখক থেকে বৈশ্বিক লেখকের চেতনায় পরিবর্তিত হয়েছে। তবে আমি কোরিয়ায় বসবাসকারী একজন পুরস্কারজয়ীর বাবা হওয়ার অনুভূতি ঝেড়ে ফেলতে পারিনি, তাই আমি এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছি।’ নোবেল বিজয় উপলক্ষে হান ক্যাঙ তার বাবাকে কোনো উৎসবের আয়োজন করতেও নিরুৎসাহিত করেন। সংবাদ সম্মেলনে তার বাবা বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম স্থানীয় মানুষদের জন্য একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করব। কিন্তু আমার মেয়ে এতে মানা করে বসে। হান বলেছে, দয়া করে এই দুঃখজনক ঘটনার (দুই যুদ্ধকে ইঙ্গিত) সাক্ষী হয়ে কোনো আনন্দ উৎসব উদ্যাপন করবেন না।

এই যুদ্ধবিরোধী মনোভাব হান ক্যাঙকে অনেক দূর এগিয়ে নেবে বলে সাহিত্য বোদ্ধাদের অভিমত। ২০২৩ সালে তার চতুর্থ উপন্যাস ‘গ্রিক লেসনস’ ইংরেজিতে অনূদিত হয়। দ্য আটলান্টিক সাময়িকী এটির ভূয়সী প্রশংসা করেছে। হানের নতুন উপন্যাস উই ডু নট পার্ট এর ইংরেজি অনুবাদ ২০২৫ সালে প্রকাশিত হবে। এই উপন্যাসে ১৯৪৮-৪৯ এর জিজু গণ-অভ্যুত্থানের কাহিনী সেট করা হয়েছে। আছে পরিবারগুলোতে এর ইমপ্যাক্ট নিয়ে চিত্র। ২০২৩ সালে এই বইটির ফরাসি অনুবাদ ফ্রান্সের প্রিঁ মেডিসিস সাহিত্য পুরস্কার লাভ করে।

৫.
হান ক্যাঙয়ের রচনাশৈলী ও ভাষাবৈশিষ্ট্য অন্যদের থেকে আলাদা। এক সমালোচক বলেন, One notable aspect of Han Kang's writing style is its poetic quality. Her prose often flows with a lyrical rhythm, imbuing her narratives with a sense of beauty and elegance. This poetic language serves to heighten the emotional resonance of her stories, drawing readers into the inner worlds of her characters.--- In addition to its poetic nature, Han Kang's writing style is marked by its meticulous attention to detail.

- অর্থাৎ ‘হান ক্যাঙ-এর রচনাশৈলীর একটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো এর কাব্যিক গুণ। তার গদ্য প্রায়শই একটি গীতি ছন্দ বা লিরিক্যাল রিদমের সাথে প্রবাহিত হয়, তার আখ্যানগুলোকে সৌন্দর্য এবং কমনীয়তার অনুভূতি দিয়ে আবদ্ধ করে। এই কাব্যিক ভাষাটি তার গল্পগুলোর আবেগময় অনুরণনকে উচ্চকিত করে, পাঠকদের তার চরিত্রগুলোর অভ্যন্তরীণ জগতের দিকে আকর্ষণ করে।-- এর বাইরে তিনি বিষয়ের গভীরে যান, বিস্তারিত তুলে ধরেন।’

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পশ্চিমী জগতে দক্ষিণ কোরীয় অনুবাদ গ্রন্থের বিক্রি বেড়েছে। বিশিষ্ট কোরীয় লেখক কিম হেস্যুসহ অন্যান্যদের বই বিক্রি হচ্ছে। হানের এই পুরস্কার লাভের সুবাদে কোরিয়ার সাহিত্য আরো চাঙ্গা হবে এবং আরো অনুবাদের সুযোগ সৃষ্টি হবে, যার ফলে এই সাহিত্য বিশ্ব অঙ্গনে পঠনপাঠন বাড়বে।


আরো সংবাদ



premium cement
‘ক্ষমতায় থাকার জন্য হাসিনা এত মানুষ হত্যা করেছে, যা ইতিহাসে নেই’ আমি রেজাল্ট চাই না, আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই : শহিদ সবুজ মিয়ার মা ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে জয়খরা ঘুচাল পাকিস্তান যেভাবে শহিদ হন ইয়াহিয়া সিনওয়ার অন্তর্বর্তী সরকারে যোগ হতে পারে নতুন মুখ! শুক্রবার ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ ছাত্র অসন্তোষের জেরে পাঞ্জাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাশিয়াকে সমর্থন প্রশ্নে বেইজিংকে ‘চ্যালেঞ্জ’ করতে চীনে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেয়া মানে অপরাধকে প্রশ্রয় দেয়া : ভারতকে রিজভী রিপাবলিকান-সমর্থিত নির্বাচনী বিধি বাতিলের রায় জর্জিয়ার বিচারকের ইইউ বৈঠকে জয়ের পরিকল্পনা পেশ জেলেনস্কির

সকল