২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬ পৌষ ১৪৩১, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
ব ই আ লো চ না

‘জার্নি টু দ্য প্যারালাল ওয়ার্ল্ড’ : ভিন্ন চিন্তার গল্প

-

শিশু-কিশোরদের মনে আনন্দ দেয়ার পাশাপাশি কল্পনার জগতের দ্বার উন্মুক্ত করে দেয়াই মূলত সায়েন্স ফিকশনের উদ্দেশ্য। জুলভার্ন, এইচ.জি ওয়েলস, আর্থার কোনান ডোয়েল প্রমুখ সাহিত্যিক সায়েন্স ফিকশন রচনা করে বিশ^ব্যাপী প্রশংসিত হয়েছেন। তাদের লেখা থেকে একাধিক ভাষায় সিনেমা তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশেও সায়েন্স ফিকশনের বড় একটি পাঠক শ্রেণী রয়েছে। শুরুটা জগদীশচন্দ্র বসুর হাত ধরে হলেও একুশ শতকের গোড়ার দিকে হুমায়ূন আহমেদ ও মুহম্মদ জাফর ইকবালের লেখা সায়েন্স ফিকশন তুমুল জনপ্রিয়তা পায়।
সায়েন্স ফিকশনের পাঠকদের কাছে পছন্দের একটি বিষয় হলো- ভবিষ্যতের পৃথিবী। ভবিষ্যতে মহাবিশে^ কী ঘটবে, অন্য গ্রহে মানুষ কিংবা অন্য কোনো প্রাণীর অস্তিত্ব আছে কি না, আগামী একশ বা এক হাজার বছর পর মানবসভ্যতার কী কী পরিবর্তন ঘটতে পারে সায়েন্স ফিকশন বা কল্পবিজ্ঞানের বইয়ের পাতায় এসব পড়তেই পছন্দ করে থাকে বেশির ভাগ কিশোর পাঠক। এ কথাও সত্য যে, কিশোর উপযোগী হলেও সায়েন্স ফিকশনের প্রতি সব বয়সী পাঠকেরই কমবেশি দুর্বলতা আছে। বিশিষ্ট গল্পকার ও গবেষক আশরাফ পিন্টু তার ‘জার্নি টু দ্য প্যারালাল ওয়ার্ল্ড’ বইটিতে তার কল্পনার শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ইউনিভার্স বা সমান্তরাল বিশে^র ধারণা নিয়ে বিভিন্ন স্বাদের ২০টি গল্প লিখেছেন।
প্যারালাল ইউনিভার্স বা সমান্তরাল বিশ^ মানে এই অসীম মহাশূন্যে অসংখ্যা মহাবিশ^ রয়েছে যার মধ্যে একাধিক পৃথিবীও রয়েছে যা একটি অন্যটির প্রতিরূপ। ইংরেজিতে বলে প্যারালাল ওয়ার্ল্ড বা মিরর ওয়ার্ল্ড। এই মিরর ওয়ার্ল্ড দেখতে আমাদের পৃথিবীর মতোই, একেবারে যেন টুইন ওয়ার্ল্ড বা যমজ বিশ^। প্যারালাল ইউনিভার্স সম্পর্কে সর্বপ্রথম ধারণা দেন বিজ্ঞানী এরভিন শ্রোডিঙার। এরপর অন্য বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে এই তত্ত্বকে যাচাই-বাছাই করে বলেন যে এই মহাবিশে^ আমাদের মতো অনেক পৃথিবী থাকতে পারে যা আমাদের পৃথিবীরই মিরর ইমেজ বা মিরর ওয়ার্ল্ড। আমরা যেমন পৃথিবীতে বিভিন্ন কাজ-কর্ম করছি তারাও আমাদের সমান্তরালে বিভিন্ন কাজ-কর্ম করছে যারা দেখতেও হুবহু আমাদেরই মতো চেহারার।
সায়েন্স ফিকশনে বৈচিত্র্যেও পাশাপাশি লেখকের শিরোনাম নির্ণয়েও বিশেষ বৈচিত্র্য লক্ষ করা যায়। উল্লিখিত সায়েন্স ফিকশন ছাড়াও ‘জার্নি টু দ্য প্যারালাল ওয়ার্ল্ড’ বইটির আরো কিছু চমকপ্রদ সায়েন্স ফিকশনগুলো হলো- ‘যমজ পৃথিবীর বাসিন্দা’, ‘ভূতিয়েনদের এক্সপেরিমেন্ট’, ‘এলিয়েনদের কবলে পৃথিবী’, ‘নরিয়েন, এলিজার মঙ্গল ভ্রমণ’, ‘ফেরাউনের ক্লোন’ প্রভৃতি। বইটিতে সর্বমোট ২০টি সায়েন্স ফিকশন রয়েছে। আশা করি সায়েন্স ফিকশনগুলো ছোট-বড় সব বয়সী পাঠকের কাছে আদৃত হবে।
জার্নি টু দ্য প্যারালাল ওয়ার্ল্ড
লেখক : আশরাফ পিন্টু
প্রকাশনী : অনুপ্রাণন প্রকাশন
প্রকাশকাল : ফেব্রুয়ারি ২০২৪
প্রচ্ছদ : মৌ দত্ত
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ১০৪
মূল্য : ৫০০ টাকা


আরো সংবাদ



premium cement
বিএনপির সাথে ১২ দলীয় জোটের বৈঠকে যা আলোচনা হলো সিরিয়ায় স্বৈরশাসকের পতন নির্বাচনী সংস্কার প্রসঙ্গে একটি প্রস্তাব ওষুধ কোম্পানি থেকে চিকিৎসকদের কমিশন নেয়া অনৈতিক : এ কে আজাদ খান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বানোয়াট সাক্ষ্যের পতন হাটহাজারীতে সা’দপন্থীদের নিষিদ্ধের দাবিতে ওলামা পরিষদের বিক্ষোভ-মিছিল ফের পাকিস্তান থেকে এলো জাহাজ, এবার রয়েছে যেসব পণ্য কাবাঘরে ‌‘জয় বাংলা' স্লোগান’, পরিচয় জানা গেল সেই যুবকের গাজীপুরে বেক্সিমকোর বন্ধ কারখানা খুলে দেয়ার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ ‘জনশক্তি’ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি : জাতীয় নাগরিক কমিটি ‘ব্যাটারিচালিত রিকশা লাইসেন্স ও ট্যাক্সের আওতায় আনা হবে’

সকল