ক্যারিয়ার গড়তে এভিয়েশনে পড়াশোনা
- ৩০ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০
এইচএসসি বা সমমান পাসের পরেই একজন শিক্ষার্থী লেখাপড়া শুরু করতে পারে অ্যারোনটিকাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে। বিটেক লেভেল-৫ হায়ার ন্যাশনাল ডিপ্লোমা ইন অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামটি, যুক্তরাষ্ট্র্রের শিক্ষা বোর্ড পিয়ারসন, ইউকেএর অধীনে পরিচালিত একটি অ্যাডভান্সড ডিপ্লোমা প্রোগ্রাম, যার মাধ্যমে এইচএসসি ‘এ’ লেভেল পাসের পর মাত্র ৩ থেকে ৪ বছরেই একজন শিক্ষার্থী ব্যাচেলর অর্থাৎ গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করতে পারবে। এটি ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের পরীক্ষক এবং মূল্যায়ন পরিষদ দ্বারা গঠিত ব্রিটিশ সরকার নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানগুলোর কারিগরি শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ মানদণ্ডে সমতা প্রদানকারী সহায়ক সংস্থা বিজনেস টেকনোলজি এডুকেশন কাউন্সিল (বিটেক) কর্তৃক অনুমোদিত। এ কোর্সটি প্রতি বছর ১০ লাখেরও বেশি মেধাবী শিক্ষার্থী পছন্দ করেছে এবং বিশ্বের ১১০টিরও বেশি দেশে ২০ হাজারের অধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সফলতার সাথে পরিচালিত হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা বিটেক লেভেল-৫ হায়ার ন্যাশনাল ডিপ্লোমা ইন অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামটি বাংলাদেশে লেখাপড়া শেষে বিমান মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণে প্রকৌশল বিদ্যায় পারদর্শী হতে চাইলে পরবর্তী তৃতীয়, চতুর্থ বছর ফ্লাইট স্কুল ইন্টারন্যাশনাল ফিলিপিনসে উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে হতে পারে ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যাসোসিয়েটেড, সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব ফিলিপাইন অনুমোদিত বিমান ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারী একজন দক্ষ এয়ারক্র্যাফট মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে (এমই) লাইসেন্সড ইঞ্জিনিয়ার। এছাড়া শিক্ষার্থীরা উড়োজাহাজ প্রোডাকশন বা এয়ারক্র্যাফট ম্যানুফ্যাকচারিংয়ে প্রকৌশলী হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে তৃতীয়, চতুর্থ বছর চায়নার সেনইয়াং অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটিতে বিএসসি ইন অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামে লেখাপড়ার মাধ্যমে অর্জন করতে পারবে অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি। শিক্ষার্থীরা এয়ারপোর্ট কিংবা এয়ারলাইন্স ব্যবস্থাপনায় ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে, এভিয়েশন শিক্ষায় বেস্ট কোয়ালিটি এডুকেশন প্রোভাইডার হিসেবে ৫ স্টার রেটিং প্রাপ্ত এভিয়েশন ম্যানেজমেন্ট কলেজ, মালয়েশিয়ার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত ব্যাচেলর (অনার্স) ইন এয়ারলাইন্স অ্যান্ড এয়ারপোর্ট ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামে লেখাপড়া করতে পারে। এয়ারপোর্ট ম্যানেজমেন্টে উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা মাত্র চার বছরে মিনিস্ট্রি অব হায়ার এডুকেশন মালয়েশিয়া এবং গভর্নমেন্ট অব মালয়েশিয়া এপ্রোভড এয়ারলাইন্স অ্যান্ড এয়ারপোর্ট ম্যানেজমেন্টে স্নাতক ডিগ্রিধারী দক্ষ এয়ারপোর্ট ও এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপক হতে পারে।
বিমানের গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব যেমন উড়োজাহাজের ক্যাপ্টেনের, তেমনি বিমানটির নিরাপদ উড্ডয়নের পূর্বপ্রস্তুতি ও সার্বিক রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব বিমানে কর্মরত এয়ারক্র্যাফট মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ারদের। বিমানটির উড্ডয়নের আগে সেটির ইলেকট্রিক্যাল পাওয়ারপ্ল্যান্ট এবং খুঁটিনাটি যন্ত্রপাতির ত্রুটি-বিচ্যুতি নির্ণয় করে কর্তব্যরত এয়ারক্র্যাফট মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়াররা যখন ছাড়পত্র প্রদান করে, কেবল তখন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বিমানটি উড্ডয়নের অনুমতি দিয়ে থাকে। অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে ফ্লাইটসেফটি, এয়ারপোর্ট ম্যানেজমেন্ট, প্ল্যানিং, এয়ারক্র্যাফট মেইনটেন্যান্স, এয়ারলাইন্স এবং এভিয়েশন সেক্টরে এয়ারক্র্যাফট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করবে।
অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মূলত বিমানের নকশা, উৎপাদন, ত্রুটি-বিচ্যুতি মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরিচালনার বিষয়গুলো পড়ানো হয়। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এ শাখায় বিভিন্ন ধরনের বিমান তৈরির প্রযুক্তি বিষয়ক লেখাপড়া ছাড়াও যাত্রীবাহী বিমান ও যুদ্ধবিমান ও মহাকাশে স্পেস শাটল তৈরির কৌশল পড়ানোসহ সব কিছু এ প্রোগ্রামের অন্তর্গত। ভবিষ্যতে এয়ারলাইন্স এবং এভিয়েশন সেক্টরে বৈমানিক, টেকনিশিয়ান, কেবিন ক্রুসহ দক্ষজনবল দরকার হবে। কাজেই এ দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য এভিয়েশন সেক্টরে পড়াশোনা করে ক্যারিয়ার গঠনের ক্ষেত্রে রয়েছে অনেক সম্ভাবনা।
যোগাযোগ : ক্যামব্রিয়ান ইন্টারন্যাশনাল কলেজ অব এভিয়েশন (সাইকা ), গ-৩৭/১,জামালপুর টাওয়ার, ব্লক-জে, বারিধারা, ঢাকা। ফোন : ০১৭৬২৬-৮৮০৩৫, ০১৭৬২৬-৮৮০৩৮