ক্যারিয়ার গড়তে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ
- ২৯ জুন ২০১৯, ০০:০০
মানব সম্পদকে মূলধনে পরিণত করার লক্ষ্যে কারিগরি ও ভোকেশনাল শিক্ষার পাশাপাশি ব্যবসায় প্রশাসন বিষয়ক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. এ বি এম মফিজুল ইসলাম পাটোয়ারী ১৯৯৫ সালে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে ইউনিভার্সিটির ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় সাত হাজার। তার মধ্যে রয়েছে চার শতাধিক বিদেশী ছাত্র। এ ইউনিভার্সিটিতে বর্তমানে ৩২০ জন পূর্ণকালীন ও খণ্ডকালীন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছেন। গুণগত ও মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ, আদর্শ ও দেশপ্রেমিক মানবসম্পদ তৈরিতে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি প্রশংসার দাবিদার। এখানকার বিভিন্ন বিভাগ থেকে পাসকৃত ছাত্রছাত্রীরা চাকরির বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফলতার পরিচয় দিচ্ছেন। তবে তাদের মধ্যে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ থেকে পাস করা ছাত্রছাত্রীদের অবস্থান অনেক ঊর্ধ্বে। তারা বিসিএস প্রশাসনসহ দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান যেমনÑ ব্যাংক, বীমা, পুঁজিবাজার, রিয়েল এস্টেট ও মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিসহ ব্যবসায় বাণিজ্যে কর্মরত রয়েছেন। ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ থেকে পাসকৃত শিক্ষার্থীদের বেকার থাকতে হয় না। এর কারণ, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রতিটি কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে সুপরিকল্পিত, সুশৃঙ্খল, তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক দৃষ্টিকোণ থেকে। আর এর নেতৃত্ব ও দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ও এ ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের উপদেষ্টা অধ্যাপক মো: সেলিম ভূঁইয়া। তাই এ ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ আজ আদর্শ অনুষদ হিসেবে পরিচিত। এ অনুষদে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করা মেধাবী, অভিজ্ঞ ২৫ জন পূর্ণকালীন শিক্ষক ও কিছু খণ্ডকালীন অধ্যাপক। এ ইউনিভার্সিটির এই অনুষদের পাঠদানের মাধ্যম হচ্ছে ইংরেজি। এ ইউনিভার্সিটিতে ট্রাইমিস্টার পদ্ধতিতে শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালিত হয়। প্রতিটি সেমিস্টারে ছাত্রছাত্রীদের মিডটার্ম ও ফাইনাল পরীক্ষার জন্য কোর্স শিক্ষকেরা পর্যাপ্ত কেস স্টাডি, চলমান বিষয়ের ওপর অ্যাসাইনমেন্ট, বাধ্যতামূলক ক্লাস পার্টিসিপেশন, কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। নিয়মিত ওয়ার্কশপ, সেমিনার, সিম্পোজিয়ামে ছাত্রছাত্রীরা অংশগ্রহণ করে থাকেন। প্রতি বছর বিবিএ ও এমবিএ ফাইনাল সেমিস্টারে শিক্ষার্থীদের স্টাডি ট্যুর এবং বিভিন্ন সেমিস্টারে শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্ডাস্ট্্িরয়াল ভিজিটের ব্যবস্থা করা হয়। প্রতি দুই সেমিস্টার পরপর ভাইভা এবং ফাইনাল সেমিস্টারে ইন্টার্নশিপ ছাত্রছাত্রীদের জন্য বাধ্যতামূলক। এ ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলরের নেতৃত্ব ও তত্ত্বাবধানে এ বিশ্ববিদ্যালয়সহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের শিক্ষকদের সমন্বয়ে যুগোপযোগী বিবিএ এবং এমবিএ প্রোগ্রামের সিলেবাস প্রণয়ন করা হয়েছে। কোর কোর্সের পাশাপাশি রয়েছে অনেকগুলো মেজর কোর্স। যেমনÑ মেজর ইন ম্যানেজমেন্ট, মেজর ইন হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট, মেজর ইন অ্যাকাউন্টিং ইনফরমেশন সিস্টেম, মেজর ইন ফিন্যান্স, মেজর ইন ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট, মেজর ইন মার্কেটিং এবং মেজর ইন ইনফরমেশন সিস্টেম। শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী উল্লিখিত যেকোনো বিষয়ে লেখাপড়া করতে পারেন। এ ইউনিভার্সিটিতে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি চাকরিজীবী এবং বিএমএ ডিপ্লোমা পাসকৃত শিক্ষার্থীদের জন্য সান্ধ্যকালীন শিফট চালু রয়েছে। বর্তমানে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগে প্রায় এক হাজার ৫০০ ছাত্রছাত্রী অধ্যয়ন করছেন। এমবিএ পাসকৃত ছাত্রছাত্রীদের সমন্বয়ে এমবিএ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন গঠিত হয়েছে। শিক্ষার মানোন্নয়নে এ ইউনিভার্সিটিতে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি এডুকেশন সেল, গবেষণা ও প্রকাশনা সেল, সোস্যাল বিজনেস একাডেমিক সেল, হিউম্যান রাইটস অ্যাডভোকেসি সেল, টোব্যাকো কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ সেল ছাড়াও শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্টারনেট ও ল্যাবরেটরি সুবিধা, লাইব্রেরি সুবিধা, ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব, আবাসিক সুবিধা, পরিবহন সুবিধা, দরিদ্র, মেধাবী ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের বৃত্তির সুবিধা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বরধারীদের বিনা বেতনে অধ্যয়নের সুযোগ রয়েছে।
যোগাযোগ : স্থায়ী ক্যাম্পাস : সাতারকুল, বাড্ডা, ঢাকা।
ফোন : ০১৯৩৯৮৫১০৬০। ক্যাম্পাস : ৬৬, গ্রিন রোড, ঢাকা।
ফোন : ০১৬১১৩৪৮৩৪৪-৮। ক্যাম্পাস : বাড়ি-০৪, সড়ক-০১,
ব্লক-এফ, বনানী, ঢাকা। ফোন : ০১৯৩৯৮৫১০৬১-৪