পুলিশ কনস্টেবল পদে ৯৬৮০ জন নিয়োগ
- ০১ জুন ২০১৯, ০০:০০
বাংলাদেশ পুলিশে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগের লক্ষ্যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি মে, ২০১৯ অনুযায়ী ৬৮০০ জন পুরুষ ও ২৮৮০ জন নারীসহ মোট ৯৬৮০ জন প্রার্থী নিয়োগ দেয়া ও বাছাই করা হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের শারীরিক মাপ ও শারীরিক পরীক্ষাসহ লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত তারিখ ও সময়ে তাদের নিজ জেলার পুলিশ লাইনসে (যে জেলার স্থায়ী বাসিন্দা) প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। লিখেছেন মাহমুদ কবীর
প্রার্থীর যোগ্যতা : বয়স : সাধারণ/অন্যান্য কোটার প্রার্থীর ক্ষেত্রে ১ জুন ২০১৯ তারিখে বয়স হবে ১৮ থেকে ২০ বছর (জন্ম তারিখ সর্বনিম্ন ২ জুন ২০০১ থেকে সর্বোচ্চ ২ জুন ১৯৯৯ পর্যন্ত) হতে হবে; মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে ১ জুন ২০১৯ তারিখে বয়স ১৮ থেকে ৩২ বছর হতে হবে (জন্ম তারিখ সর্বনিম্ন ২ জুন ২০০১ থেকে সর্বোচ্চ ২ জুন ১৯৮৭ পর্যন্ত) হতে হবে। তবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের সন্তানদের ক্ষেত্রে ১ জুন ২০১৯ তারিখে বয়স ১৮ থেকে ২০ বছর (জন্ম তারিখ সর্বনিম্ন ২ জুন ২০০১ থেকে সর্বোচ্চ ২ জুন ১৯৯৯ পর্যন্ত) হতে হবে। প্রার্থীদের এসএসসি/সমমানের সার্টিফিকেটে উল্লিখিত জন্ম তারিখই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
শিক্ষাগত যোগ্যতা : এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় পাস (কমপক্ষে জিপিএ ২.৫/সমমান)।
জাতীয়তা : প্রার্থীকে বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক হতে হবে এবং প্রার্থী যে জেলার স্থায়ী বাসিন্দা সেই জেলাতেই ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগের জন্য উপস্থিত হতে হবে।
বৈবাহিক অবস্থা : অবশ্যই অবিবাহিত হতে হবে (তালাকপ্রাপ্ত/তালাকপ্রাপ্তা নয়)।
শারীরিক মাপ : সাধারণ ও অন্যান্য কোটা (পুরুষ) : উচ্চতা কমপক্ষে ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি বা ১.৬৭৬৪ মিটার এবং বুক স্বাভাবিক অবস্থায় ৩১ ইঞ্চি বা ০.৭৮৭৪ মিটার এবং সম্প্রসারিত অবস্থায় ৩৩ ইঞ্চি বা ০.৮৩৮২ মিটার হতে হবে।
মুক্তিযোদ্ধা কোটা (পুরুষ) : শুধু মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের পুরুষ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে উচ্চতা কমপক্ষে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি বা ১.৬২৫৬ মিটার এবং বুক স্বাভাবিক অবস্থায় ৩০ ইঞ্চি বা ০.৭৬২০ মিটার এবং সম্প্রসারিত অবস্থায় ৩১ ইঞ্চি বা ০.৭৮৭৪ মিটার হতে হবে।
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কোটা (পুরুষ) : উচ্চতা কমপক্ষে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি বা ১.৬২৫৬ মিটার এবং বুক স্বাভাবিক অবস্থায় ৩১ ইঞ্চি বা ০.৭৮৭৪ মিটার এবং সম্প্রসারিত অবস্থায় ৩৩ ইঞ্চি বা ০.৮৩৮২ মিটার হতে হবে।
নারী প্রার্থী (সব কোটা) : উচ্চতা কমপক্ষে ৫ ফুট ২ ইঞ্চি বা ১.৫৭৪৮ মিটার হতে হবে।
ওজন : বয়স ও উচ্চতার সাথে ওজন অনুমোদিত পরিমাপের হতে হবে।
শারীরিক মাপ ও শারীরিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকালে প্রার্থীদের যেসব কাগজপত্র সাথে আনতে হবে : প্রাথমিকভাবে বাছাইকৃত প্রার্থীদের জেলার পুলিশ সুপার কর্তৃক সরবরাহকৃত আবেদন ফরম পূরণ করে নিচে বর্ণিত কাগজপত্র আবেদনপত্রের সাথে জমা দিতে হবে বা সাথে আনতে হবে।
১. শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র/সাময়িক সনদপত্রের মূলকপি।
২. সর্বশেষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্তৃক প্রদত্ত চারিত্রিক সনদপত্রের মূলকপি।
৩. জেলার স্থায়ী বাসিন্দা/জাতীয়তার প্রমাণস্বরূপ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বা সিটি করপোরেশন বা পৌরসভার মেয়র/ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কাছ থেকে স্থায়ী নাগরিকত্বের সনদপত্রের মূলকপি।
৪. প্রার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্রের মূলকপি। যদি প্রার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকে সে ক্ষেত্রে প্রার্থীর পিতা/মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের মূলকপি।
৫. সরকারি গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত তিন কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি।
৬. পরীক্ষার ফি বাবদ ১-২২১১-০০০০-২০৩১ নম্বর কোডে ১০০ টাকার ট্রেজারি চালান জমা দেয়ার মূলকপি।
৭. মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/সন্তানের সন্তানদের ক্ষেত্রে প্রমাণ স্বরূপÑ
ক) সংশ্লিষ্ট মুক্তিযোদ্ধার নাম লাল মুক্তিবার্তায় থাকলে লাল মুক্তিবার্তার সত্যায়িত অনুলিপি।
খ) সংশ্লিষ্ট মুক্তিযোদ্ধার নাম ভারতীয় তালিকায় অন্তর্ভূক্ত থাকলে ভারতীয় তালিকার সত্যায়িত অনুলিপি।
গ) সংশ্লিষ্ট মুক্তিযোদ্ধার নামে জারিকৃত গেজেট ও সাময়িক সনদ।
ঘ) সংশ্লিষ্ট মুক্তিযোদ্ধার নামে জারিকৃত গেজেট ও প্রধানমন্ত্রীর প্রতিস্বাক্ষরিত বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ (বামুস) কর্তৃক প্রদত্ত সনদ।
ঙ) গেজেট, সাময়িক সনদ ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ (বামুস) কর্তৃক প্রদত্ত সনদ।
৮. মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের
সন্তানদের ক্ষেত্রে প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে সম্পাদিত এফিডেভিট অথবা বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক প্রদত্ত সাকসেশন সার্টিফিকেট এবং প্রার্থী যে মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধার পুত্র-কন্যার ঔরসজাত পুত্র-কন্যা, এই মর্মে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/ সিটি করপোরেশন বা পৌরসভার মেয়র/ওয়ার্ড কাউন্সিলর কর্তৃক প্রদত্ত প্রত্যয়নপত্রের মূলকপি।
৯. কনস্টেবল হতে সর্বোচ্চ সাব-ইন্সপেক্টর/ সার্জেন্ট/টিএসআই পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তার সন্তানদের পুলিশ পোষ্য কোটার প্রাধিকার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে প্রার্থীর পিতা/মাতার নাম, পদবি (বিপি নম্বরসহ) উল্লেখপূর্বক কর্মরত জেলা/ইউনিটের প্রধান কর্তৃক প্রত্যয়নপত্রের মূলকপি। যদি পুলিশ পোষ্য কোটায় কোনো প্রার্থীর পিতা/মাতা অবসর/মৃত্যুবরণ করে থাকেন, তবে এমন প্রার্থীর ক্ষেত্রে পিতা/মাতার সর্বশেষ কর্মস্থলের ইউনিট প্রধান কর্তৃক প্রত্যয়নপত্রের মূলকপি।
১০. আনসার ও ভিডিপি কোটার প্রার্থীদের জন্য ৪২ দিন মেয়াদি প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের সনদপত্রের মূলকপি।
১১. এতিম কোটার প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সরকারি ও সরকারি নিবন্ধনপ্রাপ্ত এতিমখানার প্রধান কর্তৃক প্রদত্ত প্রত্যয়নপত্র/প্রশংসাপত্রের মূলকপি, যাতে প্রার্থী এতিম ও প্রার্থীর পূর্বকালীন স্থায়ী ঠিকানা ও এতিমখানা নিবাসের নিবন্ধনকৃত ব্যক্তিগত নম্বরও উল্লেখ থাকতে হবে।
১২. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কোটার প্রার্থীদের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসক/উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক প্রদত্ত সনদপত্রের মূলকপি।
১৩. সরকারি/আধা সরকারি/ স্বায়ত্তশাসিত সংস্থায় চাকরিরত প্রার্থীদের অবশ্যই যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতিপত্রসহ পরীক্ষার নির্ধারিত দিনে উপস্থিত হতে হবে।
পরীক্ষা পদ্ধতি : শারীরিক মাপ ও শারীরিক
পরীক্ষা : প্রার্থীদের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত নির্ধারিত তারিখ, সময় ও স্থানে বিধি মোতাবেক শারীরিক মাপ ও শারীরিক পরীক্ষায় (দৌড়, রোপিং ও জাম্পিং ইত্যাদি) অংশগ্রহণ করতে হবে। ওই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপার পরবর্তী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রবেশপত্র ইস্যুকরণসহ লিখিত পরীক্ষা গ্রহণের কেন্দ্রের স্থান নির্ধারণপূর্বক প্রার্থীদের তা অবহিত করবেন। লিখিত, মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষার সময় প্রার্থীদের মূল প্রবেশপত্র অবশ্যই সাথে আনতে হবে।
লিখিত পরীক্ষা : শারীরিক মাপ ও শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নির্ধারিত তারিখে ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট সময়ের ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। ওই পরীক্ষায় ন্যূনতম ৪৫% নম্বরপ্রাপ্ত প্রার্থীরা উত্তীর্ণ বলে বিবেচিত হবেন।
মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষা : লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নির্ধারিত তারিখে ২০ নম্বরের মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। এ ক্ষেত্রেও আলাদাভাবে ৪৫% নম্বরপ্রাপ্ত প্রার্থীরা উত্তীর্ণ বলে বিবেচিত হবেন।
কোটা পদ্ধতি : প্রার্থী নির্বাচনে সরকার কর্তৃক জারিকৃত বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে।
নির্বাচন পদ্ধতি : প্রতি জেলায় নিয়োগযোগ্য প্রকৃত শূন্য পদে কোটার অনুকূলে লিখিত, মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম অনুযায়ী প্রার্থীদের প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হবে।
প্রশিক্ষণ : পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত পুনর্বাছাই কমিটি কর্তৃক চূড়ান্ত বাছাইকালে যোগ্য বিবেচিত প্রার্থীদের নির্ধারিত প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) হিসেবে ছয় মাস মেয়াদি মৌলিক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করতে হবে।
প্রশিক্ষণকালীন সুযোগ-সুবিধা : ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে প্রশিক্ষণকালীন বিনামূল্যে পোশাক সামগ্রীসহ থাকা-খাওয়া ও চিকিৎসা সুবিধা প্রাপ্য হবেন। এ ছাড়া প্রশিক্ষণকালীন সরকারি বিধি মোতাবেক প্রতি মাসে প্রশিক্ষণভাতা প্রাপ্য হবেন।
নিয়োগ ও চাকরির সুবিধা : সাফল্যের সাথে প্রশিক্ষণ শেষে ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেলের ১৭তম গ্রেড ৯০০০-২১৮০০/- টাকার বেতন ও বিধি মোতাবেক প্রাপ্য অন্যান্য বেতনভাতাসহ পুলিশবাহিনীতে কনস্টেবল পদে নিয়োগ দেয়া হবে।
প্রার্থী বাছাই : প্রতি জেলার বিপরীতে নিয়োগযোগ্য ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ লাইনস ময়দানে আগ্রহী প্রার্থীদের বাছাই করা হবে। ওই প্রার্থীদের শারীরিক মাপ ও শারীরিক পরীক্ষা নিজ জেলার বিপরীতে বর্ণিত তারিখে সকাল ৯টায় ও ওই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নির্ধারিত তারিখে যথাক্রমে বিকেল ৩টায় ও সকাল ১০টায় শুরু হবে। ওই লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল নির্ধারিত তারিখে যথাক্রমে সকাল ১০টায় ও বিকেল ৫টায় প্রকাশ করা হবে। ঢাকা, রংপুর, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল রেঞ্জের আগ্রহী প্রার্থীদের শারীরিক মাপ ও শারীরিক পরীক্ষা ২২ জুন ২০১৯ তারিখ থেকে ও লিখিত পরীক্ষা ২৩ জুন ২০১৯ তারিখ এবং লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ফলাফল প্রকাশ ও মৌখিক পরীক্ষা ২৫ জুন ২০১৯ তারিখ থেকে শুরু হবে। এ ছাড়া ময়মনসিংহ রেঞ্জের ও সিলেট রেঞ্জের প্রার্থীদের শারীরিক মাপ ও শারীরিক পরীক্ষা যথাক্রমে ১ জুলাই ২০১৯ ও ২৬ জুন ২০১৯ তারিখ থেকে এবং লিখিত পরীক্ষা যথাক্রমে ২ জুলাই ২০১৯ ও ২৭ জুন ২০১৯ তারিখ এবং লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ফলাফল প্রকাশ ও মৌখিক পরীক্ষা যথাক্রমে ৬ জুলাই ২০১৯ ও ১ জুলাই ২০১৯ তারিখ থেকে শুরু হবে। পরীক্ষার বিস্তারিত সময়সূচি বিজ্ঞপ্তিতে পাওয়া যাবে।