সেনাবাহিনীতে আর্মি মেডিক্যাল কোরে চিকিৎসক হিসেবে মেজর পদে নিয়োগ
- ২৭ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আর্মি মেডিক্যাল কোরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হিসেবে মেজর পদে ২১তম ডিএসএসসি (স্পেশাল পারপাস)Ñ এএমসি পুরুষ/মহিলা নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। আবেদনের শেষ তারিখ : ১১ মে ২০১৯।
লিখেছেন মাহমুদা সুলতানা
যোগ্যতা : বয়স : আগ্রহী প্রার্থীদের বয়স ২৩ জুন ২০১৯ তারিখে অনূর্ধ্ব ৪০ বছর হতে হবে।
শারীরিক যোগ্যতা : পুরুষ প্রার্থীদের উচ্চতা : ১.৬৩ মিটার (৫ ফুট ৪ ইঞ্চি), ওজন ৫৯ কেজি (১৩০ পাউন্ড)।
বুকের মাপ : স্বাভাবিক অবস্থায় ০.৭৬ মিটার (৩০ ইঞ্চি), প্রসারণ অবস্থায় ০.৮১ মিটার (৩২ ইঞ্চি) হতে হবে।
মহিলা প্রার্থীদের উচ্চতা : ১.৫৭ মিটার (৫ ফুট ২ ইঞ্চি), ওজন ৫২ কেজি (১১৪ পাউন্ড)।
বুকের মাপ : স্বাভাবিক অবস্থায় ০.৭১ মিটার (২৮ ইঞ্চি), প্রসারণ অবস্থায় ০.৭৬ মিটার (৩০ ইঞ্চি) হতে হবে।
শিক্ষাগত যোগ্যতা : প্রার্থীদের এফসিপিএস/ এফআরসিএস/ এমএস/ এমডি বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে, যা বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল কর্তৃক স্বীকৃত।
বৈবাহিক অবস্থা : বিবাহিত/ অবিবাহিত।
জাতীয়তা : জন্মসূত্রে বাংলাদেশী নাগরিক।
ক্যাটাগরি : নিচের ক্যাটাগরিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা আবেদন করতে পারবেনÑ ১. কার্ডিওলজিস্ট, ২. নিউক্লিয়ার মেডিসিন, ৩. রেডিয়েশন অনকোলজিস্ট,
৪. মেডিক্যাল অনকোলজিস্ট,
৫. সার্জিক্যাল অনকোলজিস্ট,
৬.নেফ্রোলজিস্ট, ৭.পালমোনোলজিস্ট, ৮. অর্থোপেডিক সার্জন,
৯. ইন্টারনাল মেডিসিন,
১০. গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি,
১১. এন্ডোক্রিনোলজি,
১২. ইনটেনসিভিস্ট,
১৩. গাইনোকোলজিস্ট,
১৪. নিউরোসার্জন।
প্রার্থীর অযোগ্যতা : সেনা/নৌ/ বিমানবাহিনী বা যেকোনো সরকারি চাকরি থেকে অপসারিত/বরখাস্ত হলে। আইএসএসবি কর্তৃক দু’বার স্ক্রিন্ড আউট/ প্রত্যাখ্যাত হলে তা প্রার্থীর অযোগ্যতা বলে বিবেচিত হবে। তবে পাঁচ বছর আগে দু’বার স্ক্রিন্ড আউট/প্রত্যাখ্যাত প্রার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন। তবে সেনা/নৌ/ বিমানবাহিনীর আপিল মেডিক্যাল বোর্ড কর্তৃক অযোগ্য ঘোষিত হলে তা প্রার্থীর অযোগ্যতা বলে বিবেচিত হবে।
আবেদন করার পদ্ধতি : যঃঃঢ়ং:// লড়রহনধহমষধফবংযধৎসু.ধৎসু.সরষ.নফ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করা যাবে। অনলাইনে আবেদনের জন্য ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে ঐড়সব চধমব-এর ওপরে ডান কোনায় অচচখণ ঘঙড-তে ক্লিক করে ২১ঃয উঝঝঈ (ঝঢ়বপরধষ চঁৎঢ়ড়ংব) অগঈ-তে অঢ়ঢ়ষু করতে হবে। আবেদনকারী প্রার্থীরা ঞৎঁংঃ ইধহশ ঃ-পধংয, ঠওঝঅ/গধংঃবৎ ঈধৎফ, বিকাশ, জড়পশবঃ ইত্যাদির মাধ্যমে আবেদন ফি বাবদ ১০০০ টাকা প্রদান করতে পারবেন। আবেদন প্রক্রিয়াতেই ওয়েবসাইটে বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করে আবেদন ফি দেয়া যায় ও তাৎক্ষণিকভাবে প্রাথমিক সাক্ষাৎকারের জন্য কল-আপ লেটার পাওয়া যাবে।
মৌখিক পরীক্ষা : আগামী ১৫ ও ১৬ মে ২০১৯ তারিখে ডিজিএমএস অফিস, ঢাকা সেনানিবাসে মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রার্থীরা আবেদনপ্রক্রিয়া শেষ করে কল-আপ লেটার প্রিন্ট করে নেবেন এবং মৌখিক পরীক্ষার সময় কল-আপ লেটার সাথে আনবেন। মৌখিক পরীক্ষার সময় সব পরীক্ষার সার্টিফিকেট, মার্কশিট ও বিএমডিসির সার্টিফিকেটের মূলকপি দেখাতে হবে।
আইএসএসবি পরীক্ষা : তবে প্রার্থীদের আইএসএসবি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের প্রয়োজন নেই।
পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ : যঃঃঢ়ং://লড়রহনধহমষধফবংযধৎসু.ধৎসু.সরষ.নফ ওয়েবসাইটে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হবে।
প্রশিক্ষণ/কমিশন : প্রার্থীদের নিয়োগপ্রাপ্তির পর বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি, ভাটিয়ারী, চট্টগ্রামে স্বল্পকালীন প্রশিক্ষণ শেষে মেজর পদে কমিশন দেয়া হবে।
পশ্চাৎ প্রবীণতা : বিএমএতে যোগদানের তারিখ থেকে চার বছরের পশ্চাৎ প্রবীণতা।
বেতন/ভাতা : সরকার কর্তৃক নির্ধারিত অন্যান্য সুবিধাসহ সশস্ত্র বাহিনীর বেতনক্রম অনুযায়ী অফিসাররা বেতন ও ভাতা প্রাপ্ত হবেন।
সুযোগ-সুবিধা : ব্যক্তিগত যোগ্যতার ভিত্তিতে উচ্চতর শিক্ষা ও বিদেশে প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবেন, বাসস্থানপ্রাপ্তির সুযোগ, সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসার সুযোগ এবং উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন হলে বিধি মোতাবেক নগদ অর্থ প্রদানসহ বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা, নিজ সন্তানদের জন্য ক্যাডেট কলেজ, আর্মড ফোর্সেস মেডিক্যাল কলেজ, এমআইএসটি, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস ও সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত স্কুল/কলেজে অধ্যয়নের সুযোগ পাবেন।
আবেদনের শেষ তারিখ : ১১ মে ২০১৯।
যোগাযোগ : পরিচালক, পার্সোনেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন পরিদফতর, অ্যাডজুটেন্ট জেনারেল শাখা, সেনাবাহিনী সদর দফতর, ঢাকা সেনানিবাস।