সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ
- ১১ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরাধীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাজস্ব খাতভুক্ত ‘সহকারী শিক্ষক’-এর শূন্যপদে অস্থায়ীভাবে নিয়োগের জন্য বাংলাদেশের প্রকৃত নাগরিকদের কাছ থেকে (পার্বত্য তিন জেলাÑ রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ছাড়া) নিচে উল্লিখিত নির্দেশনা অনুযায়ী দরখাস্ত আহ্বান করা হয়েছে। অনলাইনে
আবেদন ফি জমা দেয়ার শেষ তারিখ : ৩০ আগস্ট ২০১৮, রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। লিখেছেন মাহমুদ কবীর
পদের নাম : সহকারী শিক্ষক।
আবেদনের যোগ্যতা : পুরুষ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে : কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ন্যূনতম দ্বিতীয় বিভাগ/শ্রেণী/সমমানের জিপিএসহ স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি।
মহিলা প্রার্থীদের ক্ষেত্রে : উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষায় ন্যূনতম দ্বিতীয় বিভাগ/ সমমানের জিপিএসহ উত্তীর্ণ অথবা স্নাতক বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।
বেতন স্কেল : (ক) প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত : ১০২০০-২৪৬৮০/- (জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী)।
(খ) প্রশিক্ষণবিহীন : ৯৭০০-২৩৪৯০/- (জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী)।
বয়সসীমা : ৩০ আগস্ট ২০১৮, তারিখে আগ্রহী প্রার্থীদের বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছর। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রতিবন্ধী প্রার্থীর ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩২ বছর।
অনলাইনে আবেদন করার ঠিকানা : আগ্রহী প্রার্থীকে অনলাইনে দরখাস্ত করতে হবে। প্রার্থীকে যঃঃঢ়://ফঢ়ব.ঃবষবঃধষশ.পড়স.নফ এবং িি.িফঢ়ব.মড়া.নফ ওয়েবসাইটে লগইন করলে একটি লিংক পাওয়া যাবে। ওই লিংকে প্রবেশ করে সংশ্লিষ্ট নির্দেশনা মোতাবেক অলনাইনে আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে। অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণ করে সাবমিট করার পর অঢ়ঢ়ষরপধঃরড়হ ঈড়ঢ়ু প্রিন্ট করতে পারবে। অঢ়ঢ়ষরপধঃরড়হ ঈড়ঢ়ু প্রিন্ট করার পর প্রয়োজনে একাধিকবার পড়ে নিতে হবে। যদি অঢ়ঢ়ষরপধঃরড়হ-এ কোনো সংশোধনী থাকে তবে তাকে পুনরায় অঢ়ঢ়ষরপধঃরড়হ ঋড়ৎস পূরণ করতে হবে। ত্রুটিপূর্ণ অঢ়ঢ়ষরপধঃরড়হ-এ কোনো অবস্থাতেই এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন ফি জমা দেয়া ঠিক হবে না। একবার আবেদন ফি জমা দেয়ার পর ধঢ়ঢ়ষরপধঃরড়হ ঋড়ৎস কোনো অবস্থাতেই সংশোধন বা প্রত্যাহার করা যাবে না। সঠিকভাবে পূরণকৃত অঢ়ঢ়ষরপধঃরড়হ ঈড়ঢ়ু-তে উল্লিখিত টংবৎ ওউ দিয়ে আবেদন ফি জমা দিতে হবে।
অনলাইনে আবেদন ফি জমা দেয়ার শেষ তারিখ : ৩০ আগস্ট ২০১৮, রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।
জরুরি তথ্য : টংবৎ ওউ প্রাপ্ত প্রার্থীরা ওই সময়ের পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত এসএমএসে আবেদন ফি জমা দিতে পারবেন। আবেদনকারীকে একটি টংবৎ ওউ এবং পাসওয়ার্ড দেয়া হবে। ওই টংবৎ ওউ এবং পাসওয়ার্ড সব সময়ের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে। অনলাইনে আবেদন জমা দেয়ার পর এসএমএসে অবশ্যই ফি জমা দিতে হবে। ফি জমা দেয়ার পরই কেবল আবেদনটি চূড়ান্তভাবে গৃহীত হয়েছে বলে গণ্য হবে।
প্রবেশপত্র সংগ্রহ : লিখিত পরীক্ষার ব্যবস্থাদি চূড়ান্ত করার পর প্রত্যেক যোগ্য আবেদনকারীকে এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হবে এবং প্রার্থী উপরোক্ত ওয়েবসাইটের লিংক ব্যবহার করে পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন।
জেনে রাখুন : দরখাস্তকারী যে উপজেলা/থানার স্থায়ী বাসিন্দা তার প্রার্থিতা ওই উপজেলা/থানার জন্য বা অনুকূলে নির্ধারিত থাকবে এবং তার নিয়োগসংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম তদানুযায়ী নিয়ন্ত্রিত হবে। প্রচলিত কোটানীতি অনুসরণপূর্বক মেধাক্রমানুসারে (উপজেলা/ থানাওয়ারি) ‘সহকারী শিক্ষক’-এর বিদ্যমান শূন্যপদসমূহে নিয়োগের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রস্তুত করে নিয়োগ দেয়া হবে। বিবাহিত মহিলা প্রার্থীরা দরখাস্তে তাদের স্বামী অথবা পিতার স্থায়ী ঠিকানায় দরখাস্ত করতে পারবেন। তবে এ দু’টি স্থায়ী ঠিকানার মধ্যে তিনি যেটি দরখাস্তে উল্লেখ করবেন তার প্রার্থিতা সেই উপজেলা/থানার কোটায় বিবেচিত হবে। মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা এবং পুত্র-কন্যার পুত্র-কন্যা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় বিবেচিত হবেন।
পরীক্ষার ফি জমা দেয়া : প্রার্থীকে পরীক্ষার ফি বাবদ সার্ভিস চার্জসহ ১৬৬.৫০ টাকা যেকোনো টেলিটক মোবাইল নম্বর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে যথাসময়ে পাঠাতে হবে।
লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর যেসব কাগজপত্র জমা দিতে হবে : প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর আবেদনপত্রের সাথে সংযুক্ত ছবি ও অন্যান্য সনদপত্র সত্যায়ন করার ক্ষেত্রে সত্যায়নকারী কর্মকর্তার (নবম বা তদূর্ধ্ব গ্রেডের গেজেটেড কর্মকর্তা) স্বাক্ষরের নিচে নাম ও সিল থাকতে হবে। নিচে বর্ণিত সত্যায়নকৃত কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে জমা দিতে হবে Ñ
১। অনলাইনে জমাকৃত আবেদনের ফটোকপি এবং পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি ছবি;
২। শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কিত সব ধরনের মূল/সাময়িক সনদপত্র;
৩। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/ পৌরসভার মেয়র/ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর কর্তৃক প্রদত্ত নাগরিক সনদপত্র;
৪। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় আবেদনকারী প্রার্থীর ক্ষেত্রে সরকারের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রয়োজনীয় সনদ ও কাগজপত্র;
৫। প্রার্থীর সাথে মুক্তিযোদ্ধার সম্পর্ক উল্লেখপূর্বক নবম বা তদূর্ধ্ব গ্রেডের গেজেটেড কর্মকর্তা অথবা সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান/পৌরসভার মেয়র/সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর কর্তৃক প্রদত্ত প্রত্যয়নপত্র;
৬। এতিম প্রার্থীর ক্ষেত্রে সমাজসেবা অধিদফতর কর্তৃক রেজিস্ট্রিকৃত এতিমখানা/শিশুসদন কর্তৃক প্রদত্ত সনদপত্র;
৭। প্রতিবন্ধী প্রার্থীর ক্ষেত্রে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত সনদপত্র;
৮। পোষ্য প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার কর্তৃক (১ আগস্ট ২০১৮ তারিখের পূর্বে স্বাক্ষরিত নয়) প্রদত্ত পোষ্য সনদপত্র;
৯। আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্য প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রার্থী আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্য, এ মর্মে জেলা আনসার অ্যাডজুট্যান্ট কর্তৃক প্রদত্ত সনদপত্র;
১০। উপজাতি প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক প্রদত্ত উপজাতীয় পরিচয় বিষয়ক সনদপত্র;
১১। লিখিত পরীক্ষার প্রবেশপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি;
মৌখিক পরীক্ষা : উপরোক্ত তথ্যাদি মোতাবেক প্রাথমিক বাছাইয়ের পর কর্তৃপক্ষের বিবেচনায় কেবল যোগ্য প্রার্থীদের সংশ্লিষ্ট জেলায় নির্ধারিত তারিখে মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়া হবে।
নিয়োগ প্রক্রিয়া : প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরাধীন ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৩’-এ বর্ণিত নিয়মানুযায়ী মেধা ও কোটা অনুসারে নিয়োগ দেয়া হবে। সে অনুযায়ী নির্বাচিত প্রার্থীকে যে উপজেলা/থানায় নিয়োগ দেয়া হবে, তাকে আবশ্যিকভাবে সে উপজেলা/ থানায় চাকরি করতে হবে।
পোষ্য কোটা : সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৩-এর ব্যাখ্যা অনুযায়ী ‘পোষ্য’ অর্থ কোন পদে নিয়োজিত আছেন বা ছিলেন এমন শিক্ষকের অবিবাহিত সন্তান, যিনি ওই শিক্ষকের ওপর সম্পূর্ণরূপে নির্ভরশীল আছেন বা তিনি জীবিত থাকলে বা চাকরিতে থাকলে সম্পূর্ণরূপে নির্ভরশীল থাকতেন এবং ওই শিক্ষকের বিধবা স্ত্রী বা বিপতœীক স্বামী বা তালাকপ্রাপ্তা কন্যা যিনি ওই শিক্ষকের উপর সম্পূর্ণরূপে নির্ভরশীল ছিলেন বা ক্ষেত্রমত, তিনি জীবিত থাকলে অনুরূপভাবে নির্ভরশীল থাকতেন। মৌখিক পরীক্ষার সময় পোষ্য প্রার্থীদের ১ আগস্ট ২০১৮ তারিখ পর্যন্ত তিনি পোষ্য ছিলেন মর্মে সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার কর্তৃক প্রদত্ত সনদপত্র জমা দিতে হবে। উল্লিখিত সনদপত্র দিতে কোনো প্রার্থী ব্যর্থ হলে তিনি পোষ্য কোটার পরিবর্তে সাধারণ কোটার প্রার্থী হিসেবে গণ্য হবেন।