০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ জিলহজ ১৪৪৫
`

প্রশ্নোত্তর

-

প্রশ্ন : আমাদের এখানে একজন বক্তা বলছেন, রাসূলুল্ল­াহ সা: ৪০ বছর বয়সে নবুয়ত পেয়েছেন, এ কথাটি সম্পূর্ণ ভুল। তিনি বলেন, রাসূলুল্ল­াহ সা: নবুয়ত পেয়েছিলেন তখন যখন আদম আ:-কেও সৃষ্টি করা হয়নি। কিন্তু একজনকে জিজ্ঞাসা করায় তিনি বললেন, পাঁচটি জগৎ আছে রসূল সা: রূহের জগতে সবার আগে নবুয়ত পেয়েছিলেন কিন্তু দুনিয়ার জগতে ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করার পর ৪০ বছর বয়সে ৬১০ খ্রিষ্টাব্দে নবুয়ত পান। আসলে সঠিক সমাধান কি? আর জগৎ কতগুলো?
উত্তর : একটি হাদিসের ভুল ব্যাখার কারণে এ নিয়ে কিছুটা জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। মূলত এটি কোনো জটিল বিষয়ই নয় এবং এ নিয়ে চিন্তা করা মুমিনের কাজও নয়। হাদিসটি হলো- হজরত আবু হুরায়রা রা: বলেন, সাহাবিরা বললেন, ইয়া রাসূলুল্ল­াহ, কখন আপনার জন্য নবুয়ত সাব্যস্ত হয়েছে? তিনি বলেন, ‘তখন আদাম শরীর ও রূহ এর মধ্যে ছিল। (অর্থাৎ তখনো আদম আ:-কে সৃষ্টি করা হয়নি)।’ (জামে তিরমিজি-৩৬০৯) হাদিসটি সহিহ। হাদিসে যেটি বলা হয়েছে সেটি ছিল আল্লাহ তায়াল নির্ধারণসংক্রান্ত রূহের জগতের বিষয়, দুনিয়ার বিষয় নয়। রূহের জগতে আমাদের সবাইকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তার মানে এই নয় যে, তখন আমাদের জন্ম হয়েছিল। সুতরাং এটি বলা যাবে না যে, রাসূলুল্ল­াহ সা: তখনই নবুয়ত পেয়েছিলেন; বরং তাঁর জন্য নবুয়ত আল্লাহ নির্ধারণ করেছিলেন আর দুনিয়াতে জন্ম নেয়ার পর ৪০ বছর বয়সে নবুয়ত পেয়েছিলেন। বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে জগতের সংখ্যা বিভিন্ন হতে পারে, এই নিয়ে চিন্তা করা নি®প্রয়োজন।
- ফতোয়া বিভাগ, আস সুন্নাহ ট্রাস্ট


আরো সংবাদ



premium cement