আল্লাহর বিস্ময়কর সৃষ্টি আঙুলের ছাপ
- সাকী মাহবুব
- ২৩ মে ২০২৪, ০০:০০, আপডেট: ২৩ মে ২০২৪, ০৫:১৯
মানবদেহের আঙুলের ছাপকে একজন ব্যক্তির পুরো ডেটা ব্যাংক বলা হয়। এখানেই ব্যক্তির পুরো রহস্য ও তথ্যাবলি লুকিয়ে থাকে। পৃথিবীর প্রত্যেক মানুষের আঙুলের ছাপ সম্পূর্ণ আলাদা। পৃথিবীতে এমন কোনো ব্যক্তি পাওয়া যাবে না যার আঙুলের ছাপ অন্য কোনো ব্যক্তির সাথে সম্পূর্ণ মিলে যাবে। একজনের আঙুলের ছাপ অন্যজনের সাথে কোনোভাবেই সাদৃশ্যপূর্ণ নয়। পৃথিবীর প্রথম মানুষ থেকে শুরু করে শেষ মানুষ পর্যন্ত কোনো দু’জনের আঙুলের ছাপই এক রকম হবে না।
১৮৮০ সালে ইংল্যান্ডের স্যার ফ্রান্সিস গোল্ট আবিষ্কার করেন- পৃথিবীর এমন কোনো ব্যক্তি পাওয়া যাবে না, যার আঙুলের ছাপ অন্য কোনো ব্যক্তির সাথে হুবহু মিলে যাবে। তখন থেকেই দুষ্কৃতকারীদের শনাক্ত করার ক্ষেত্রে আঙুলের ছাপ বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া হিসেবে সমাদৃত হয়ে আসছে। মানবদেহের এই একটি আঙুলের ভাঁজে রয়েছে মানুষের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের সব নিদর্শন।
পবিত্র কুরআনে অঙ্গুলিরেখাগুলোর প্রতি ইঙ্গিত করে মহান আল্লাহ বলেন- ‘মানুষ কি মনে করে যে, আমি তার হাড়গোড় একত্র করতে পারব না। অবশ্যই আমি তার আঙুলের ডগা (আঙুলের ছাপ) পর্যন্ত সঠিকভাবে সন্নিবেশিত করতে সক্ষম।’ (সূরা কিয়ামাহ : ৩-৪)
আধুনিক কম্পিউটার জগতের রেখা সঙ্কেত অথবা বারকোডের সাথে তুলনা করা চলে মানুষের আঙুলের এ রেখাগুলোকে। প্রতিটি মানুষ মৃত কিংবা জীবিত প্রত্যেকেরই ভিন্ন ধরনের অনন্য আঙুলের আঁকিবুকি রয়েছে। আর তাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসেবে আঙুলের রেখাগুলোকে মানুষের পরিচয়ের জন্য সন্দেহাতীতভাবে গ্রহণ করা হয়েছে। আঙুলের এ ছাপের মাধ্যমে বিশ্বের বিশাল বিশাল গোয়েন্দা সংস্থা যেমন- এফবিআই, মোসাদ, কেজিবি, অপরাধী শনাক্ত করতে অথবা সঠিক মানুষের ধরন শনাক্ত করতে ব্যবহার করে।
বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত এ সত্য ১৪০০ বছর আগেই কুরআনে বর্ণিত ছিল। দু’ব্যক্তির আঙুলের ছাপের পার্থক্য এতই সূক্ষ্ম যে, কেবল অভিজ্ঞ ব্যক্তিই উপযুক্ত যন্ত্রপাতির মাধ্যমে তা শনাক্ত করতে পারে। পবিত্র কুরআন সেটি বলে দিয়েছে সেই সময় যখন মানুষ সেটি ধারণাও করত না। এ থেকে বুঝা যায় যে, এটি মহান আল্লাহর কুদরতের এক বিশাল কারিশমা।
লেখক : সহকারী শিক্ষক, নাদির হোসেন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, পাংশা, রাজবাড়ী
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা