১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ইসলামে প্রতিবেশীর গুরুত্ব

-

সমাজে একই সাথে যাদের বসবাস, চলাফেরা ও ওঠাবসা, সুখ-দুঃখ হাসিকান্নায় যারা পাশে থাকে একে অপরের তারাই হলো প্রতিবেশী। কুরআন ও হাদিসে প্রতিবেশীর সাথে সদাচরণ ও সৌজন্য রক্ষার ওপর জোর তাগিদ দেয়া হয়েছে। প্রতিবেশীর পরিচয় সম্পর্কে হজরত হাসান রহ:-কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, নিজের ঘর থেকে সামনের ৪০ ঘর, পেছনের ৪০ ঘর, ডানের ৪০ ঘর এবং বামের ৪০ ঘর তোমাদের প্রতিবেশী। (আদাবুল মুফরাদ-১০৮)
১. প্রতিবেশীর গুরুত্ব : হজরত আয়েশা রা: থেকে বর্ণিত- নবী সা: বলেন, ‘জিবরাইল আ: আমাকে প্রতিবেশী সম্পর্কে এত অধিক নসিহত করতে থাকেন যে, আমি মনে মনে ভাবলাম, তিনি হয়তো প্রতিবেশীকে ওয়ারিশ বানাবেন।’ (আদাবুল মুফরাদ-১০০)
২. প্রতিবেশীর সাথে সদাচরণ : হজরত আবু শুরায়হ আল-খুজাই রা: থেকে বর্ণিত- নবী সা: বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখিরাতের দিনের প্রতি ঈমান রাখে সে যেন তার প্রতিবেশীর প্রতি দয়াপরবশ হয়।’ (আদাবুল মুফরাদ-১০১)

৩. অভুক্ত থাকলে অন্ন দেয়া : হজরত ইবনে আব্বাস রা: ইবনুজ জুুবাইর রা:-কে অবহিত করে বলেন, আমি নবী সা:-কে বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তি তার প্রতিবেশীকে অভুক্ত রেখে তৃপ্তিসহকারে আহার করে সে মুমিন নয়।’ (আদাবুল মুফরাদ-১১১)
৪. কথা বা কাজে কষ্ট না দেয়া : মানুষকে কথা বা কাজেকর্মে কষ্ট দেয়া হারাম। হোক সে প্রতিবেশী বা অন্য কেউ। আবদুল্লাহ ইবনে আমর রা: থেকে বর্ণিত- আল্লাহর রাসূল সা: ইরশাদ করেন, ‘সে-ই প্রকৃত মুসলিম, যার জিহ্বা ও হাত থেকে সব মুসলিম নিরাপদ থাকে এবং সে-ই প্রকৃত মুহাজির, আল্লাহ তায়ালা যা নিষেধ করেছেন তা যে ত্যাগ করে।’ (বুখারি-১০)
লেখক : শিক্ষক, জামিয়া ঈমাম আবু হানিফা রহ: ঢাকা


আরো সংবাদ



premium cement