যৌবনকালের গুরুত্ব
- হাফেজ জাহেদুল ইসলাম
- ১৮ মে ২০২৪, ০০:০০
আল্লাহ তায়ালার একমাত্র মনোনীত ও পছন্দনীয় দিন হলো ইসলাম। সেই ইসলামের ইতিহাসে দেখা যায়, যুবকদের ভূমিকা অপরিসীম। তারা নেতৃত্ব দিয়ে কিংবা সামনের সারিতে থেকে যেকোনো আন্দোলনকে সফলতার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়।
দুনিয়ায় যেকোনো সফলতা অর্জনের জন্য যৌবনকাল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শৈশবকালে মানুষের উল্লেখযোগ্য কিছু করার থাকে না। এই সময়টা শেখা, বোঝা ও বেড়ে ওঠার মাধ্যমে শেষ হয়ে যায়। আর বার্ধক্য? সেটি কেটে যায় রোগ ব্যাধিতে। এ সময়টি মানুষ নিজ ছেলেমেয়ে ও অন্যদের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। আর শৈশবে থাকতে হয় বাবা-মা কিংবা বড়দের ওপর নির্ভরশীল হয়ে। এ জন্য জীবনের এই দুই সময়ে তেমন কিছু করার থাকে না। তাই আমাদের যা-ই করতে হয় সব কিছু যৌবন বয়সে করতে হয়।
এ তো গেল দুনিয়ার জীবনের কথা। পরকালীন জীবনের সফলতার জন্যও যৌবনের গুরুত্ব অত্যধিক। যৌবনকালের প্রতিটি ভালো কাজ আল্লাহর কাছে অনেক প্রিয় ও মর্যাদাপূর্ণ। এ সময়ে মানুষ সব দিক দিয়ে পরিপূর্ণতা লাভ করে। হজরত ইউসুফ আ:-এর কথা প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা বলেন- ‘যখন সে পূর্ণ যৌবনে উপনীত হলো, আমি তাকে হিকমত ও জ্ঞান দান করলাম।’ (সূরা ইউসুফ, আয়াত-২২) সূরা কাসাসের ১৪ নম্বর আয়াতেও হজরত মুসা আ:-এর ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা একই কথা বলেছেন; অর্থাৎ যৌবন বয়সেই মানুষ সব দিক দিয়ে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে।
হাদিসের দিকে লক্ষ করলেও আমরা অসংখ্য হাদিস দেখতে পাই যৌবনের গুরুত্ব সম্পর্কে। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা: থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে রাসূল সা: বলেছেন, ‘কিয়ামতের দিন কোনো আদম সন্তান পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে সামনে অগ্রসর হতে পারবে না। এর মধ্যে একটি প্রশ্ন হলো, জীবনকে কিভাবে শেষ করেছে এবং যৌবনকালকে কোন কাজে অতিবাহিত করেছে।’ (সুনানে তিরমিজি-২৪১৬)
এখানে রাসূল সা: জীবনের কথা বলার পর পৃথকভাবে যৌবনকালের কথা উল্লেখ করছেন। অন্য হাদিসে রাসূল সা: বলেন, ‘কিয়ামতের কঠিন বিভীষিকার দিন আরশের ছায়া ছাড়া যখন কোনো ছায়া অবশিষ্ট থাকবে না, সে দিন আল্লাহ তায়ালা সাত শ্রেণীর মানুষকে আরশের ছায়ার নিচে স্থান দেবেন। তন্মধ্যে একটি শ্রেণী হলো যুবক। যে যুবক তার যৌবনকালকে আল্লাহর পথে কাটিয়েছে।’ (বুখারি- ৬৬০, মুসলিম)
যৌবনকাল সম্পর্কে সতর্ক করতে গিয়ে রাসূল সা: অন্য হাদিসে বলেছেন, ‘বার্ধক্য আসার আগে যৌবনকে গুরুত্ব দাও।’ (বাইহাকি, শুআবুল ঈমান-১০২৪৮) কারণ এটি একবারই আসে মানুষের জীবনে।
যৌবনকাল হচ্ছে কচুপাতার পানির মতো। কচুপাতার পানি যেভাবে যেকোনো সময় যেকোনো দিকে পড়ে যেতে পারে, অনুরূপ যৌবনকালেও মানুষ যেকোনো দিকে ধাবিত হয়ে যেতে পারে। তাই সতর্ক থাকতে হয় বেশি।
লেখক : প্রবন্ধকার
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা