১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

বৃক্ষরাজি : আল্লাহর নেয়ামত

-

মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের বিভিন্ন নেয়ামত দিয়ে ধন্য করেছেন। পার্থিব জগতে প্রতিটি বস্তু মানবজাতিরর কল্যাণের জন্য সৃজন করেছেন। পৃথিবীকে সাজিয়েছেন হরেক রকম সৃষ্টি দিয়ে। এরমধ্যে অন্যতম হলো, বৃক্ষরাজি। গাছগাছালি জীব-জন্তুকে পরিশোধিত বায়ু দ্বারা জীবন ধারণের বড় ভূমিকা পালন করে থাকে। এ গাছপালার মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষা, ওষুধপত্র, গৃহ নির্মাণ, আসবাবপত্র ও জ্বালানি ব্যবহারের ক্ষেত্র আমাদের বিভিন্ন উপকারে আসে। কুরআনের ভাষ্য, ‘রাব্বুল আলামিন তোমাদের জন্যে আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেন, এ পানি থেকে তোমরা পান করো। এ পানি দ্বারা তোমাদের জন্য উৎপাদন করেন ফসল, জয়তুন, খেজুর, আঙ্গুর ও সর্বপ্রকার ফল।’ (সূরা নাহাল : ১০)

আল্লাহ তায়ালা বৃষ্টি বর্ষণ করেন, যাতে ভূমি সজীব ও উর্বর হয় এবং তাতে উদ্ভিদ ও বৃক্ষরাজি উৎপন্ন হয়। আল্লাহ তায়ালা জানান দেন, এখনই সময় বৃক্ষ রোপণ করার। কিন্তু আমরা বুঝেও বুঝি না। জনসংখ্যা বৃদ্ধি হওয়ার সাথে সাথে গাছপালা ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে। এতে পরিবেশ ও জীব-জন্তুর জীবন-ধারণ দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। বিশেষভাবে বৃক্ষরাজির অভাবে পরিবেশের ওপর বিপর্যয় দেখা দেয়। মরুকরণ, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার প্রকোপ ভয়াবহ আকারে দেখা দেয়। পরিবেশবিজ্ঞানীদের ধারণামতে কোনো দেশের পরিবেশ ভারসাম্য রক্ষায় সে দেশের মোট আয়তনের ২৫ ভাগ বনভূমি থাকা অতীব প্রয়োজন। কিন্তু বাংলাদেশের ৬৫ হাজার বর্গমাইলে মাত্র ১০ হাজার বর্গমাইল বনভূমি রয়েছে। অর্থাৎ আয়তনের মাত্র ১৫ ভাগ। নির্বিচারে বৃক্ষ কাটা, যত্রতত্র বৃক্ষকে অবহেলাভরে পদদলিত করা রীতিমতো দেখা যাচ্ছে সব জায়গায়। এভাবে চলতে থাকলে সুন্দর বৃক্ষময় এলাকা একসময় বৃক্ষশূন্য রূপ নেবে বলে মনে করি।

তাই আমাদের এ ক্ষেত্রে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। বিভিন্ন ঋতুর প্রাকৃতিক পরিবর্তন হয়। শীত ঋতুতে গাছের পাতা ঝরে যায়। সে সময় বৃষ্টিপাত না থাকায় অনেক বৃক্ষ অঙ্কুরেই মরে যায়। তাই বর্ষার বৃষ্টিপাতে বৃক্ষ রোপণ করলে, তা সহজেই সতেজ হয়ে ওঠে। এ দিকেও আমাদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। বৃক্ষের বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে। ভেষজ, আসবাবপত্র ও জ্বালানিরূপে পাওয়া যায়। এদের মধ্যে ফলদানকারী বৃক্ষও আছে। আম, জাম, কাঁঠালের ফলন হয়। আসবাবপত্র তৈরিতেও বৃক্ষের কোনো জুড়ি নেই। জ্বালানিতেও বৃক্ষের চাহিদা খুব। কয়লার জন্য বৃক্ষের বিকল্প নেই।

মহান রাব্বুল আলামিন মানবজাতির জন্য বিভিন্ন প্রকার বৃক্ষ সৃষ্টি করেছেন। আমাদের পক্ষে এর নাম ও গুণগত কল্পনা করা অসম্ভব। বৃক্ষের লতাপাতাতে রয়েছে চিকিৎসার সবরকম বৈশিষ্ট্য। চিকিৎসকরা অবাক হয়ে পড়েন বৃক্ষের গুণাগুণ দেখে। সুতরাং বৃক্ষকে বাঁচাতে হলে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে। বৃক্ষরোপণ অভিযানে ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে অংশগ্রহণ করতে হবে। যদি আমরা প্রত্যেকে একটি করে গাছ লাগাই, তাহলে আমাদের দেশে বৃক্ষের কমতি হবে না কখনোই। পরিবেশও আমাদের অনেকটা অনুকূলে চলে আসবে। তাই আসুন দলমত নির্বিশেষ সবাই মিলে গাছ লাগাই, পরিবেশ বাঁচাই।

লেখক : প্রিন্সিপাল, শ্যামপুর কদমতলী রাজউক মাদরাসা, ঢাকা


আরো সংবাদ



premium cement
ঘন ঘন বৈঠক প্রমাণ করে সরকার কর্মব্যস্ত : অর্থ উপদেষ্টা চিন্ময় দাসের আগাম জামিন শুনানির আবেদন নাকচ বেনাপোলে সীমান্ত থেকে ২ নারী আটক প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে লক্ষ্মীপুরে ছাত্রহত্যায় অংশ নেয়া আ‘লীগ নেতা বিএনপির লং মার্চ : আগরতলা সীমান্তে সতকর্তা বাড়িয়েছে ভারত ভারতের সাথে নতজানু পররাষ্ট্রনীতি থেকে সরে এসেছে সরকার : আসিফ মাহমুদ নারায়ণগঞ্জে দাফনের ৪ মাস পর লাশ উত্তোলন কক্সবাজারে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ইভাংকার শ্বশুরের পক্ষে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাফাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ত্রিমুখী সংঘর্ষে শিশুসহ নিহত ৩ রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে কোটিপতির অ্যাকাউন্টের সংখ্যা কমেছে : বাংলাদেশ ব্যাংক

সকল