আধুনিক বিজ্ঞান ও আখিরাতের হিসাব
- আলী ওসমান শেফায়েত
- ০৭ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
বিজ্ঞানের আবিষ্কার এ পর্যন্ত আমাদের সামনে যেসব তথ্য ও তত্ত্ব পেশ করেছে তা থেকে এ বিষয়ের ওপর নিঃসন্দেহে পূর্ণ বিশ্বাস জন্মে যে, মানুষ যে পরিবেশে বসবাস করে ও বিভিন্ন কাজকর্ম করে তাতে তার কণ্ঠস্বর, ছবি, গতিবিধির ছাপ চারপাশের পদার্থের অণুপরমাণুর ওপর মুদ্রিত, প্রতিবিম্বও সংরক্ষিত হয়ে থাকে। আবার এর প্রত্যেকটি জিনিসকেই অনুরূপ আকার-আকৃতিতে, ধ্বনিতে বা আওয়াজে পুনরায় এমনভাবে উপস্থাপন করা যেতে পারে, যাতে আসল-নকলের মধ্যে কোনো দিক দিয়েই বিন্দুমাত্র পার্থক্য থাকে না। মানুষ যদি আল্লাহ প্রদত্ত সীমিত জ্ঞান-বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে আবিষ্কৃত উপায় উপকরণ যেমন- রেডিও, টেলিভিশন, মোবাইল টেলিফোন, ফ্যাক্স, ইন্টারনেট, ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিডার, রেকর্ডার, সিসি টিভি ও আধুনিক প্রযুক্তির অনন্য অবদান স্যাটেলাইটসহ ইত্যাদি নানাবিধ উপকরণের মাধ্যমে ওই কাজ করতে পারে, তবে এই মহাবিশ্বের মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ পাক অসীম ক্ষমতার মালিক হয়ে কেন পারবেন না তার ফেরেশতাদের দ্বারা দুনিয়ার বুকে সংঘটিত ঘটনাবলি ও মানুষের যাবতীয় কর্মকাণ্ডের রেকর্ড সংরক্ষণ করতে এবং পরকালে মহাসমাবেশ বা হাশরের দিন আবার তা হুবহু উপস্থাপন করতে?
সেদিন তো মানুষ নিজের কানেই নিজের কণ্টস্বর এবং দুনিয়ার জীবনে বলা সব কথাবার্তা শুনতে পাবে। কারণ এসব তাকে শোনানো হবে। একইভাবে তার নিজের চোখে নিজের যাবতীয় কাজকর্মের চলমান ছবি এমনভাবে দেখতে পাবে যে, তার সত্যতা, যথার্থতা ও নির্ভুলতাকে কারো পক্ষে অস্বীকার করা সম্ভব হবে না। মানুষের নিজ দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এবং তার পরিবেশস্থ প্রত্যেকটি জিনিসই যে টেপ রেকর্ডার ও ফিল্মের কাজ করবে।
এ সম্পর্কে আল্লাহ পাক বলেন- ‘তাদের সবাইকেই তো সেদিন আমার সামনে উপস্থিত করা হবে’ (সূরা ইয়াছিন, আয়াত-৩২)।
‘আজ আমি এদের মুখ বন্ধ করে দিচ্ছি। এদের হাত আমার সাথে কথা বলবে, আর এদের পাগুলো সাক্ষ্য দেবে এরা দুনিয়ায় কী কী কাজ করছিল তার’ (সূরা ইয়াছিন, আয়াত-৬৫)।
‘তারা যেন সে দিনটি ভুলে না যায়, যে দিন তাদের নিজেদের জিহ্বা, নিজেদের হাত ও নিজেদের পা তাদের কৃতকর্মের সাক্ষ্য দেবে। সে দিন আল্লাহ তাদেরকে সেই প্রতিদান পুরোপুরি দেবেন, যা তারা পাওয়ার যোগ্য। আর তারা জানতে পারবে যে, আল্লাহই সত্য এবং সত্যকে সত্য হিসেবে প্রকাশ করেন’ (সূরা নূর, আয়াত : ২৪-২৫)।
‘কাজেই এ লোকেরা যেসব কথা বলে তা যেন তোমাকে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ও দুঃখ ভারাক্রান্ত না করে। তাদের প্রকাশ্য ও গোপন সব কথাই আমি জানি’ (সূরা ইয়াছিন, আয়াত-৭৬)।
‘যে দিন মানুষ সে সব কিছু দেখবে যা তার দু’টি হাত আগেই পাঠিয়ে দিয়েছে এবং কাফেররা বলে উঠবে- হায়! আমি যদি মাটি হতাম’ (সূরা নাবা, আয়াত-৪০)!
‘সেদিন সে (পৃথিবী) তার নিজের ওপর যা কিছু ঘটেছে সেই সব অবস্থা বর্ণনা করবে’ (সূরা যিলযাল, আয়াত-৪)।
‘সহসা এবং নিজেদের চোখে (যে সব বিষয়ে খবর দেয়া হয়েছে সব কিছুই) দেখতে পাবে। তখন এরা বলবে- ‘হায়! আমাদের দুর্ভোগ, এই তো বিচারের দিন, এই তো সেই ফয়সালার দিন, যাকে তোমরা মিথ্যা প্রতিপন্ন করছিলে’ (সূরা আস সাফফাত, আয়াত : ১৯-২১)।
লেখক : শিক্ষক ও গবেষক
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা