১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১ পৌষ ১৪৩০, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

বদর যুদ্ধের শহীদ সাহাবায়ে কিরাম

-

ইসলামের ইতিহাসে বদরের যুদ্ধ বিশেষভাবে স্মরণীয়। কারণ এ যুদ্ধে ৩১৩ জন মুসলমানের একটি নিরস্ত্র দল তৎকালীন রণকৌশলে পারদর্শী অস্ত্রশস্ত্রে সুসজ্জিত কাফির বাহিনীর সাথে অসম যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে ইসলামের বিজয় ছিনিয়ে আনে। এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআন মাজিদে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ইরশাদ করেছেন- ‘বদরের যুদ্ধে যখন তোমরা হীনবল ছিলে, আল্লাহ তো তোমাদের সাহায্য করেছিলেন। সুতরাং তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো।’ (সূরা আলে ইমরান-১২৩)
বদর যুদ্ধের প্রাক্কালে রাসূলে করিম সা: বলেছিলেন, ‘আজ যে ব্যক্তি কাফিরদের বিরুদ্ধে ধৈর্যের সাথে সাওয়াবের প্রত্যাশায় যুদ্ধ করবে, শহীদ হবে, আল্লাহ তাকে জান্নাত দান করবেন।’ (বায়হাকি) এমন আশ্বাসবাণী পেয়ে হক ও বাতিলের লড়াইয়ে স্বল্পসংখ্যক মুসলমান জানবাজি রেখে কাফিরদের মোকাবেলায় জয়লাভ করেছিলেন। বদর যুদ্ধে ৭০ জন কাফির নিহত ও ৭০ জন বন্দী হয়। অন্যদিকে ১৪ জন মুসলমান শাহাদাত বরণে গৌরব অর্জন করেন। এদের মধ্যে ছয়জন ছিলেন মুহাজির ও আটজন আনসার।
মুহাজির ছয়জন হলেন : ১. হজরত মাহজা ইবনে সালিহ রা:, ২. হজরত উবায়দাহ ইবনে হারিস রা:, ৩. হজরত ওমায়র ইবনে আবি ওয়াককাস রা:, ৪. হজরত আকিল ইবনে বুকায়র রা:, ৫. হজরত যুশ শুমালাইন ওমায়র ইবনে আবদ আমর ইবন নাদলাহ জাঈ রা:, ৬. হজরত আম্মার ইবনে জিয়াদ ইবন সাকান ইবন রাফে রা:।
আনসার আটজন হলেন : ১. হজরত সাদ ইবন খায়সামাহ রা:, ২. হজরত ইবন আবদিল মুনজির ইবন জুবায়ের রা:, ৩. হজরত ইয়াজিদ ইবনে হারিস রা:, ৪. হজরত ওমায়র ইবনে হাম্মাম রা:, ৫. হজরত রাফে ইবনে মুয়াল্লা রা:, ৬. হজরত হারিস আনসারি আউসি নাজ্জারি রা:, ৭. হজরত আউস ইবনে হারিস ইবন আফরা রা:, ৮. হজরত মুআওয়িজ ইবনে আফরা রা:।
লেখক : আলেম, প্রাবন্ধিক ও কলেজ শিক্ষক


আরো সংবাদ



premium cement