সালাতের গুরুত্ব
- মো: আমিরুল ইসলাম
- ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০৫, আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:১৩
নামাজ শব্দটি মূলত ফারসি শব্দ। বাংলা ও উর্দু ভাষাতেও এ শব্দটির ব্যবহার ব্যাপক। আরবি ভাষায় যাকে সালাত বলা হয়। ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের মধ্যে সালাত হলো অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি স্তম্ভ। আর সালাত বলা হয় নির্ধারিত শর্তসাপেক্ষে নির্দিষ্ট সময়ে নির্ধারিত ইবাদত করাকে। জীবনের কোনো অবস্থাতেই সালাত পরিত্যাগ করা যাবে না। মহান আল্লাহ তায়ালা মুমিনদের পরিচয় তুলে ধরতে গিয়ে ঈমানের সাথে সাথে সালাতের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি ইরশাদ করেন- ‘হেদায়াত খোদাভীরুদের জন্য, যারা অদৃশ্যের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সালাত কায়েম করে আর আমার প্রদানকৃত জীবনোপকরণ থেকে খরচ করে’ (সূরা বাকারা)। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন- ‘আপনার পরিবার-পরিজনকে সালাতের আদেশ দিন এবং নিজেও তাতে অবিচল থাকুন। আমি আপনার কাছে কোনো জীবনোপকরণ চাই না, রুজি তো আমিই দেবো। আর উত্তম পরিণতি পরহেজগারির মধ্যে রয়েছে’ (সূরা ত্বহা-১৩২)। এ ছাড়া আল্লাহ তায়ালা বারবার সালাত প্রতিষ্ঠা করার হুকুম দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন- ‘নিশ্চয়ই সালাত নির্লজ্জতা ও অশ্লীল কাজ থেকে বিরত রাখে।’
নবী করিম সা: ইরশাদ ফরমান, ‘কিয়ামতের দিন সর্ব প্রথম সালাতের হিসাব নেয়া হবে। যদি তা উত্তম ও পরিপূর্ণরূপে পাওয়া যায়, তাহলে অন্যান্য আমলও সঠিক বলে গণ্য হবে। আর যদি তা খারাপ হয়, তবে অন্যান্য আমলও খারাপ বলে গণ্য হবে’ (তাবারানি)।
হাদিসে বর্ণিত আছে- ‘যে ব্যক্তি সালাতের এহতেমাম করে মহান আল্লাহ তায়ালা তাকে পাঁচ প্রকারে সম্মানিত করেন- ১. তার ওপর থেকে রুজির অভাব দূর করে দেয়া হয়; ২. কবরের আজাব থেকে মুক্ত করা হয়; ৩. কিয়ামত দিবসে তার আমলনামা ডান হাতে দেয়া হবে; ৪. পুলসিরাতের ওপর দিয়ে দ্রুত গতিতে পার হয়ে যাবে; ৫. বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে।
পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি সালাতের ব্যাপারে গাফিলতি করে তাকে বিভিন্ন প্রকারের শাস্তি দেয়া হয়- ১. তার জীবনে কোনো প্রকার বরকত থাকে না; ২. তার দোয়া কবুল করা হয় না; ৩. তার চেহারা থেকে নূর দূর হয়ে যায়; ৪. লাঞ্ছনার সাথে মৃত্যু হয়; ৫. তার জন্য কবর সঙ্কীর্ণ হয়ে যায়; ৬. হিসাব কঠিন করে নেয়া হয়; ৭. পরিণামে সে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে (ফাজায়েলে আমল)।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা