২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৪ শাবান ১৪৪৬
`

প্রশ্নোত্তর

-

প্রশ্ন : যেখানে ১০০ জন লাইসেন্সধারী মদ্যপায়ী থাকবে সেখানে মদের বারের অনুমতি দেয়া হবে। এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে ইসলাম কী বলে? ‘মদ ইয়াবার চেয়ে ভালো’ এই যুক্তিতে মদ পানের অনুমতি দেয়াকে আপনি কি যৌক্তিক মনে করেন?
উত্তর : এটি একটি ইসলামী বিধানের বিরোধী আইন। আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে সরকারের কর্তাব্যক্তিদের কাছে এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছি। কারণ, মদপানের বার যদি বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে তাহলে যুবক-তরুণদের মধ্যে মদপানের আসক্তি বাড়বে। এতে সমাজের জন্য কল্যাণকর কিছুই হবে না। যা হবে তা অকল্যাণ। পৃথিবীতে যত অপরাধ বা অন্যায় তার সব কিছুর গোড়া বা মা বলা হয় এই মদ বা নেশাকে। কারণ নেশা গ্রহণ করলে মানুষ এমন কোনো অপরাধ নেই যা সে করতে পারে না। অমুসলিমদের ধর্মে যদি মদপানের নিষেধাজ্ঞা না থাকে তাহলে সরকার আলেমদের মতামত নিয়ে সে বিষয়ে ব্যবস্থা করবে। কিন্তু মুসলমান সমাজে মদকে বিস্তার করার কোনো কারণ ও সুযোগ নেই। অনেকে বলেন, ‘একজন প্রাপ্তবয়স্ক কী খাবে; কী পান করবে; সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার।’ তাদের কাছে প্রশ্ন- ‘এই সমাজের বেশির ভাগ মানুষ যেটা যায় না সেটা কি আপনি সমাজে আরোপ করতে পারেন?’ সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের চাওয়ার বাইরে কিছু চাপিয়ে দেয়ার সুযোগ নেই। যদি বলেন যে, যার যা খুশি তাই করবে; এমনটি তো হতে পারে না। কারণ সমাজ একটা নিয়ম-নীতি-শৃঙ্খলা মেনেই পরিচালিত হয় বিধায় মদের লাইসেন্সকে হালকাভাবে দেখার সুযোগ নেই। বিভিন্ন এলাকায় মদের বার হলে যুবকরা বখে যাবে, সংসার ভাঙবে, নানা রকম ব্যত্যয় দেখা দেবে। তাই সমাজ-পরিবার বিধ্বংসী এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার জন্য আমরা সরকারের প্রতি আবারো দাবি জানাচ্ছি। আর ‘ইয়াবা থেকে মদ ভালো’ এই যুক্তি আক্ষরিক অর্থে যৌক্তিক মনে হলেও এটা আসলে শতভাগ ভুল এবং হারাম। কারণ রাসূল সা: বলেছেন, ‘যে পানীয় পান করলে নেশা সৃষ্টি হয় তা হারাম’। (বুখারি) তাই ইয়াবা হারাম আর মদ হারাম এমন মনে করার কোনো কারণ নেই। আর পৃথিবীর কোনো সরকার কিছুকে হালাল করলেই তা একজন মুসলিম হিসেবে আপনার জন্য হালাল হতে পারে না। সমাজ নষ্ট-ধ্বংস হতে পারে এমন কোনো সিদ্ধান্ত রাষ্ট্র নিলে সে সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নিয়মতান্ত্রিক প্রতিবাদ করা একজন ঈমানদার হিসেবে আপনার আমার কর্তব্য। সূরা মায়িদার ৯০ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! এ মদ, জুয়া, মূর্তি পূজার বেদি ও ভাগ্য নির্ণায়ক শরসমূহ এ সমস্তই হচ্ছে ঘৃণ্য শয়তানি কার্যকলাপ। এগুলো থেকে দূরে থাকো, আশা করা যায়, তোমরা সফলতা লাভ করবে।’ শয়তান মূলত এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আমাদের মধ্যে শত্রুতা বিদ্বেষ সৃষ্টি করতে চায়। সুতরাং মাদক যেরূপেই হোক না কেন, ইসলামের দৃষ্টিতে তা হারাম, হারাম, হারাম। এটা এমন হারাম যে, এই হারামের সাথে সংশ্লিষ্ট সবার ওপর নবী সা: অভিশাপ দিয়েছেন। উৎপাদক, ক্রেতা, বিক্রেতা, লাইসেন্স দাতা, সহযোগিতাকারী, সমর্থনকারীসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি অভিশাপ। সুতরাং ঈমানদার কখনোই এটিকে সমর্থন করতে পারে না।


আরো সংবাদ



premium cement
পাঠ্যবই মুদ্রণে সফল ৩৫ প্রতিষ্ঠানকে এনসিটিবির সংবর্ধনা অপারেশন ডেভিল হান্টে আরো ৫৮৫ জন গ্রেফতার সেনা অফিসারদের হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের বিচারের দাবিতে সমাবেশ দেশের আকাশসীমায় সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সর্বদা সচেষ্ট : বিমান বাহিনী রমজানে কোনো নিত্য পণ্যের দাম বাড়বে না : অর্থ উপদেষ্টা নতুন গবেষণা ইনস্টিটিউটের আত্মপ্রকাশ মিরসরাইয়ে উদয়ন মেধাবৃত্তি পরীক্ষার পুরস্কার বিতরণ সম্পন্ন নাহিদের পদত্যাগের গুঞ্জন নিয়ে যা জানা গেল জার্মান নির্বাচন : বুথ ফেরত জরিপে এগিয়ে সিডিইউ কুমিল্লার বুড়িচংয়ে বসতঘর থেকে তরুণীর লাশ উদ্ধার পাবিপ্রবিতে ২ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

সকল