১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬ ফাল্গুন ১৪৩১, ১৯ শাবান ১৪৪৬
`

টাখনুর নিচে কাপড় পরিধান

-

মানুষ যেসব কাজকে লঘু মনে করে অথচ আল্লাহর কাছে সেগুলো খুবই গুরুতর, তন্মধ্যে টাখনুর নিচে কাপড় পরিধান করা একটি। অনেকের কাপড় এত লম্বা যে, তা মাটি স্পর্শ করে। কেউবা আবার পরিধেয় বস্ত্র পেছন থেকে মাটিতে টেনে বেড়ায়। টাখনুর নিচে এভাবে কাপড় ঝুলিয়ে পরা হারাম।
রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, ‘তিন প্রকার লোকের সাথে আল্লাহ তায়ালা কিয়ামতের দিন কথা বলবেন না, তাদের দিকে তাকাবেন না এবং তাদেরকে পবিত্র করবেন না; বরং তাদের জন্য রয়েছে মর্মন্তুদ শাস্তি। তারা হলো- ১. টাখনুর নিচে কাপড় (অন্য বর্ণনায় লুঙ্গি) পরিধানকারী; ২. খোটাদানকারী (অন্য বর্ণনায় এসেছে, যে খোটা না দিয়ে কোনো কিছু দান করে না) ও ৩. মিথ্যা কসমের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয়কারী।’ (মুসলিম-১০৬, আবু দাউদ-৪০৮৭, নাসায়ি-২৫৬৩, তিরমিজি-১২১১, ইবনে মাজাহ-২২০৮, মুসনাদে আহমাদ-২১৪৩৬, দারিমি-২৬৪৭, ইরওয়া-৯০০, সহিহ আত তারগিব-১৭৮৭, মিশকাত-২৭৯৫)
যে বলে, ‘আমার টাখনুর নিচে কাপড় পরা অহঙ্কারের প্রেক্ষিতে নয়’ তার এ সাফাই গাওয়া গ্রহণযোগ্য নয়। টাখনুর নিচে কাপড় পরিধান করা অহঙ্কার বশেই হোক আর এমনিতেই হোক, শাস্তির ধমকি তাতে রয়েছেই। রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, ‘টাখনুর নিচে কাপড়ের যেটুকু থাকবে তা জাহান্নামে যাবে।’ (নাসায়ি-৫৩৩০, মুসনাদে আহমাদ-২০১৮০) এ হাদিসে অহঙ্কার ও নিরহঙ্কারের মধ্যে কোনো পার্থক্য করা হয়নি। আর জাহান্নামে গেলে শরীরের কোনো অংশবিশেষ যাবে না; বরং পুরো দেহই যাবে। অবশ্য অহঙ্কার বশে যে টাখনুর নিচে কাপড় পরবে তার শাস্তি তুলনামূলকভাবে কঠোর ও বেশি হবে।
এ কথাই রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি অহঙ্কার বশে তার লুঙ্গি মাটির সাথে টেনে নিয়ে বেড়াবে, কিয়ামত দিবসে আল্লাহ তায়ালা তার প্রতি দৃষ্টি দেবেন না।’ (বুখারি-৩৬৬৫)
বেশি শাস্তি এ জন্য হবে যে, সে এক সঙ্গে দু’টি হারাম কাজ করছে- ১. টাখনুর নিচে কাপড় পরা; ২. অহঙ্কার প্রদর্শন। বস্তুত পরিমিত পরিমাণ থেকে নিচে ঝুলিয়ে যেকোনো বস্ত্র পরিধান করাই ‘ইসবালের ঝুলিয়ে পরা আওতাভুক্ত এবং তা হারাম।
ইবনে ওমর রা: থেকে বর্ণিত এক হাদিসে রাসূলুল্লাহ সা: বলেন, ‘লুঙ্গি, জামা ও পাগড়িতে ইসবাল রয়েছে। এগুলো থেকে যেকোনোটিকে কোনো ব্যক্তি অহঙ্কার বশে টেনে-ছিঁচড়ে বেড়ালে কিয়ামত দিবসে আল্লাহ তার প্রতি সদয় দৃষ্টি দেবেন না।’ (আবু দাউদ-৪০৯৪, নাসায়ি-৫৩৩৪, ইবনে মাজাহ-৩৫৭৬, মুসান্নাফ ইবনু আবু শায়বাহ-২৪৮৪০, আত তারগিব ওয়াত তারহিব-২০৩৫, আল জামিউস সগির-৪৫৩৬, সহিহুল জামি-২৭৭০, আল মুজামুল কাবির লিত তবরানি-১৩০৩১, মিশকাত-৪৩৩২)
স্ত্রীলোকদের জন্য পায়ের সতরের সুবিধার্থে এক বিঘত কিংবা এক হাত পরিমাণ ঝুলিয়ে দেয়ার অবকাশ আছে; কেননা বাতাস বা অন্য কোনো কারণে সতর খোলার ভয় থাকলে অতিরিক্ত কাপড়ে তা বহুলাংশে রোধ হবে। তবে সীমালঙ্ঘন করা তাদের জন্যও বৈধ হবে না।
যেমন বিয়ে-শাদিতে পরিহিত বস্ত্রের ক্ষেত্রে মেয়েদের সীমালঙ্ঘন করতে দেখা যায়। সেগুলো পরিমিত পরিমাণ থেকে কয়েক বিঘত এমনকি কয়েক মিটার লম্বা হয়। অনেক সময় পেছন থেকে তা বয়ে নিয়ে যেতেও দেখা যায়।
লেখক : শিক্ষক ও গবেষক


আরো সংবাদ



premium cement
কুয়েট ভিসির পদত্যাগসহ ৫ দফা দাবি, অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ হাসিনার সাবেক সামরিক সচিব মিয়াজী আটক উদ্বোধনী ম্যাচের আগে দর্শকের আনন্দ দেবে পাকিস্তান বিমানবাহিনী শনিবার ৬ ইসরাইলি পণবন্দীকে মুক্তি দেবে হামাস খালেদা জিয়ার নাইকো মামলার রায় আজ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর্দা উঠছে আজ, মুখোমুখি পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড হাসিনার কলরেকর্ড ট্রাইব্যুনালে প্রধান উপদেষ্টার সাথে ভুটানের রাষ্ট্রদূতের বিদায়ী সাক্ষাৎ ভারতীয় পানি আগ্রাসনের প্রতিবাদে উত্তাল তিস্তা অববাহিকা বিএনপি ক্ষমতায় এলে তিস্তা মহাপরিকল্পনা অগ্রাধিকার পাবে : তারেক রহমান গাজায় ২৬৬ বার যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন ইসরাইলের

সকল