১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২ ফাল্গুন ১৪৩১, ১৫ শাবান ১৪৪৬
`

ইসলাম ধর্মে নারীর সম্মান, অধিকার

-


ইসলাম একটি আরবি পরিভাষা। এই শব্দের আভিধানিক অর্থ আনুগত্য করা, আত্মসমর্পণ করা, অনুগত হওয়া, কোনো কিছু মাথা পেতে নেয়া। এই শব্দটি সালম, সিলম বা সিলমুন মূল ধাতু থেকে উৎপত্তি হয়েছে। ইসলাম ধর্মের মূল ধাতু-‘সালম’ যার এক অর্থ শান্তি, সন্ধি, সমর্পণ ও নিরাপত্তা। তাই আত্মসমর্পণের মাধ্যমে শান্তি ও নিরাপত্তা লাভ হয়। এ জন্যই তাকে ইসলাম বলা হয়। আল্লাহ তায়ালার ধর্মের মূল তত্ত্ব নিহিত রয়েছে ‘ইসলাম’ শব্দটি ঘিরে। আরবি ভাষায় তাই ইসলাম বলতে বুঝায় আনুগত্য, বাধ্যগত ও আত্মসমর্পণ। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার কারণে নিজেকে আল্লাহর কাছে সমর্পণ করতে হয়। ইসলাম ধর্মের মূল মর্ম বাণী হলো-মানুষের সর্বস্ব আল্লাহ তায়ালার কাছে সোপর্দ করে দেয়া। পবিত্র আল কুরআনের ভাষায় ইসলাম অর্থ আল্লাহর ইচ্ছার কাছে আত্মসমর্পণ করা। তাই ইসলাম মানুষের সঠিক পথের দিশারী, দুনিয়া ও আখিরাতের সর্বাঙ্গীন এবং পূর্ণাঙ্গ একমাত্র জীবনব্যবস্থা। আল্লাহ পাক পবিত্র কুরআনে ঘোষণা করেছেন- ‘ইন্নাদদিনা ইনদাল্লাহিল ইসলাম’ অর্থাৎ- ইসলামই হচ্ছে আল্লাহর একমাত্র মনোনীত জীবনাদর্শ। (সূরা আলে ইমরান-১৯) অপর এক আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন- ‘আলইয়াওমা আকমালতু লাকুম দিনাকুম ওয়া আতমামতু আলাইকুম নিয়ামাতি ওয়া রাদ্বিতু লাকুমুল ইসলামা দ্বীনা’ অর্থাৎ- আজ থেকে আমি তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গ করে দিলাম। তোমাদের উপরে আমার যাবতীয় নিয়ামত সম্পন্ন করলাম। ইসলামকে তোমাদের জন্য একমাত্র দ্বীন হিসেবে মনোনীত করলাম। (সূরা আল মায়িদা-৩) এই আয়াত থেকে স্পষ্ট বুঝা যায়, আল্লাহ পাক ইসলামকে মানবতার জন্য নিয়ামত হিসেবে পাঠিয়েছেন। যাতে সারা বিশ্বের মানুষের জীবনের সব সমস্যার সমাধান রয়েছে।

ইসলাম ধর্মে নারীর সম্মান : আল্লাহর সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ। পৃথিবীতে যা কিছু সৃষ্টি করা হয়েছে তার চেয়ে বেশি শ্রেষ্ঠত্ব দান করা হয়েছে মানুষকে। তার শ্রেষ্ঠত্বের মধ্যে রয়েছে নর ও নারী উভয়েই। সুতরাং নারীকে ছোট করে দেখা এবং নরকে বড় করে দেখার কোনো অবকাশ নেই ইসলাম ধর্মে। উল্লেখ্য, ইসলাম ধর্ম আবির্ভাবের আগে মক্কা নগরীতে তথা আরব সমাজে স্ত্রী হিসেবে নারীর কোনো সম্মান বা মর্যাদা ছিল না। পুরুষরা খেয়াল খুশিমতো স্ত্রী গ্রহণ করত, ইচ্ছামতো তাদের বর্জন করত, তাদের সাথে অশালীন আচরণ করত। এমতাবস্থায়, বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ সা: এসব বর্বর জাতিকে আল্লাহর বাণী শুনালেন এবং তাদের উদ্দেশে বললেন, নারী তোমাদের আবরণ এবং তোমরা তাদের আবরণ। (সূরা বাকারা-১৮৭) আর তার নির্দেশাবলির মধ্যে রয়েছে- তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য হতে সৃষ্টি করেছেন তোমাদের সঙ্গিনীদের, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তি পাও। (সূরা রুম-২) তা ছাড়া হজরত মুহাম্মদ সা: নিজের বাণী প্রদান করলেন, ‘তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম যারা স্ত্রীদের সাথে উত্তম ব্যবহার করে।’ (মুসলিম ও তিরমিজি) একজন সাহাবি নবী করিম সা:-এর কাছে জানতে চাইলেন, আমার সেবা ও সম্মান পাওয়ার বেশি হকদার কে? নবী করিম সা: তাকে বললেন, তোমার মা। সাহাবি আবার বললেন, তারপর কে? নবী করিম সা: বললেন, তোমার মা। সাহাবি আবার বললেন, তারপর কে? নবী করিম সা: বললেন, তোমার মা। সাহাবি আবারো জিজ্ঞাসা করলেন, তারপর কে? নবী করিম সা: এবার বললেন, তোমার বাবা। হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে, মায়ের পদতলে সন্তানের জান্নাত। (বুখারি ও মুসলিম) আখেরি নবী দোজাহানের বাদশাহ হজরত মুহাম্মদ সা:-এর দুধমাতা হালিমা সাদিয়া রা: একবার নবী করিম সা:-এর কাছে হাজির হলেন, তখন প্রিয় নবী সা: নিজের মাথার পাগড়ি খুলে বিছিয়ে তাকে বসালেন। সাহাবায়ে কেরাম অবাক হয়ে জানতে চাইলেন, এই মহান সম্মানীত রমনী কে? নবী করিম সা: বললেন, তিনি আমার দুধমাতা। (সিরাতে খাতামুল আম্বিয়া) ইসলাম মানবতার ধর্ম।


ইসলাম প্রকৃতির ধর্ম। এই প্রকৃতিতে নারী ও পুরুষ উভয়েরই প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তাই ইসলাম নারী ও পুরুষ প্রত্যেককে যার যার প্রয়োজন মোতাবেক অধিকার দিয়েছে। মানবসভ্যতার সূচনালগ্নে আল্লাহ তায়ালা আদি পিতা হজরত আদম আ:-কে সৃষ্টি করলেন। তারপর সৃষ্টি করলেন আদি মাতা হজরত হাওয়া আ:-কে। এভাবেই বিকাশ ঘটল পৃথিবীতে মানব জাতির।
বিয়ের পরে দেনমোহর স্ত্রীর অধিকার : দেনমোহর আদায় করা প্রত্যেক স্বামীর জন্য অবশ্য করণীয়। ইসলামী বিধান মোতাবেক বিয়ের সময়ই দেনমোহর আদায় করা আবশ্যক। অন্যথায় স্ত্রী চাওয়া মাত্র তা পরিশোধ করা পুরুষের জন্য ফরজ। আল্লাহ তায়ালা বলেন-‘তোমরা যদি তাদের (স্ত্রীদের) একজনকে মোহরানা বাবদ ধনসম্পদ দিয়ে থাকো, কিন্তু সেই দেয়া সম্পদ থেকে তোমরা কিছুই ফিরিয়ে নেবে না। তোমরা মিথ্যা অপবাদ ও প্রকাশ্য গোনাহের মাধ্যমে তা গ্রহণ করবে? কি ভাবে তা গ্রহণ করতে পারো, অথচ তোমরা একে অন্যের সাথে সঙ্গত হয়েছ, স্ত্রীরা তোমাদের কাছ থেকে শুধু অঙ্গীকার গ্রহণ করেছেন। (সূরা নিসা : ২০-২১) আমাদের সমাজে একশ্রেণীর মানুষের মধ্যে কু-ধারণা হলো- মোহরানা কেবলই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা মাত্র। আবার কেউ কেউ মনে করেন, মোহরানা হলো বিয়ের নিশ্চয়তা, যা কেবল তালাক দিলেই পরিশোধযোগ্য। কিন্তু বিষয়টি মোটেও এমন নয়। বিয়ের পরে স্বামীর প্রতি দায়িত্ব হলো স্ত্রীকে খোরপোষ ও বাসস্থান দেয়া। স্ত্রীদের তিনটি মৌলিক অধিকারের প্রথমটি হলো খাদ্য। স্বামীর সামর্থ্য অনুযায়ী স্ত্রীর উপযুক্ত প্রয়োজনমতো খাদ্য যথাসময়ে নিয়মিত স্ত্রীকে দিতে হবে। দ্বিতীয়টি হলো- পোশাক, স্ত্রীর প্রয়োজনমতো তার যোগ্য পোশাক দিতে হবে। স্ত্রীর মৌলিক অধিকারের তৃতীয়টি হলো-নিরাপদ বাসস্থান বা নিরাপদ আবাসন। অর্থাৎ স্বামী স্ত্রীকে থাকার জন্য এমন একটি ঘর বা কক্ষ দেবেন, যে ঘর বা কক্ষে স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া (স্বামী ব্যতীত) কেউই প্রবেশ করতে পারবে না। ১৮৮২ সালের Married Womens Property Act-র আগে ব্রিটিশ আইনে পিতার সম্পত্তিতে নারীর কোনো অধিকার ছিল না। বিয়ের আগেই উপার্জিত সম্পদের মালিকানা বিয়ের সাথে সাথে চলে যেত তার স্বামীর হাতে। অথচ সভ্যতার দাবিদার ব্রিটেনের এই আইনের ১৩০০ বছর আগে হজরত মুহাম্মদ সা: পিতার সম্পত্তিতে নারীর অধিকারের কথা ঘোষণা করেছেন দীপ্তকণ্ঠে। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ রয়েছে-‘আল্লাহ পাক তোমাদেরকে তোমাদের সন্তানদের সম্পর্কে নির্দেশ দিয়েছেন- এক ছেলের অংশ দুই কন্যার অংশের সমান। কিন্তু কন্যা যদি দুইয়ের অধিক থাকে, তাদের জন্য পরিত্যক্ত সম্পত্তির দুই-তৃতীয়াংশ। আর একজন কন্যা সন্তান থাকলে তার জন্য সম্পূর্ণ সম্পত্তির অর্ধাংশ। এটি আল্লাহর নির্ধারিত অংশ।’ (সূরা নিসা-১১) পিতার সম্পত্তিতে নারীর এই নির্দিষ্ট অংশ পাওয়ার অধিকার দিয়েছে ইসলাম এবং তা আমাদের বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় আইনে স্বীকৃত।

বিভিন্ন পেশায় মুসলিম নারীদের অবদান : ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ইসলামই একমাত্র ধর্ম, যে ধর্ম সর্বপ্রথম নির্যাতিত নারীদের পাশে দাঁড়িয়েছে। এ বিষয়ে বিতর্কের কোনো অবকাশ নেই। উল্লেখ্য, মহিলাদের মধ্যে সর্বপ্রথম ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন একজন নারী, যার নাম বিবি খাদিজা রা:। পরবর্তীতে বিবি খাদিজা প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ সা:-এর সাথে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। ইসলামের ইতিহাস পর্যালোচনা করে জানা যায়, সর্বপ্রথম ইসলামের জন্য শহীদ হয়েছেন সুমাইয়া রা: নামে একজন মুসলিম নারী। আরো জানা যায়, পরিপূর্ণ ইসলাম মোতাবেক জীবন যাপন করে মুসলিম নারীরা পেশাদারিত্বের জগতেও বিশেষ কৃতিত্বের সাক্ষর রেখেছেন। তাদের কয়েকজনের নাম এখানে উপস্থাপন করা হলো- হজরত আয়েশা রা: হাদিস বর্ণনা, ইসলামী আইন, ফিকাহ, ইতিহাস, বংশতালিকা, কবিতা ও চিকিৎসাবিজ্ঞানে পারদর্শী ছিলেন। হজরত আসমা বিনতে হজরত আবু বকর রা: ও উম্মে আবদুল্লাহ বির জুবায়ের হাদিস বর্ণনায় অভিজ্ঞ ও পণ্ডিত ছিলেন। হজরত আয়েশা বিনতে তালহা রা: কবিতা, সাহিত্য, জ্যোতিষশাস্ত্র ও নভোমণ্ডল বিষয়ে অভিজ্ঞ ছিলেন। হজরত সকিনা বিনতে ইমাম হোসাইন রা: খানসা কাব্য ও সাহিত্যে অভিজ্ঞ ছিলেন। হজরত মায়মুনা বিনতে সাদ রা: হাদিস শাস্ত্রে অভিজ্ঞ ও পারদর্শী ছিলেন। হজরত আলী রা:-ও তার কাছ থেকে হাদিস সংগ্রহ করে বর্ণনা করেছেন। হজরত কারিমা রহ. হাদিস শাস্ত্রে পণ্ডিত ছিলেন। ইমাম বুখারি রহ. তার কাছ থেকে হাদিস সংগ্রহ করেছেন। হজরত ফাতেমা বিনতে আব্বাস প্রখ্যাত ইসলামী আইনবিদ ছিলেন। তিনি ছিলেন মিসর ও দামেস্কের প্রভাবশালী নারী নেত্রী। উল্লেখ্য যে, হজরত উখত মজনি রহ. ছিলেন ইমাম শাফেয়ি রহ.-এর শিক্ষক। আল্লামা মারাদিয়ি রহ. তার কাছ থেকে জাকাত বিষয়ে মাসয়ালা শিখে বর্ণনা করেছেন। হজরত হুজায়মা বিনতে হায়ই রহ. প্রখ্যাত তাবেয়ি ও হাদিসবিদ ছিলেন। ইমাম তিরমিজি ও ইবনে মাজাহ রহ. তার কাছ থেকে হাদিস সংগ্রহ করে বর্ণনা করেছেন। আয়েশা বিনতে আহমদ বিন কাদিম স্পেনের অধিবাসী ছিলেন। তিনি ক্যালিওগ্রাফিতে পারদর্শী ছিলেন। জানামতে, লুবনি রহ. ভাষাবিদ ও আরবি ব্যাকরণ শাস্ত্রে পারদর্শী ছিলেন। ফাতেমা বিনতে আলী বিন হোসাইন বিন হামজাহ ছিলেন হাম্বলি মাজহাবের পণ্ডিত। সমসাময়িক আলেমরা তার কাছ থেকে হাদিস শিখেছেন এবং প্রসিদ্ধ হাদিস গ্রন্থ দারেমি শরিফের সনদের অনুমতি নিয়েছেন। হজরত রাবেয়া কসিসাহ সুপ্রসিদ্ধ বক্তা ছিলেন। ইমাম হাসান বসরি রহ.ও তার কাছ থেকে বিভিন্নভাবে উপকৃত হয়েছেন। ফাতেমা বিনতে কায়েস শিক্ষাবিদ ও আইনবিদ ছিলেন। উম্মে ফজল, উম্মে সিনান হাদিস বর্ণনাকারী ছিলেন। শিফা বিনতে প্রখ্যাত আইনজ্ঞ ছিলেন। হজরত ওমর রা: তাকে ইসলামী আদালতের ‘কাজাউল হাসাবাহ’ (Accountability Court) ও ‘কাজাউস সুক’ (Market Administration) ইত্যাদির দায়িত্বভার অর্পণ করেন। (সূত্র : তাবকাতে ইবনে সাদ-৮/৪৫, দালায়িলুন নবুয়্যাহ-৫/৪১৬, ইবনে আসির-৫/৪৫০ এবং আল-বেদায়া ওয়ান নেহায়া-৫/৭৮)।

শায়েখ আলাউদ্দীন সমরকন্দি রহ. ‘তুহফাতুল ফুকাহা’ নামে একটি কিতাব লিখেছেন। ওই কিতাবের ব্যাখ্যা রচনা করেছেন তারই ছাত্র আবু বকর ইবনে মাসউদ কাস্তানি রহ.। তার রচিত ব্যাখ্যা গ্রন্থটির নাম ‘বাদায়ে আস সানায়ে’। ইসলামী ফিকাহ শাস্ত্রে তা নজিরবিহীন কিতাব। এটি দেখে শিক্ষক তার ছাত্রের কাছে নিজ মেয়েকে বিয়ে দেন। মেয়েটির নাম ফাতেমা। সমকালীন রাজা বাদশাহরা মেয়েটিকে বিয়ে করতে আগ্রহী ছিলেন। জামাতা ছিলেন মুফতি। তার স্বাক্ষরিত অসংখ্য ফতোয়া বের হয়েছে। ফতোয়ায়ে শামি (১/১০০), ইবনে কায়েসের বর্ণনায় দেখা যায়, প্রায় ২২ জন নারী সাহাবি ফতোয়া ও ইসলামী আইন শাস্ত্রে খ্যাতি অর্জন করেছেন। তাদের মধ্যে সাতজন উম্মাহাতুল মুমিনিন বা নবীপত্নী ছিলেন। বলাবাহুল্য, ১১ শতাব্দীতে মামলুক শাসনামলে তৎকালীন মুসলিম নারীরা দামেস্কে পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় ও ১২টি জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। ওই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সম্পূর্ণরূপে মুসলিম নারীদের দ্বারা পরিচালিত হতো।

ধর্মযুদ্ধে নারীদের অংশগ্রহণ : হজরত আয়েশা রা: ও হজরত উম্মে সালমা রা: উহুদের যুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছেন। মহানবী হজরত মুহাম্মদ সা:-এর ফুফু সুফিয়া বিনতে আবদুল মুত্তালিব রা: খায়বর যুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছেন। হজরত উম্মুল খায়ের, হজরত জুরকা বিনতে আদি, হজরত ইকরামা বিনতে আতরাশ ও হজরত উম্মে সিনান অসংখ্য যুদ্ধে প্রতিরক্ষামূলক কাজে সহযোগিতা করেছেন। হজরত আজরা বিনতে হারিস বিন কালদা সেনাদলের নেতৃত্ব প্রদান ও আহলে বিসানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন। হজরত উম্মে আম্মারা রা: উহুদের যুদ্ধে মহানবী হজরত মুহাম্মদ সা:-এর জীবন রক্ষায় প্রতিরক্ষা বলয় তৈরি করেছিলেন। মহানবী সা: তাকে ‘খাতুনে উহুদ’ উপাধি দিয়েছিলেন। ইসলামের ইতিহাসে স.র্বপ্রথম সামুদ্রিক অভিযানে প্রথম শাহাদাতবরণ করেন হজরত উম্মে হারাম বিনতে মিলহান রা:। হজরত উম্মে আতিয়া আনসারি রা: মহানবী সা:-এর সাথে সাতটি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। হজরত উমাইয়া বিনতে কায়েস কিফারিয়া খায়বর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। হজরত উম্মে হাকিম বিনতে হারিস রোমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। হজরত আয়মন হাবশি রা: উহুদ, হুনাইন, খায়বর ও মোতার যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। হজরত উম্মে সুলাইম রা: খায়বর ও হুনাইনের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। হজরত উম্মে হারাম বিনতে মিলহান ইসলামের প্রথম নারী নৌযোদ্ধা। হজরত রাবি বিনতে মুয়াওয়াজ রা: বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। হজরত নাসিবাহ বিনতে কাব আনসারিয়া উহুদ, বনি কুরাইজা, হুদায়বিয়া, খায়বর, হুনাইন ও ইয়ামার যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন (সূত্র : তাবকাতে ইবনে সাদ-৮/৪১৫, দালায়িলুন নবুয়্যাহ-২/৭১২)
লেখক : মজলুম অধ্যক্ষ, আলীগঞ্জ ইসলামিয়া আলিম মাদরাসা, বরিশাল ও উপদেষ্টা-জাগো নারী ফাউন্ডেশন


আরো সংবাদ



premium cement
পরিবেশের টেকসই উন্নয়নে সংস্কৃতি চর্চার গুরুত্ব অপরিসীম : পরিবেশ উপদেষ্টা লাওসে বিস্ফোরণে চীনা নাগরিকসহ নিহত ৪ যুদ্ধবিরতি চুক্তি এগিয়ে নেয়ার আহ্বান সদ্য মুক্তি পাওয়া ৩ ইসরাইলির কুমিল্লায় উদ্ধার হওয়া মর্টার শেল নিষ্ক্রিয় করল সেনাবাহিনী কারওয়ান বাজারে ইটিভি ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় জনতার ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই : মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন ভিউজ বাংলাদেশ’র প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কুষ্টিয়ায় নৌকা ছিদ্র করাকে ঘিরে সংঘর্ষে আহত ১৫ খুলনায় আ’লীগের ৬ নেতাকে রিমান্ড শেষে জেলহাজতে প্রেরণ গাজীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে স্ত্রীরও মৃত্যু আওয়ামী লীগের বিচারে কেউ হস্তক্ষেপ করলে আবার প্রতিবাদে নামব : সারজিস

সকল