যেদিন আল্লাহর সাথে বান্দার দিদার হবে
- মুহাম্মদ সালমানুল হক আনাস
- ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
মানুষ এমন এক জাতি যা দেখে না, তা সহজে বিশ্বাস করতে চায় না। তবে সব মানুষের ভিড়ে এমন অনেক মানুষ আছে, যারা না দেখেও বিশ্বাস করে। তারা মূলত ‘মুসলমান’। তারা তাদের রবকে (প্রতিপালক) কখনো দেখেনি। তারা তাদের রবের বাণী- ‘যারা অদৃশ্যের ওপর ঈমান আনে।’ (সূরা বাকারাহ, আয়াত-৩) এ আয়াতের ওপর নিঃসঙ্কোচে বিশ্বাস স্থাপন করে।
মুসলমানরা তাদের প্রতিপালককে ঈমানি শক্তির মাধ্যমে অনুভব করে। আপন মনে তাঁকে ডাকতে থাকে। সবসময় তাঁকে কাছে পায়। যিনি বিশ্বস্ত বন্ধুর মতো আগলে রাখেন। মনের সব কথা উজাড় করে সর্বাবস্থায় তাঁকে বলে নিজকে হালকা করে নেন। খুশি হলে তাঁকে বলেন। দুঃখ পেলেও কাঁদো কাঁদো মনে তাঁকেই বলেন। শুধু তাই নয়, মুসলমানরা শুনেছে যে, তাঁদের রব শেষ রাতে প্রথম আকাশে আসেন। তাই তাঁরা বর্ষা বৃষ্টিতে আরামের ঘুম হারাম করে এবং কনকনে শীতে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে অজু করে জায়নামাজ বিছিয়ে দু’হাত তুলে আল্লাহকে ডাকতে থাকে।
মাঝে মধ্যে কোনো ভুল করলে তারা ভয় পায়। কারণ আল্লাহ যদি রাগ করেন। দুনিয়ার সব মানুষ রাগ করলে মুসলমানরা ভয় করে না; কিন্তু যদি আল্লাহ রাব্বুল আলামিন রাগ করেন তবে তারা ভয় পায়। মুসলমানরা আল্লাহকে সবসময় খুশি রাখতে চান। মুমিনকে আল্লাহ তার প্রিয় বান্দা হিসেবে গ্রহণ করেন। তাদেরকে সব মানুষের উপর মর্যাদা দান করেন। সবার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার প্রিয় পাত্র বানিয়ে দেন। দুনিয়াবাসীকে সব ধরনের ভয় থেকে মুক্ত রাখেন।
দুনিয়া ও আখিরাতে তাদের জন্য আল্লাহ সুসংবাদ দিয়েছেন। সবচেয়ে বড় খুশির বিষয় হলো- ‘বান্দার সাথে যে আল্লাহর গভীর এক সম্পর্ক তৈরি হলো, তাঁকে তো কখনো দেখেনি। দুনিয়াতে তো দেখা সম্ভব নয়। কোনো প্রিয় ব্যক্তির সাথে এত গভীর সম্পর্ক হওয়ার পরও না দেখে কি থাকা যায়? আল্লাহর বান্দা আল্লাহকে পাওয়ার জন্য, দেখার জন্য কতই না আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় থাকে। কত কথা হলো আল্লাহর সাথে বান্দার। এমনকি বান্দার সবকিছু আল্লাহ জানেন। সে আল্লাহর সাথে বান্দার যে দিন সরাসরি দেখা হবে, কেমন হবে সে দিন? সে দিন হবে পরকাল, জান্নাতের সুবিশাল বাগানে।’
লেখক : শিক্ষার্থী, বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল (অনার্স-মাস্টার্স) মাদরাসা, চট্টগ্রাম
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা