জীবনের ভুলগুলো নিয়ে কিছু কথা
- মুহাম্মদ সালমানুল হক আনাস
- ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
মানুষ মনে মনে যেটি বেশি লালন করে সেটি হলো অন্যের ভুল। একজন মানুষের কথা মনে হতেই তার ভুলটার কথা আগে মনে পড়ে। ভালো কিছুর প্রকাশ খুব কমই হয়। কিন্তু খারাপটা বেশি প্রকাশ পায়। কথায় আছে- বেড নিউজ ফার্স্ট রানিং।
অর্থাৎ, খারাপ সংবাদ দ্রুত ছড়ায়। সিঁড়ি দিয়ে উঠতে যতটা কঠিন। নামতে কিন্তু ততটা সহজ। আপনি একজন মানুষের সাথে যতই ভালো আচরণ করুন না কেন যদি কখনো একটি ভুল করেন, তাহলে আপনার সব ভালো কাজ ভুলে গিয়ে সে আপনার বদনাম করে বেড়াবে। এটি কিন্তু ইনসাফ নয়। ভুল মানুষের থাকবেই, এটি মানুষের সৃষ্টিলগ্ন থেকে হয়ে আসছে। আল্লাহ মানুষকে এ স্বভাব দিয়ে সৃষ্টি করেন। মানুষ ভুল করবে। মানুষ ভুল করে যদি সে ভুলের জন্য অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করে, আল্লাহ তাতে খুশি হন এবং ওই ব্যক্তিকে আল্লাহ পছন্দ করেন। আদম আ: ভুল না করলে তো আল্লাহ পাক মানুষ সৃষ্টি না করে অন্য একজাতি সৃষ্টি করতে পারতেন। সবই আল্লাহর ইচ্ছা। আল্লাহর প্রত্যেক সৃষ্টির পেছনে একটি রহস্য রয়েছে। আর মানুষ সৃষ্টির রহস্য হলো ভুল করা আর অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া।
আল্লাহর বিচার তো ভুল করলে কাউকে হালাক করে দেয়া নয়। আল্লাহর বিচার হলো- ইন্নাল হাসানা-তি ইউজহিবনাস সাইয়িয়াতি। অর্থাৎ- ‘নিশ্চয় পুণ্য পাপকে মুছে ফেলে’। (সূরা হুদ, আয়াত-১১৪)
কাজেই আমাদের উচিত কেউ ভুল করলে তার ভুলের দিকে না তাকিয়ে ভালো কাজের দিকে তাকিয়ে তাকে ক্ষমা করে দেয়া। ভুলটা মানুষকে বলে বেড়ানো নয়।
কাজ করলে তো ভুল হবেই। কাজ না করলে তো মানুষ নিজের পরিচয় তুলে ধরতে পারবে না। তাই বর্তমানে কাজ করার মানুষ খুবই বিরল। কেউ কাজ করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে না ভুল হওয়ার ভয়ে। তার ভুল ধরা দোষের কিছু নয়। কিন্তু ভুল ধরারও কিছু কৌশল রয়েছে। যেভাবে অন্যের ভুল ধরলে মানুষ মনে কষ্ট না নিয়ে বরং উৎসাহ পায়।
সবার সামনে কোনো ব্যক্তির ভুল না ধরে একান্তভাবে তার সাথে ভুল বিষয়ে কথা বলা। প্রথমে তার কাজের প্রশংসা করা এবং পরে ভুলের কথাটি সন্তুষ্ট চিত্তে তাকে বুঝিয়ে দেয়া। এভাবে আমরা আমাদের জীবনকে উন্নত করতে পারব। ইনশাআল্লাহ।
লেখক : শিক্ষার্থী, বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদরাসা, চট্টগ্রাম
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা