২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

সুদ বা রিবার কুফল

-


(গত দিনের পর)
৬. পুঁজিপতিরা স্বেচ্ছাচারী হয় : সুদি অর্থনীতিতে পুঁজিপতি এবং ব্যাংকাররা সর্বদাই অধিক সুদ পাওয়ার আশায় ঋণ দিয়ে থাকে। এতে অর্থনীতির প্রায় পুরো মূলধন পুঁজিপতি ও ব্যাংকারদের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। ফলে তারা যখন ইচ্ছা ঋণ সঙ্কোচন করে, আবার যখন ইচ্ছা ঋণ সম্প্রসারণ করে। তারা অর্থ উপার্জন এবং বেশি ফায়দা লাভের জন্য এই সঙ্কোচন ও সম্প্রসারণ নীতি অবলম্বন করে। এভাবে তারা চরম স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠে। তখন ব্যক্তি, সমাজ বা দেশের লাভ হলো কি ক্ষতি হলো তার কোনো পরোয়াই পুঁজিপতি এবং ব্যাংকাররা করে না। বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ সাইয়েদ আবুল আলা মওদূদী পুঁজিপতিদের এই আচরণকে পানি সেচকারীর সাথে তুলনা করেছেন। তিনি বলেন : ‘পানি সেচকারী কৃষিক্ষেতে পানির প্রয়োজন ও চাহিদা অনুসারে পানি দেয়ার বদলে নিজের তৈরি নিয়ম অনুসারে ক্ষেতে পানি দিয়ে থাকে। যখন ক্ষেতে পানির প্রয়োজন থাকে না, সে তখন সস্তা দামে পানি দিতে প্রস্তত থাকে। কিন্তু যখন পানির দরকার হয়, তখন পানির দাম বাড়িয়ে দেয়। এভাবে পানির প্রয়োজন যত বেশি হয়, পানির দামও তত বাড়তে থাকে। ফলে বাড়তি দামে পানি ব্যবহার করে ফসল ফলানো আদৌ লাভজনক হয় না। পানির এই মালিক বা সেচকারী খাদ্য উৎপাদনে যে ক্ষতি করে, পুঁজিপতিরাও অতি মাত্রায় সুদের লোভে অর্থনীতির অনুরূপ ক্ষতিসাধন করে থাকে’-(সুদ ও আধুনিক ব্যাংকিং)।

৭. বেকারত্ব সৃষ্টি করে : সুদনির্ভর অর্থনীতির অন্যতম উপসর্গ হলো বেকারত্ব সৃষ্টি। কারণ, সুদি অর্থনীতিতে যে পরিমাণ বিনিয়োগ হয়, সুদমুক্ত অর্থনীতিতে বিনিয়োগ তার চেয়ে অনেক বেশি হয়। ফলে সুদমুক্ত অর্থনীতিতে কর্মসংস্থানের সুযোগ যতটা তৈরি হয়, সুদনির্ভর অর্থনীতিতে তা হয় না। সুদি অর্থনীতিতে ফটকাবাজারীর উদ্দেশ্যে অলস অর্থ ধরে রাখা ও অনুৎপাদনশীল খাতে ঠেলে দেয়ায় পুঁজির একটা বিরাট অংশ উৎপাদনশীল খাতে প্রবাহিত হয় না বলে বিপুল সংখ্যক শ্রমিক ও সম্পদ বেকার থাকতে বাধ্য হয়। সর্বোপরি পুঁজিপতিদের স্বেচ্ছাচারী আচরণ ও মন্দার ফলে ধাপে ধাপে বিনিয়োগ হ্রাস পায় এবং এতে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের মাধ্যমে বেকার সমস্যা আরও ঘনীভূত হয়। জে এম কীনস বলেছেন : ‘প্রকৃতপক্ষে বিশ^ব্যাপী একটা যুদ্ধকালীন অবস্থা ব্যতীত অন্য সময় সুদি অর্থনীতি বেকার সমস্যা সমাধানে সম্পূর্ণ অসমর্থ, এমনকি উৎপাদনশীল সম্পদকেও পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারে না। সবচেয়ে প্রাচুর্যের সময়েও প্রকৃত বেকার এবং কিছু মূলধন ব্যবহার হয় না- (হিস্ট্রি অব ইকোনমিক ডকট্রিনস)।

৮. বৈষম্য সৃষ্টি করে : সুদ এমন একটি অভিশাপ যা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বৈষম্য সৃষ্টি করে। সুদি অর্থনীতিতে ধনী-গরিবের বৈষম্য হয় আকাশচুম্বী। সুদি ব্যবস্থায় ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে বৈষম্যের একটা বড় কারণ হলো, ধনীরা বেশি সম্পদের মালিক হওয়ায়, সম্পদ ব্যাংকে রেখে ব্যাংক ঋণের সুবিধা বেশি পায়। অন্যদিকে দরিদ্ররা সম্পদহীন হওয়ার কারণে ব্যাংক সুবিধা গ্রহণ করতে পারে না। দরিদ্রদের শারীরিক ও মানসিক যোগ্যতা ও সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও সম্পদের অভাবে পিছিয়ে পড়ে। এভাবে ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে তৈরি হয় পাহাড়সম বৈষম্য। তাই লেস্টার থুরো বলেছেন : যারা যোগ্য ও দক্ষ তারা নয়, বরং কেবল ভাগ্যবানরাই ঋণ পায়- (জিরো সাম সোসাইটি)।

৯. মুদ্রাস্ফীতি সৃষ্টি করে : সুদের কারণে সম্পদের সুষমবণ্টন অসম্ভব হয়ে পড়ে। বরং এ ক্ষেত্রে শ্রমিকের সকল উপার্জন কিছুসংখ্যক পুঁজিপতির পকেটে চলে যায়। ফলে মূল্যস্ফীতি ঘটে। সুদের কারণে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো অনুৎপাদনশীল খাতে ঋণ দেয় যা মুদ্রাস্ফীতিকে ভয়ঙ্কর পর্যায়ে পৌঁছে দেয়। এ ছাড়া সরকারের ঋণ-চাহিদা পূরণের জন্য সৃষ্ট অর্থও মুদ্রাস্ফীতিকে ফাঁপিয়ে তোলে। বর্তমানকালে ক্রেডিট কার্ড ঋণ প্রাপ্তিকে সহজ করে তুলেছে। আবার ব্যাংকও ব্যক্তি খাতে বিনা জামানতে সহজ শর্তে ঋণ দিয়ে ভোগ্য ও অনুৎপাদনশীল ঋণ বাজারে মুদ্রার সরবরাহ বৃদ্ধি করছে। এর সাথে পণ্যসামগ্রীর উৎপাদন বৃদ্ধির কোনো সংযোগ নেই। তা ছাড়া সরকার বাজেট ঘাটতি পূরণ, উচ্চাভিলাষী প্রতিরক্ষা সম্ভার গড়ে তোলা এবং রাজনৈতিক ও অন্যান্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অনুৎপাদনশীল ব্যয়ের জন্য প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ ঋণ গ্রহণ করে। এমনকি অনেক সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাড়তি নোট ছাপিয়ে এসব ঋণ সরবরাহ করে। ফলে সৃষ্টি হয় অস্বাভাবিক মুদ্রাস্ফীতি। আর এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সমাজের মানুষকে অতিষ্ঠ করে তোলে। এ প্রসঙ্গে প্রখ্যাত ইসলামী অর্থনীতিবিদ ড. উমর চাপড়া বলেছেন : মুদ্রাস্ফীতি ধীরে ধীরে আর্থিক সম্পদের ক্রয়ক্ষমতার ক্ষয়সাধন করে এবং কিছু লোককে অন্যদের ওপর জুলুম করার সুযোগ করে দেয়। মুদ্রাস্ফীতি মুদ্রা-ব্যবস্থার দক্ষতা ব্যাহত করতে যতটা সক্ষম হয়, সামাজিক কল্যাণ ঠিক ততটাই ক্ষতিগ্রস্ত করে। উৎপাদনশীল কর্ম প্রচেষ্টার পরিবর্তে ফটকাকারবারিকে পুরস্কৃত করা এবং আয়-বৈষম্যকে তীব্রতর করার মাধ্যমে মুদ্রাস্ফীতি নৈতিক মূল্যবোধকেও বিকৃত করে- (টুওয়ার্ডস জাস্ট মনিটরি সিস্টেম)।

১০. অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তার জন্ম দেয় : সুদের হার কখনো স্থিতিশীল থাকে না। বরং প্রতিনিয়ত ওঠানামা করে। অর্থনীতি যখনই চাঙ্গা হয় এবং পুঁজির চাহিদা বাড়ে তখন সুদের হার বেড়ে যায়। অন্য দিকে পুঁজির চাহিদা কমার সাথে সাথে সুদের হারও কমে যায়। সুদের হারের এই ওঠানামা বা স্থিতিহীনতা অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তার জন্ম দেয়। এর ফলে সুদভিত্তিক বিনিয়োগ, শেয়ার ও পণ্যমূল্য এবং মুদ্রা বিনিময় হারে প্রচণ্ড অনিশ্চয়তা ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হয়। আর এর বিরূপ প্রভাব পড়ে অর্থনীতির উপর। সুদের হারের পরিবর্তন বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি করে এবং দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ পরিকল্পনা নিতে তাদের নিরুৎসাহিত করে। সুদের হার বেড়ে গেলে পূর্বের ঋণগ্রহীতা ব্যক্তি ও কারবারের ওপর আকস্মিক আঘাত আসে। এতে উদ্যোক্তারা একসময় সুদ পরিশোধ করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়। এমনকি তারা দেউলিয়া হয়ে পড়ে। ড. উমর চাপড়া বলেন এ প্রসঙ্গে বলেন : সুদের হারের ওঠানামার ফলে বেকারত্ব বৃদ্ধি পায়, উৎপাদন ও বিনিয়োগ হ্রাস পায় এবং উৎপাদন ক্ষমতাও কমে যায়। বস্তুত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং স্থিতিশীলতার ওপর এসবের প্রভাব অত্যন্ত ব্যাপক, সুদূরপ্রসারী এবং মারাত্মক- (টুওয়ার্ডস জাস্ট মনিটরি সিস্টেম)।

সুদের রাজনৈতিক কুফল : সুদ রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও ঋণাত্মক বা বিরূপ প্রভাব বিস্তার করে। সুদের চক্রে পড়ে বহু দেশ ও সমাজ রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তার মানে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে সুদকে ব্যবহার করা হয়।
১. রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করে : অনেক সময় সরকার বিভিন্ন প্রকল্প বা উন্নয়ন কর্মসূচির জন্য দেশের জনগণ এবং ঋণদান প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সুদে ঋণ গ্রহণ করতে বাধ্য হয়। সরকারের নানা সীমাবদ্ধতা, অপব্যয় এবং অনভিজ্ঞতার কারণে এসব ঋণ তেমন কোনো ভালো ফল দেয় না। ফলে সরকারের পক্ষে ঋণের আসল ও সুদ পরিশোধ কঠিন হয়ে পড়ে। এর ফলে দেশ অর্থনৈতিক সঙ্কটে পড়ে। এতে সরকারের ঋণের বোঝা বাড়তে থাকে এবং জাতীয় উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়। অর্থনৈতিক সমস্যার পাশাপাশি দেশে নানা ধরনের রাজনৈতিক জটিলতা, অসন্তোষ এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।

২. সামাজিক কল্যাণকর কাজে বাধা দেয় : একটি সরকারের অন্যতম কাজ হলো সমাজের উন্নয়ন এবং কল্যাণ সাধন করা। জনগণের উপকার করা, তাদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা। আজকাল এসব কল্যাণমূলক কাজের চাহিদা ও প্রয়োজন দিন দিন বাড়ছে। তবে এসব কাজ যেমন, রাস্তা-ঘাট নির্মাণ, স্বাস্থ্যকর পানির ব্যবস্থা, জমির উর্বরতার জন্য বিনামূল্যে সার প্রদান, দরিদ্র জনগণের সন্তানদের জন্য স্বল্প ব্যয়ে শিক্ষার ব্যবস্থা ইত্যাদি নানা কাজে সরকারের উদ্যোগ একান্ত প্রয়োজন। এসব কাজ অবশ্যই ব্যয় সাপেক্ষ। আবার এসব কাজ থেকে আর্থিক আয় পাওয়াও সম্ভব নয়। তাই এসব কাজের জন্য দরকার বিনাসুদে বা স্বল্পসুদে আর্থিক জোগান। সরকার যদি সুদি ঋণের মাধ্যমে এসব অলাভজনক কাজ করতে যায় তা হলে তা দেশের জন্য ঋণের বোঝা বাড়িয়ে তোলে। ফলে সকল ঋণের ভার গিয়ে পড়ে জনগণের ওপর। এতে সরকারের প্রতি জনগণের অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। পরিণামে এসব কাজ থেকে সরকার দূরে থাকতে চেষ্টা করে। অতএব দেখা যায়, সুদ সমাজের কল্যাণকর কাজের পথে অন্তরায় সৃষ্টি করে।

সুদের আন্তর্জাতিক কুফল : সুদের কুফল আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও বিস্তৃত। আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সুদের প্রভাবে বিভিন্ন দেশ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
১. বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে সমস্যা সৃষ্টি করে : বিশেষ করে অনুন্নত দেশগুলোর নানা কারণে আর্থিক জোগানের প্রয়োজন হয়। দেশের নানাবিধ সঙ্কট মোকাবেলা, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য যেমন-খাদ্য, বস্ত্র, ওষুধ, জ্বালানি ইত্যাদি ক্রয়, প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় যেমন-অস্ত্র ক্রয়, বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য অর্থ সংগ্রহ ইত্যাদি কারণে অর্থের প্রয়োজন হয়। এসব বিপুল ব্যয় সঙ্কুলান করার জন্য দেশের ভেতর থেকে অর্থ সংগ্রহ করা সম্ভব হয় না। তাই সরকারকে বাধ্য হয়ে অন্য দেশ থেকে ঋণ গ্রহণ করতে হয়। তবে সহজ শর্তে ঋণ না পাওয়ায় এবং নানাবিধ শর্তের বেড়াজালে ঋণ গ্রহণ করতে বাধ্য হওয়ায় এই ঋণের অর্থ দেশের তেমন কোনো কল্যাণ করে না। বরং সুদ ও ঋণের আবর্তে দেশ জড়িয়ে পড়ে। এসব ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে অনুন্নত দেশ নতুন ঋণের জালে আটকা পড়ে। একসময় বিদেশী ঋণ পরিশোধ অনেক দেশের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে।

২. সুদদাতা দেশের স্বার্থ হাসিল করে : আজকাল বেশির ভাগ দরিদ্র ও উন্নয়নশীল দেশ শিল্পোন্নত বিশে^র অনেক দেশ থেকে ঋণ গ্রহণ করে। তবে অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, ঋণ প্রদানকারী বেশির ভাগ দেশই নানা রকম শোষণমূলক এবং রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক শোষণমূলক শর্ত জুড়ে দিয়ে ঋণ দিয়ে থাকে। আর দরিদ্র ও উন্নয়নশীল দেশগুলো রাজনৈতিক কারণে এবং ক্ষমতায় টিকে থাকার আশায় এসব ঋণ গ্রহণ করে দেশকে বিদেশী শোষণের আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ফেলে। প্রকৃতপক্ষে, বিদেশী সুদি ঋণদাতা দেশগুলোর স্বার্থই হাসিল করে, এর দ্বারা গ্রহীতা দেশের উপকার খুব কমই হয়।
৩. সরকারের ব্যয় ও বিলাসিতা বাড়ায় : সুদের ভিত্তিতে ঋণ প্রাপ্তি বর্তমান সময়ে খুবই সহজলভ্য। এ ক্ষেত্রে দাতা দেশ গ্রহীতার প্রয়োজন খতিয়ে দেখার প্রয়োজন বোধ করে না। সুদ পাওয়ার নিশ্চয়তা পেলেই দাতা দেশগুলো দরিদ্র ও উন্নয়নশীল দেশকে ঋণ সরবরাহ করে। তবে এসব দেশ অনেক সময় তাদের ক্ষমতা ও প্রয়োজনের অতিরিক্ত ঋণ গ্রহণ করে। ফলে এসব ঋণের অর্থ অপ্রয়োজনীয় এবং বিলাসী প্রকল্প বা খাতে ব্যয় হয়। উৎপাদনশীল এবং আর্থিকভাবে লাভজনক খাতে ঋণের অর্থ ব্যয় না হওয়ায় ঋণগ্রহীতা দেশ অনেক ক্ষতির মধ্যে পড়ে।

৪. আন্তর্জাতিক শোষণের হাতিয়ার : উন্নত দেশগুলো সুদের ভিত্তিতে ঋণ প্রদানের মাধ্যমে দরিদ্র ও উন্নয়নশীল দেশগুলোকে শোষণ করার সুযোগ নেয়। ঋণের অর্থ পরিশোধ করতে গিয়ে প্রতি বছর দরিদ্র দেশগুলো দেশের সম্পদের একটা অংশ সুদ আকারে ধনী দেশগুলোর কাছে হস্তান্তর করে। এতে দেশের সম্পদ হ্রাস পায় এবং ধনী দেশের সম্পদ বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে ধনী দেশগুলোর আরো ধনী হওয়া এবং দরিদ্র দেশগুলো আরো দরিদ্র হওয়ার পেছনে প্রধানতম কারণ হলো সুদ।
লেখক : সাবেক ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর, ইসলামী ব্যাংক ও সাবেক অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক

 


আরো সংবাদ



premium cement