২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ৫ পৌষ ১৪৩১, ১৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

কুরআন বুঝে পড়ার গুরুত্ব

-

মহান আল্লাহ তাঁর প্রিয় রাসূলদের ওপর যত আসমানি কিতাব নাজিল করেছেন সবই পাঠিয়েছেন তাদের নিজ নিজ ভাষায়। যাতে করে তারা তা সহজে বোঝেন এবং তাদের উম্মতদের তা বুঝাতে পারেন।
আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ সা:-এর ভাষা ছিল আরবি, আর এ জন্যই আল কুরআনও আরবিতেই নাজিল করা হয়েছে। এ বিষয়ে স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন- “আলিফ লাম রা’। এটি (কুরআন) এমন কিতাব যার আয়াতগুলো (প্রমাণাদি দ্বারা) মজবুত করা হয়েছে। এরপর বিশদভাবে বর্ণনা করা হয়েছে; প্রজ্ঞাময়ের (আল্লাহর) পক্ষ থেকে। এ (উদ্দেশ্যে) যে, আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করো না; আমি (নবী) তাঁর (আল্লাহর) পক্ষ থেকে তোমাদের সতর্ককারী ও সুসংবাদদাতা।”
সুতরাং, শুধু আবৃত্তি করার জন্য কুরআন অবতীর্ণ হয়নি; বরং বুঝার জন্য এবং আল্লাহর বিধান অনুযায়ী মানুষের জীবন গড়ে তোলার জন্য কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে- ‘এবং তোমার প্রতি নাজিল করেছি কুরআন, যাতে তুমি মানুষের জন্য তা স্পষ্ট করে দিতে পারো, যা তাদের প্রতি নাজিল করা হয়েছে, যাতে তারা চিন্তা করে।’ (সূরা আন নাহল, আয়াত-৪৪)
‘নিশ্চয়ই আমি এটিকে কুরআনরূপে আরবি ভাষায় অবতীর্ণ করেছি, যাতে তোমরা বুঝতে পারো।’ (সূরা ইউসুফ, আয়াত-২)
‘এটি বরকতময় কিতাব, যা আমি নাজিল করেছি। এটি আগের আসমানি কিতাবগুলোর সমর্থক, যাতে তুমি এর মাধ্যমে জনপদগুলোর কেন্দ্র (মক্কা) ও তার আশপাশের লোকদের সতর্ক করতে পারো।’ (সূরা আনআম, আয়াত-৯২)
আসমানি গ্রন্থগুলোকে অবতীর্ণ করার উদ্দেশ্য হলো- মানুষকে হিদায়াত ও পথপ্রদর্শন করা। আর এই উদ্দেশ্য তখনই অর্জন হবে, যখন সেই গ্রন্থ এমন ভাষায় হবে, যে ভাষা তারা বুঝতে পারবে। এই জন্যই সব আসমানি গ্রন্থ যে জাতির হিদায়াতের জন্য অবতীর্ণ করা হয়েছে সে জাতির ভাষায় অবতীর্ণ করা হয়েছে। কুরআন কারিম যেহেতু সর্বপ্রথম আরববাসীদের লক্ষ্য করে অবতীর্ণ করা হয়েছে, সেহেতু তা আরবি ভাষায় অবতীর্ণ হয়েছে।
ইসলামী জ্ঞানের মূল ও প্রধান উৎস হচ্ছে আল্লাহর কালাম আল কুরআন। অথচ বর্তমানে আল কুরআনকে শুধু তিলাওয়াত বা আবৃত্তির বিষয় বানানো হয়েছে। মসজিদগুলোতে ‘কিতাবের তালিমে’র কথা বলে তিন বেলা অর্থসহ হাদিস (তাবলিগি নিসাব) পাঠ করা হয় কিন্তু ভুলেও একবার অর্থসহ কুরআন তালিম করা হয় না। এর মাধ্যমে মূলত আল্লাহর কালামকে আড়াল করা হচ্ছে এবং যে উদ্দেশ্যে কুরআন নাজিল করা হয়েছে- আল্লাহর হুকুম, আদেশ নিষেধ মানুষকে জানিয়ে দেয়া, সেই উদ্দেশ্যকেই ব্যাহত করা হচ্ছে। এটি চরম অন্যায় এবং এ বিষয়ে স্বয়ং কুরআনে কঠোর হুঁশিয়ারি করা হয়েছে।
আল্লাহ বলেন-‘আর যারা আমার আয়াতগুলোর উদ্দেশ্য ব্যর্থ করার জন্য চেষ্টা চালায়, তারাই হলো জাহান্নামের বাসিন্দা।’ (২২:৫১)
লেখক : প্রবন্ধকার


আরো সংবাদ



premium cement
বদিউল আলমের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডি-৮ সম্মেলনে ফিলিস্তিন নিয়ে জোরালো বক্তব্যের জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে পিএলও মহাসচিবের ধন্যবাদ ইতিহাস গড়তে ভোরে মাঠে নামছে বাংলাদেশ যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশ বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রাশিয়ায় উত্তর কোরিয়ার অন্তত ১০০ সেনা নিহত ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জমা দিতে হবে হজ প্যাকেজের বাকি টাকা বাংলাদেশের শিক্ষা উন্নয়নে জাপানের অনুদান বাংলাদেশকে ৬৮৫ বিশিষ্ট ভারতীয় নাগরিকের খোলা চিঠি এক বছরে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ অসম্ভব : পরিবেশ উপদেষ্টা জুবায়েরপন্থীদের বিশ্ব ইজতেমা নির্ধারিত তারিখেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আধুনিকায়ন হচ্ছে সব জাদুঘর

সকল