কুরআনে আল্লাহ তায়ালার পরিচয়
- জুবায়ের বিন মামুন
- ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
(গত দিনের পর)
সময়কালের নির্ধারক : ‘বলো, আমি নিজের ক্ষতি বা উপকারের অধিকার রাখি না, তবে আল্লাহ যা ইচ্ছা করেন। প্রত্যেক উম্মতের রয়েছে নির্দিষ্ট একটি সময়। যখন এসে যায় তাদের সময়, তখন এক মুহূর্ত পেছাতে পারে না এবং এগোতেও পারে না’ (সূরা ইউনুস-৪৯)। ‘তিনিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন কাদামাটি থেকে তারপর নির্ধারণ করেছেন একটি কাল, আর তাঁর কাছে আছে একটি নির্দিষ্ট কাল, তারপর তোমরা সন্দেহ করো’ (সূরা আনআম-২)।
সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ : ‘নিশ্চয় আল্লাহ ইনসাফ, সদাচার ও নিকটাত্মীয়দের দান করার আদেশ দেন এবং তিনি অশ্লীলতা, মন্দকাজ ও সীমালঙ্ঘন থেকে নিষেধ করেন। তিনি তোমাদেরকে উপদেশ দেন, যাতে তোমরা উপদেশ গ্রহণ করো’ (সূরা নাহল-৯০)। ‘আর জিন ও মানুষকে কেবল এ জন্যই সৃষ্টি করেছি যে, তারা আমার ইবাদত করবে’ (সূরা জারিয়াত-৫৬)।
তাঁর সিদ্ধান্ত আমোঘ ও চূড়ান্ত : ‘আর আল্লাহ যদি তোমাকে কোনো ক্ষতি পৌঁছান, তবে তিনি ছাড়া তা দূর করার কেউ নেই। আর তিনি যদি তোমার কল্যাণ চান, তবে তাঁর অনুগ্রহের কোনো প্রতিরোধকারী নেই। তিনি তার বান্দাদের যাকে ইচ্ছা তাকে তা দেন। আর তিনি পরম ক্ষমাশীল, অতি দয়ালু’ (সূরা ইউনূস-৭)। ‘আর যদি আল্লাহ তোমাকে কোনো দুর্দশা দ্বারা স্পর্শ করেন, তবে তিনি ছাড়া তা দূরকারী কেউ নেই। আর যদি কোনো কল্যাণ দ্বারা স্পর্শ করেন তবে তিনিই তো সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান’ (সূরা আনআম-১৭)। ‘আর তিনিই তাঁর বান্দাদের উপর ক্ষমতাবান; আর তিনি প্রজ্ঞাময়, সম্যক অবহিত’ (সূরা আনআম-১৮)। ‘আল্লাহ মানুষের জন্য যে রহমত উন্মুক্ত করে দেন তা আটকে রাখার কেউ নেই। আর তিনি যা আটকে রাখেন, তার পর তা ছাড়াবার কেউ নেই। আর তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়’ (সূরা ফাতির-২)। “আর তুমি যদি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করো, কে আসমানসমূহ ও জমিন সৃষ্টি করেছে? তারা অবশ্যই বলবে ‘আল্লাহ’। বলো, তোমরা কি ভেবে দেখেছ- আল্লাহ আমার কোনো ক্ষতি চাইলে তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যাদের ডাকো তারা কি সেই ক্ষতি দূর করতে পারবে? অথবা তিনি আমাকে রহমত করতে চাইলে তারা সেই রহমত প্রতিরোধ করতে পারবে? বলো, আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। তাওয়াক্কুলকারীরা তাঁর উপরই তাওয়াক্কুল করে” (সূরা জুমার-৩৮)।
হিদায়াত ও নিরাপত্তা প্রদানকারী : ‘নিশ্চয় তুমি যাকে ভালোবাস তাকে তুমি হিদায়াত দিতে পারবে না; বরং আল্লাহই যাকে ইচ্ছা হিদায়াত দেন। আর হিদায়াতপ্রাপ্তদের ব্যাপারে তিনি ভালো জানেন’ (সূরা কাসাস-৫৬)। ‘সুতরাং যাকে আল্লাহ হিদায়াত করতে চান, ইসলামের জন্য তার বুক উন্মুক্ত করে দেন। আর যাকে ভ্রষ্ট করতে চান, তার বুক সঙ্কীর্ণ-সঙ্কুচিত করে দেন, যেন সে আসমানে আরোহণ করছে। এমনিভাবে আল্লাহ অকল্যাণ দেন তাদের উপর, যারা ঈমান আনে না’ (সূরা আনআম-১২৫)। ‘আর তোমরা জেনে রাখো যে, তোমাদের মধ্যে আল্লাহর রাসূল রয়েছেন। সে যদি অধিকাংশ বিষয়ে তোমাদের কথা মেনে নিতো, তাহলে তোমরা অবশ্যই কষ্টে পতিত হতে। কিন্তু আল্লাহ তোমাদের কাছে ঈমানকে প্রিয় করে দিয়েছেন এবং তা তোমাদের অন্তরে সুশোভিত করেছেন। আর তোমাদের কাছে কুফরি, পাপাচার ও অবাধ্যতাকে অপছন্দনীয় করে দিয়েছেন। তারাই তো সত্য পথপ্রাপ্ত’ (সূরা হুজুরাত-৭)। ‘আল্লাহর পক্ষ থেকে করুণা ও নিয়ামতস্বরূপ। আর আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়’ (সূরা হুজুরাত-৮)।
পথভ্রষ্ট ও বিপথগামী করার অধিকারী : ‘আর যারা আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করেছে, তারা বোবা ও বধির, অন্ধকারে রয়েছে। আল্লাহ যাকে চান, তাকে পথভ্রষ্ট করেন এবং যাকে চান তাকে সরল পথে অটল রাখেন’ (সূরা আনআম-৩৯)। ‘আর আল্লাহ যাকে পথহারা করেন, তার কোনো হিদায়াতকারী নেই’ (সূরা রাদ-৩৩)। ‘আর যাকে ভ্রষ্ট করেন, তুমি তার জন্য পথনির্দেশকারী কোনো অভিভাবক পাবে না’ (সূরা কাহফ-১৭)। ‘বলো, হে আল্লাহ, রাজত্বের মালিক, আপনি যাকে চান রাজত্ব দান করেন, আর যার থেকে চান রাজত্ব কেড়ে নেন এবং আপনি যাকে চান সম্মান দান করেন। আর যাকে চান অপমানিত করেন, আপনার হাতেই কল্যাণ। নিশ্চয় আপনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান’ (সূরা ইমরান-২৬)।
কর্মফল দানকারী : ‘আর তোমাদের প্রতি যে মুসিবত আপতিত হয়, তা তোমাদের কৃতকর্মেরই ফল। আর অনেক কিছুই তিনি ক্ষমা করে দেন’ (সূরা শূরা-৩০) ‘তোমার কাছে যে কল্যাণ পৌঁছে তা আল্লাহর পক্ষ থেকে, আর যে অকল্যাণ তোমার কাছে পৌঁছে তা তোমার নিজের পক্ষ থেকে। আর আমি তোমাকে মানুষের জন্য রাসূলরূপে প্রেরণ করেছি এবং সাক্ষী হিসেবে আল্লাহ যথেষ্ট’ (সূরা নিসা-৭৯)।
পুনরুত্থানের একচ্ছত্র ক্ষমতা : ‘আর তিনিই সৃষ্টির সূচনা করেন তারপর তিনিই এর পুনরাবৃত্তি করবেন। আর এটি তো তাঁর জন্য অধিকতর সহজ। আসমান ও জমিনে সর্বোচ্চ মর্যাদা তাঁরই এবং তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়’ (সূরা রুম-২৭)। ‘কাফিররা ধারণা করেছিল যে, তারা কখনোই পুনরুত্থিত হবে না। বলো, হ্যাঁ, আমার রবের কসম, তোমরা অবশ্যই পুনরুত্থিত হবে। অতঃপর তোমরা যা আমল করেছিলে তা অবশ্যই তোমাদের জানানো হবে। আর এটি আল্লাহর পক্ষে খুবই সহজ’ (সূরা তাগাবুন-৭)। ‘আর তারা বলেছিল, আমাদের এ দুনিয়ার জীবন ছাড়া কিছু নেই এবং আমরা পুনরুজ্জীবিত হবো না’ (সূরা আনআম-২৯)। ‘আর যদি তুমি দেখতে যখন তাদেরকে দাঁড় করানো হবে তাদের রবের সামনে এবং তিনি বলবেন এটা কি সত্য নয়? তারা বলবে, হ্যাঁ, আমাদের রবের কসম! তিনি বলবেন, সুতরাং তোমরা যে কুফরি করতে তার কারণে আজাব আস্বাদন করো’ (সূরা আনআম-৩০)। ‘আর কিয়ামত আসবেই, এতে কোনো সন্দেহ নেই এবং কবরে যারা আছে নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদের পুনরুত্থিত করবেন’ (সূরা হজ-৭)।
লেখক : শিক্ষার্থী, মাদরাসাতুদ দাওয়াহ আল-ইসলামিয়া রাখালিয়া, রায়পুর, লক্ষ্মীপুর
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা