১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪ মাঘ ১৪৩১, ১৭ রজব ১৪৪৬
`

টাঙ্গাইলে বিবেকানন্দ কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

টাঙ্গাইলে বিবেকানন্দ কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ - ছবি : নয়া দিগন্ত

টাঙ্গাইল শহরের বিবেকানন্দ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে’র বিরুদ্ধে রাজনৈতিক পদ-পদবি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানের কয়েক কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠেছে।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।

অর্থ আত্মসাৎ ছাড়াও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও স্বেচ্ছাচারিতাসহ ১৭টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এনে তার অপসারণ ও বিচার দাবি করেন তারা। একই দাবিতে তারা সংবাদ সম্মেলনের আগে প্রেসক্লাবের সামনে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক মো: বজলুর রহমান বলেন, অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে চলতি বছরের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বোনাস ও টিএফসহ মোট এক কোটি ৮২ লাখ ৮০ হাজার ৩৫৯ টাকা উত্তোলন দেখিয়ে ৪৩ লাখ ৪৬ হাজার ২২২ টাকা খরচ করেন। বাকি এক কোটি ৩৯ লাখ ৩৪ হাজার ১৩৭ টাকা অসামঞ্জস্য ব্যয় দেখান। তিনি পলাতক হওয়ার আগে বেতন ভাতার নামে আট লাখ টাকা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক একাউন্ট থেকে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।

মো: বজলুর রহমান অভিযোগ করেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী রওশন আরা পর্যায়ক্রমে প্রতিষ্ঠানের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তাদের হাত ধরে অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদকের পদ বাগিয়ে নেন। তারপর থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে রাজনৈতিক কার্যালয়ে পরিণত করেন। এছাড়া গত ৪ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার পরিকল্পনাও করেন তিনি।

অভিযুক্ত অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় মামলার আসামি হয়ে বর্তমানে পলাতক থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।


আরো সংবাদ



premium cement