১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`
বকেয়া বেতন পরিশোধের আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার শ্রমিকদের

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ৪ ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক

গাজীপুরে চার ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে গার্মেন্ট শ্রমিকরা - ছবি : নয়া দিগন্ত

বকেয়া বেতনের আশ্বাস পেয়ে প্রায় চার ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে নিয়েছে শ্রমিকরা। এর ফলে দুপুর সাড়ে ১২টার পর থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচল শুরু হয়। এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ শান্ত এবং যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

এর আগে আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে টঙ্গীর শালিকচূড়া এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে স্থানীয় খাঁ পাড়া রোডের সিজন ড্রেস লিমিটেড পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। তাদের দাবি, সেপ্টেম্বর মাস অর্ধেক পার হয়ে গেলেও এখনো জুলাই ও আগস্ট মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ করেনি কারখানা কর্তৃপক্ষ।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর এক মাসের বকেয় বকেয়া বেতন পরিশোধের কথা থাকলেও ওই দিন এবং এ পর্যন্ত কারখানা কর্তৃপক্ষের কোনো হদিস নেই। ফলে তারা বকেয়া বেতনের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে।

কারখানার শ্রমিক মনোয়ারা জানান, ইতোপূর্বে আন্দোলন করে তারা গত জুন মাসের বকেয়া বেতন আদায় করলেও এখনো জুলাই ও আগস্ট মাসের বেতন বকেয়া, সেপ্টেম্বর মাসও অর্ধেক পার হয়ে গেছে। গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে থেকে ওভারটাইমের টাকাও এখনো পরিশোধ করেনি কারখানা কর্তৃপক্ষ।

এদিকে, প্রায় দেড় হাজার শ্রমিকের বকেয়া বেতনের জন্য মহাসড়ক অবরোধ করে হাজার হাজার মানুষকে প্রায় চার ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখা আন্দোলনের নামে অরাজকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা বলে স্থানীয়রা মনে করছেন। এর আন্দোলনে সিজন ড্রেস কারখানা ছাড়া অন্য কোনো কারখানার শ্রমিকরা অংশ নেয়নি। বরং এসময় আশপাশের সব কারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম ছিল স্বাভাবিক।

সিজন ড্রেস কারখানার শ্রমিকদের আহ্বানে পাশের শাহাদাত প্লাজায় অবস্থিত মার্চ স্টিকস লি: কারখানার শ্রমিকরা কোনো সাড়া না দেয়ায় তারা এ কারখানার গেট ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা চালায়। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ ও সেনা সদস্যদের মধ্যস্থতায় বকেয়া বেতন পরিশোধের আশ্বাস পেলে শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেয়।

বিকেলে এ রিপোর্ট পাঠানোর সময় কারখানা মালিকপক্ষের সাথে শ্রমিকদের সমঝোতা বৈঠক চলছিল।

শিল্প পুলিশের (গাজীপুর-২) সহকারী পুলিশ সুপার মোশাররফ হোসেন জানান, বকেয়া বেতনের দিনক্ষণ নির্ধারণের জন্য কারখানা কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা হচ্ছে। পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে।


আরো সংবাদ



premium cement