১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

সখীপুরে ইমামকে রাজকীয় বিদায়

সখীপুরে ইমামকে রাজকীয় বিদায় - ছবি : নয়া দিগন্ত

টাঙ্গাইলের সখীপুরে মসজিদের এক ইমামকে রাজকীয় বিদায় দিয়েছে মুসল্লীরা। এ সময় ওই ইমামকে টাকার মালা ও বিভিন্ন ধরনের উপহারসামগ্রী দেয়া হয়।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজ শেষে উপজেলার কচুয়া ভাতকুড়া পাড়া হযরত বেলাল রা: জামে মসজিদের ইমামকে এ সংবর্ধনা দেয়া হয়।

ওই ইমামের নাম হাফেজ মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম। বাড়ি কচুয়া উত্তর কামান্না পাড়া। তিনি ২০০৭ সাল থেকে মাত্র এক হাজার ৭০০ টাকা বেতনে ইমামতি শুরু করেন এবং টানা ১৭ বছর ওই মসজিদেই ইমাম ও খতিবের দায়িত্ব পালন করেন। তার সর্বশেষ মাসিক বেতন ছিল নয় হাজার টাকা।

ইমাম হাফেজ শহিদুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন আমি এই মসজিদ মাদরাসার সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম। আল্লাহ তায়ালা কখন কাকে কোথায় রাখেন সেটি আল্লাহই জানেন। আমার বাড়ি যেহেতু এখানেই, আমি এখান থেকে যাওয়ার পরও এই মসজিদের মুসল্লীদের সাথে দেখা হবে তবে সেটি আজকের দিনের মত হবে না। এ সময় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। অনেক মুসল্লীকেও অশ্রুসিক্ত দেখা যায়।

ইমাম আরো বলেন, আমি ছাত্র জীবন থেকে মসজিদের খেদমতের সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম।

মুসল্লীরা কাগজে মোড়ানো বিভিন্ন ধরনের উপহারসামগ্রী দিয়ে মোটরসাইকেল শোডাউন দিয়ে ইমাম হাফেজ শহিদুল ইসলামকে তার বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দিয়ে আসেন।

ওই ইমাম টিনের মসজিদ ও মাটির মেঝে থেকে বিল্ডিংয়ে মসজিদ নির্মাণে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। এ ছাড়াও পানির পাম্প, জামিয়া আরাবিয়া মুছলেহা বশির মাদানি নেসাব ও নুরানি ক্যাডেট নামে সামাজিক মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন।

ওই মসজিদের সভাপতি এবং সখীপুর রুপা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী বশির আহমেদ বলেন, কোনো অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা ইমামকে বিদায় দিচ্ছি না। বরং আমাদের মাদরাসায় শিক্ষক দরকার, একসাথে যেহেতু দুইজনকে রাখার সামর্থ্য আমাদের নেই তাই আমাদের ইমাম হাফেজ শহিদুল ইসলামের পরামর্শেই আমরা তাকে বিদায় দিচ্ছি। তিনি আমাদের মাদরাসার উপদেষ্টা হিসাবে থাকবেন।


আরো সংবাদ



premium cement