সাটুরিয়ায় এখন বিদ্যুৎ যায় না, মাঝে মধ্যে আসে!
- এ এস সফিক, সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ)
- ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৪৩
তাঁত কারখানার মালিক মো: হালাল মিয়া। তার কারখানায় কাজ করেন ২৫ জন কর্মী। কেউ তাঁতে শাড়ী বুনেন। আবার কেউ সুতা কাটেন। সবার কাজের ধরন আলাদা হলেও তারা সবাই বিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীল। তীব্র লোডশেডিংয়ের কারণে ব্যহত হচ্ছে তাঁত ব্যবসার স্বাভাবিক কার্যক্রম।
এদিকে, প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে মানিকগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন সাটুরিয়ায় লোডশেডিংয়ের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন এই অঞ্চলের গ্রাহকেরা। দিনে বিদ্যুৎ আসার কিছুক্ষণ পরই আবার চলে যায়, দীর্ঘক্ষণ পর আসে। শুধু দিনেই নয়, রাতেও একই অবস্থা চলছে।
গ্রাহকদের অভিযোগ, দিনের বেলায় যেমন রোদ তেমনি ভ্যাপসা গরম। এর মধ্যে ঘন ঘন বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় যে লোডশেডিং শুরু হয়েছে। বয়স্ক ও শিশুদের বেশি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে ছেলে মেয়েরা ঠিকমতো লেখাপড়া করতে পারছে না।
অন্যদিকে লোডশেডিংয়ের কারণে শুধু বসত বাড়িতে নয়, অফিস-আদালতেও সমস্যা দেখা দিয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অফিস, ব্যাংক-বীমা, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দফতরে বিদ্যুৎ ছাড়া কাজ করা একেবারেই অসম্ভব হয়ে পড়ে। বারবার বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় দীর্ঘ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সেবাগ্রহীতাদের। এছাড়াও কলকারখানার উৎপাদন বিঘ্নিত হচ্ছে।
স্থানীয় লাইনম্যান আব্দুল মান্নান নয়া দিগন্তকে বলেন, এক ঘণ্টা পরপর দুই ঘণ্টা লোডশেডিং দেয়ার নির্দেশনা পেয়েছি। আমরা সেই অনুযায়ী লোডশেডিং দিচ্ছি।
মানিকগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সাটুরিয়া জোনাল অফিসের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) সফিকুল ইসলাম সফিক নয়া দিগন্তকে বলেন, ‘চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ সরবরাহ কম থাকায় লোডশেডিং বেশি হচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা যতটুকু বিদ্যুৎ পাই ততটুকুই সাপ্লাই দিয়ে থাকি।’