১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১, ১৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

মুন্সীগঞ্জে স্বামী হত্যার দায়ে স্ত্রীসহ ৪ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

মুন্সীগঞ্জে স্বামী হত্যার দায়ে স্ত্রীসহ ৪ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড - ছবি : নয়া দিগন্ত

মুন্সীগঞ্জে স্বামী হত্যার দায়ে স্ত্রী রেশমা বেগমকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছে আদালত। এছাড়া এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের রায়।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক খালেদা ইয়াসমিন ঊর্মি এ রায় ঘোষণা করেন।

আসামি রেশমা বেগম মুন্সীগঞ্জের সদর উপজেলার পাঁচ ঘরিয়াকান্দি গ্রামের হোসেন সরকারের মেয়ে ও মরহুম মোশারফ হোসেনের স্ত্রী।

জানা যায়, আসামি মো: ফারুক মিয়া, মো: বেলায়েত হোসেন ও নাসির উদ্দিন মিঠুকে দোষী সাব্যস্ত করে তাদের প্রত্যেককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডসহ (আমৃত্যু) এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের রায়। আসামিরা জামিনে যাওয়ার পর সকলেই পলাতক রয়েছে।

অপর আসামিরা হলেন ফারুক মিয়া নারায়ণগঞ্জের শিদ্ধিরগঞ্জ থানার মিজিমিজি চৌধুরীপাড়ার মরহুম মনুমিয়ার ছেলে, নাছির উদ্দিন মিঠু কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার বন্ধনপুর এলাকার বদুরুজ্জামানের ছেলে ও আসামি বেলায়েত হোসেন ঢাকার উত্তর যাত্রাবাড়ী এলাকার মরহুম আমির হোসেনের ছেলে।

মামলা সুত্রে জানা গেছে, ভিকটিম মরহুম মোশারফ হোসেন দীর্ঘদিন ধরে গ্রিসে ব্যবসা করেন। মাঝে মাঝে দেশে আসেন। ২০১০ সালের ৯ আগস্ট মোশারফ বাংলাদেশে আসে। ১০ আগস্ট সে মুন্সীগঞ্জের সদরের পাঁচঘরিয়াকান্দি তার শ্বশুর বাড়িতে আসেন। কাজ শেষ করে বিকেল ৬টার দিকে মোশারফ ঢাকার উদ্দেশে তার শ্বশুর বাড়ি হতে বের হয়। মুন্সীগঞ্জের সদরের লিচুতলা বাসট্যান্ড সিমান্ত পরিবহনের কাউন্টারের সামনে এলে অজ্ঞাতনামা চারজন ব্যক্তি দুইটি মোটরসাইকেলযোগে এসে মোশারফ হোসেনকে লক্ষ করে গুলি করে। এ সময় সে মাটিতে লুটিয়ে পরে।

মামলায় আরো উল্লেখ করা হয়েছে, মোশারফের দুই সন্তান। তিনি গ্রিসে থাকা অবস্থায় রেশমা বেগম আসামি বেলায়েত হোসেনের সাথে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকেন। রেশমা ও বেলায়েত ভাড়াটিয়া খুনিদের মাধ্যমে মোশারফ হোসেনকে হত্যা করেন।

এ ঘটনায় উত্তর যাত্রাবাড়ি এলাকার মরহুম আমির হোসেনের স্ত্রী মোশারফের মা হাজেরা বেগম ২০১০ সালের ১১ আগস্ট মুন্সীগঞ্জ থানায় ছেলে হত্যার দায়ে মামলা করেন। মামলা হওয়ার পর পুলিশ বিভিন্ন কৌশলে সকল আসামিদের গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেন। এ সময় আসামি বেলায়েত ও ফারুক মিয়া হত্যার বিষয়ে স্বিকার করে আদালতে স্বিকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন। দীর্ঘ ১৪ বছর মামলা চলাকলিন সময়ে ২৫ জন সাক্ষীর জেরা ও জবানবন্দির ভিত্তিতে আদালত আসামি ওই চারজনকে দোষী সাব্যস্ত করে এ রায় দেন।

বিষয়টি নিশ্চত করে ওই আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম পল্টু জানান, ২০১০ সালের ১০ আগস্ট ভিকটিম মোশারফ হোসেনকে আসামি চারজন মিলে পরিকল্পিতভাবে গুলি করে হত্যা করেছে। আসামি বেলায়েত ও ফারুক মিয়া হত্যার বিষয়ে আদালতে স্বিকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আদালতের রায় আমরা রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট।


আরো সংবাদ



premium cement
পল্লী বিদ্যুতের সংকট নিরসনে চেয়ারম্যানকে ৮০ সমিতির মহাব্যবস্থাপকদের চিঠি অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না : তারেক রহমান গুরুদাসপুরে নেশার টাকা জোগাড় করতে বৃদ্ধকে হত্যা, আটক ৩ শেখ হাসিনা কোন স্ট্যাটাসে ভারতে, জানে না অন্তর্বর্তী সরকার গফরগাঁওয়ে ধানক্ষেতে পড়ে থাকা বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বৃদ্ধের মৃত্যু ফ্যাসিজমের প্রেতাত্মারা ছাত্র-জনতার বিজয়কে ব্যর্থ করতে ষড়যন্ত্র করছে : মির্জা ফখরুল বাংলাদেশকে আরো দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি নতুন ঋণ সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক মাদরাসা-এ-গাউসুল আযম মাইজভাণ্ডারীতে জশনে জুলুছে ঈদ-এ মিলাদুন্নবী দ. পালিত জামায়াত পালায় না, তারাই দেশ থেকে পালিয়ে গেছে : রফিকুল ইসলাম খান আড়াইহাজারে ২১ রাউণ্ড রিভলভারের গুলি উদ্ধার আমাদের কথা শুনলে শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে হতো না : হাবিব উন নবী খান

সকল