১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪ মাঘ ১৪৩১, ১৭ রজব ১৪৪৬
`

কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বসতবাড়ি ভাঙচুর-লুটের ঘটনা ঘটেনি

কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বসতবাড়ি ভাঙচুর-লুটের ঘটনা ঘটেনি - ছবি : নয়া দিগন্ত

প্রখ্যাত কবি ও উপন্যাসিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের পৈতৃক জন্মভিটা মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার কাঁজী বাকাই এলাকার মাইজপাড়া গ্রামের বসতবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেনি বলে সরেজমিনে পরিদর্শন করে এতথ্য জানিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাশের নেতৃত্বে একটি টিম সরেজমিন ঘুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এ সময় তার সাথে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি, থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি দল উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হয় যে উপজেলা বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক সোহেল হাওলাদার প্রখ্যাত কবি ও ঔপন্যাসিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বসতবাড়ি দখল, ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এ সংবাদ প্রকাশের পরপরই বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ নিয়ে উপজেলা প্রশাসন চরম বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরেন। পরে মঙ্গলবার দুপুরে ওই ঘটনা তদন্তের জন্য সরেজমিন পরিদর্শন করেন ইউএনও। পরিদর্শন শেষে ওই ঘটনার সত্যতা না পেয়ে ক্ষুদ্ধ হন ইউএনও। তবে ওই সংবাদ প্রকাশের পর থেকেই আতঙ্কে অভিযুক্ত সোহেল হাওলাদার আত্মগোপন করেন।

অভিযুক্ত সোহেল হাওলাদারের ভাই ইউপি সদস্য ওয়াশিম হাওলাদার জানান, কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বসতবাড়ি দখল, ভাঙচুর বা লুটপাটের কোনো চিহ্ন পাননি ইউএনওসহ সকল প্রশাসনের লোকজন। আমার ভাই সোহেল কবির ঘরের বারান্দায় বসে ওএমএসসের কিছু চাল বিতরণ কার্যক্রম করেছিল। তাতে কিছু কুচক্রী মহল অপপ্রচার ছড়িয়েছে যে আমার ভাই ওই ঘর দখলে নিয়েছে। তবে কবির বাড়ির জমি নিয়ে ঝামেলা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। এর সূত্র ধরে একটি কুচক্রী মহল সংবাদ কর্মীদের ভুল তথ্য দিয়ে এই সংবাদ প্রকাশ করিয়ে অপপ্রচার করা হয়েছে আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে। আমি তিব্র নিন্দা জানাই।

প্রতিবেশী ছালমা বেগম জানান, কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বসতবাড়ি জমি নিয়ে আমার সাথে বিরোধ চলে আসছে। ওই বাড়ির মধ্য আমার পৈত্রিক অনেক জমি রয়েছে। আমাদের জমি আমরা বুঝে পাইনি। এই জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সোহেলকে জরিয়ে এই অপপ্রচার করা হয়েছে।

ডাসা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম শফিকুল ইসলাম জানান, কবির বাড়ি নিয়ে সংবাদ প্রচারের পর মূল ঘটনা জানার জন্য পুলিশ পাঠিয়েছি।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাশ জানান, আমি কবির বাড়ি নিয়ে সংবাদ দেখে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সেখানে তেমন কোনো আসবাপত্র, বাড়ি ভাঙচুর বা লুটের আলামত পাওয়া যায়নি। তার ঘরের ভেতরে একটি ভাঙা পুরানো খাট পড়ে আছ। কিছু বই আমরা আগেই সংরক্ষণ করে রেখে দিয়েছি। তবে এক ব্যক্তি ওএমএসের চাল রাখার মাধ্যমে দখল চেষ্টা করেছিল। এখনো কবির ঘরটি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছি। দখলের কোনো বিষয় নেই। সম্পূর্ণ আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। গরের চাবিটা আমাদের কাছে গচ্ছিত আছে।


আরো সংবাদ



premium cement
ঝিনাইদহে নিখোঁজের ৭ দিন পর সেপটিক ট্যাংক থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার মুলতানে স্পিনারদের দাপট, চালকের আসনে পাকিস্তান ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪০ ঋণখেলাপিদের আগামী নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন দেয়া হবে না : মির্জা ফখরুল জুলাই বিপ্লবে আহতদের চিকিৎসায় ১৫০ কোটি টাকা অনুদান আড়াইহাজারে একজনকে পিটিয়ে হত্যা গাজার নিয়ন্ত্রণ নিতে চায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এক বছরে ৩১০ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা : জরিপ ইবিতে স্বৈরাচারের সাথে সম্পর্কিত স্থাপনার নাম পরিবর্তনের আহ্বান প্রেস সচিবের ওষুধের ওপর আরোপিত ভ্যাট কমানো হবে : সিলেটে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশ বাস্তবায়ন কতটা চ্যালেঞ্জের হবে

সকল