সদরঘাটে হকার্স দলের দুই গ্রুপের মারামারি, আটক পাঁচ
- জবি সংবাদদাতা
- ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৪০
রাজধানীর পুরান ঢাকার সদরঘাট এলাকায় ফুটপাত দখলকে কেন্দ্র করে হকার্স দলের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় মারামারি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানা পুলিশ পাঁচজনকে আটক করেছে।
সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে পলাশ (৩২), রিয়াজ (৩০), রাজু (৩২), কাজল, রতন শামিমসহ ১৫ থেকে ২০ জন আহত হয়।
সূত্রে জানা গেছে, ফুটপাতে দোকান দেয়াকে কেন্দ্র করে গত কয়েক দিন যাবৎ স্থানীয় হকার্স দলের নেতা দেলোয়ার ও আনিছুর রহমানের মধ্যকার বিরোধের জের ধরে গতকাল দুই গ্রুপের মধ্যে হামলা, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ হামলায় দেলোয়ারের সাথে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা পরিচয় দেয়া কিরণ, যুবদল পরিচয়ে সজল, আক্তারসহ ৮০ জনের বেশি নেতাকর্মী অংশ নেয়।
হামলায় আহত আনিছুর রহমান বলেন, কিছু দিন যাবৎ দেলোয়ারের নেতৃত্বে একদল আমাদের ওপর হামলা চালানোর হুমকি দিয়ে আসছে। তারা আমাদের দোকান উঠিয়ে দিয়ে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে নতুন দোকান বসানোর চেষ্টা করে। আমি তার বাধা দিলে আমার ওপর হঠাৎ হামলা করে। পরে আমার পাশে থাকা হকারেরা এলে তাদেরকেও মারধর করে দেলোয়ার গ্রুপ।
এ ঘটনায় বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী বলেন, এই আনিছুর রহমান আগে আমাদের সাথে হকার্স ইউনিয়ন করতো। পরে গত কিছু দিন আগে ‘হকার্স দল’ নামে একটি দলের সাথে যুক্ত হয়ে চাঁদাবাজি ও দখলদারির সাথে নিজেকে নিয়োজিত করেছে। আবার ওদিকে দেলোয়ারও এই দখলদারত্বি ও চাঁদাবাজির সাথে নিয়োজিত। গত কয়েক দিন যাবৎ এদের মধ্যে বিরোধ চলছে। আনিস হকার্স ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকও ছিল। তবে সেখানে চাঁদাবাজি করতে না পারায় হকার্স দলে যুক্ত হয়েছে। তাদের নিজের আধিপত্যের বলি হয়েছে আমাদের কয়েকজন হকার। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
কোতোয়ালি থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হল বলেন, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমরা আনিসসহ পাঁচজনকে আটক করেছি। বাকিদের আটকের চেষ্টা চলছে। বর্তমানে পুরো সদরঘাট এলাকা আমাদের নিয়ন্ত্রণে। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।