১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫ মাঘ ১৪৩১, ১৮ রজব ১৪৪৬
`

আশুলিয়ায় সকালে অধিকাংশ কারখানা খোলা, দুপুরে বন্ধ ৩০টি

বন্ধ রাখা একটি ফ্যাক্টরি - ছবি : নয়া দিগন্ত

শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় নানা দাবিতে টানা কয়েকদিন ধরে চলা শ্রমিক অসন্তোষ চলমান থাকলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তা জোরদারের মাধ্যমে অধিকাংশ তৈরি পোশাক কারখানায় উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে ৭ থেকে ৮টি কারখানায় উৎপাদন বন্ধ থাকলেও দুপুরে শ্রমিক অসন্তোষের কারণে অন্তত ৩০টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

এদিকে, পোশাক শিল্পকে অস্থিতিশীল করতে সন্দেহভাজন আরো চারজনকে আটকের কথা নিশ্চিত করেছে পুলিশ। শিল্পাঞ্চলে বিশৃঙ্খলা এড়াতে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব ও শিল্প পুলিশের সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। এছাড়াও কিছু কিছু পোশাক কারখানার মূল ফটকের সামনে কারখানার নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পাহাড়া বসিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

রোববার দুপুরে শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম কারখানায় ছুটি ঘোষণার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

শিল্প পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সকাল ১১টা পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বভাবিক থাকলেও নিউএইজ, নাসা, অনন্ত, আল মুসলিমসহ কয়েকটি পোশাক কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে অন্যান্য কারখানাগুলোর মধ্যেও শ্রমিকদের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি নিয়ে মালিকপক্ষ আলোচনা করলেও আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় এসব কারখানা ছুটি ঘোষণা করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।

এদিকে, সকাল থেকে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার অধিকাংশ পোশাক কারখানা খুললেও ইয়াগি বাংলাদেশ, নিউ এইজ, আল মুসলিম, জেনারেশন নেক্সট, হামীম গ্রুপসহ অন্তত ৩০টি কারখানার শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবি তুলে কাজ না করে কারখানা থেকে বেরিয়ে যায়। কারখানার অভ্যন্তরে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে লুসাকা, মাসকাট, বেক্সিমকো নিট কম্পোজিটসহ অন্তত সাতটি গ্রুপ কারখানার শ্রমিকরা। তবে বিক্ষোভের কারণে আজও বন্ধ ছিল ৫/৬টি কারখানা।

শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বলেন, সকাল থেকেই আজ শিল্পাঞ্চলের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে কিছু কারখানায় অভ্যন্তরীণ সমস্যা ম্যানেজমেন্ট সমাধান করতে না পারায় এসব কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। অন্তত ৩০টি কারখানায় ছুটি ঘোষণার তথ্য পাওয়া গেছে বলেও জানান তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement