১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৯ ভাদ্র ১৪৩১, ৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

কালীগঞ্জে সাবেক প্রতিমন্ত্রী চুমকিসহ আ’লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৩ মামলা

সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি - সংগৃহীত

গাজীপুরের কালীগঞ্জে মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, উপজেলা পরিষদের সাবেক দুই চেয়ারম্যান, পৌরসভার সাবেক মেয়র, জেলা পরিষদের সদস্য ও চার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ১১৪ নেতাকর্মীকে আসামী করে পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাতাব উদ্দিন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে, বুধবার হত্যা, মারধর ও চুরিসহ বিভিন্ন অভিযোগে এই তিনটি মামলা দায়ের করা হয়।

মামলায় অন্য আসামিরা হলেন কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সদ্য সাবেক আমজাদ হোসেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা মাজেদুল ইসলাম, জেলা পরিষদের সদস্য দেলোয়ার হোসেন, সাবেক সদস্য সফিকুল কাদের, বাহাদুরসাদী ইউপির চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন আহমেদ, জামালপুর ইউপির চেয়ারম্যান খাইরুল আলম, নাগরী ইউপির চেয়ারম্যান অলিউল ইসলাম ও সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজ মোড়ল, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আহমেদুল কবির ও সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম, তুমুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রহমান, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন, কাউন্সিলর আমির হোসেন খাঁ, আশরাফুল আলম, বাদল হোসেনসহ আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে উপজেলার বালিগাঁও বাইপাস সড়কে মিছিল করার সময় মেহের আফরোজ চুমকির হুকুমে আসামিরা ইসমাইল হোসেনকে মারধর করে গুরুতর জখম করেন। ইসমাইল উপজেলার উত্তরগাঁও এলাকার বাসিন্দা।

ওই ঘটনায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকিসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের ৬৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৩৫ থেকে ৪০ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন ইসমাইল হোসেন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যার উদ্দেশ্যে হুকুম প্রদান, মারধর, গুরুতর জখম ও হুমকির অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

একইদিন মেহের আফরোজ চুমকিসহ আওয়ামী লীগের ৪০ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান শেখ। মামলায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর, গুরুতর জখম করে লাশ গুমের অভিযোগ উল্লেখ করা হয়।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১১ সালের ৬ মে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ঢাকায় যুবদলের সম্মেলনে যাওয়ার সময় মেহের আফরোজ চুমকির নির্দেশে তাদের মারধর করেন আসামিরা। ওইদিন বিকল্প পথে শীতলক্ষ্যা নদী দিয়ে ট্রলারে সম্মেলনে যাওয়ার চেষ্টা করলে দুপুর ২টার দিকে কালীগঞ্জ খেয়াঘাট এলাকায় পৌঁছালে আসামিরা বিভিন্ন ধারাল অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাদের ট্রলারের গতিরোধ করে হামলা করেন। হামলায় ট্রলারে থাকা বিএনপির দুই কর্মী জমির ও নাঈম নদীতে পড়ে নিখোঁজ এবং প্রায় ৪০ নেতাকর্মী রক্তাক্ত জখম হন। পর দিন ৭ মে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল কালীগঞ্জ খেয়াঘাটের দক্ষিণ পাশ থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে। ওই সময় আসামিদের বাধার কারণে অভিযোগ গ্রহণ করা হয়নি।

এছাড়া কাউন্সিলর যুবলীগ সভাপতি বাদল হোসেন ও তার ভাই এনামুল হক, আলম ভূঁইয়াসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত পাঁচজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন উপজেলার বাদিগাঁও গ্রামের বাসিন্দা শরিফ মিয়া। আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করে গুরুতর জখম ও হুমকি দেয়ার অভিযোগ করা হয়।


আরো সংবাদ



premium cement
ভারতে এবার ৭ বছরের মুসলিম ছাত্রের টিফিন নিয়ে বিতর্ক বঙ্গোপসাগর হয়ে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে রোহিঙ্গারা সিলেটে গৃহকর্মী শিশুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার রাষ্ট্র সংস্কারের পর নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেবে সরকার উপদেষ্টা রিজওয়ানা শৈলকুপায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ভ্যানচালকের মৃত্যু তাইম হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ বেসরকারি ব্যাংক থেকে জনগণের টাকা ফেরত পেতে উদ্যোগ আমতলীতে ছাত্রলীগ নেতার অস্ত্রের আঘাতে যুবদল নেতা জখম সামিটের এলএনজি টার্মিনালের মেরামত সম্পন্ন, পরিষেবা পেতে লাগবে ২০ দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু ২২ সেপ্টেম্বর খাদ্যনিরাপত্তা নিয়ে বড় চ্যালেঞ্জের আশঙ্কা

সকল