১৮ অক্টোবর ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩০, ১৪ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

গাজীপুরে ৩৩ মামলায় আসামি ২২ সহস্রাধিক , গ্রেফতার ১৭৭

গাজীপুরে ৩৩ মামলায় আসামি ২২ সহস্রাধিক , গ্রেফতার ১৭৭ - প্রতীকী ছবি

গাজীপুরে সহিংসতার অভিযোগে মহানগরীর বিভিন্ন থানায় এ পর্যন্ত ৩৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় এজাহার নামীয় আসামি ৬৭৯ জন এবং অজ্ঞাত আরো ২১ হাজার ৭৭০ জন। মামলায় মোট ১৭৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে জামায়াত-শিবির ও বিএনপির নেতাকর্মীর সংখ্যাই বেশি।

বৃহস্পতিবার গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মাহবুব আলম জানান, কোটা সংস্কার-সংক্রান্ত কোনো মামলা রুজু হয়নি। গত ১২ জুলাই থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত সহিংসতার ঘটনায় মহানগরীর আটটি থানার মধ্যে সদর মেট্রো থানায় পাঁচটি, বাসন থানায় ছয়টি, কোনাবাড়িতে সাতটি, কাশিমপুরে একটি, গাছায় চারটি, পুবাইলে একটি, টঙ্গী পূর্ব থানায় দু’টি ও টঙ্গী পশ্চিম থানায় সাতটি মামলা দায়ের করা হয়।

তিনি আরো জানান, সহিংসতায় জামায়াত, শিবির ও বিএনপির নেতাকর্মীরা জড়িত থাকার প্রমাণ পুলিশের হাতে রয়েছে। সহিংসতা চলাকালে বিভিন্ন এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। যারা নাশকতার সাথে যুক্ত তাদের ছবি দেখে দেখে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

তিনি বলেন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনায় দেখা গেছে যারা নাশকতায় যুক্ত ছিলেন এদের বেশিভাগই অন্য এলাকা থেকে এসে তাণ্ডব চালিয়েছেন। এসব সহিংসতার সাথে যারাই জড়িত থাকুক তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।

তিনি আরো বলেন, গাজীপুরে যারা নাশকতা করেছে কারফিউর আগে তারাই ঢাকা ও উত্তরার বিভিন্ন স্থানে তাণ্ডব চালিয়েছে। কারফিউ ঘোষণার পর তারা ঢাকা ছেড়ে পার্শ্ববর্তী গাজীপুরে তামিরুল মিল্লাত মাদরাসাসহ বিভিন্ন স্থানে এসে আশ্রয় নিয়ে পরিকল্পিতভাবে সহিংসতা চালায়। হামলায় গাজীপুর মহানগর পুলিশের ৪৬ জন সদস্য আহত হয়েছে। তারা পুলিশের আটটি পুলিশ বক্স ভাঙচুর করে ও আগুনে পুড়িয়ে দেয়। এতে প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
মামলায় যেন কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি হয়রানির শিকার না হয় সে জন্য পুলিশকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।


আরো সংবাদ



premium cement