কোটা সংস্কার আন্দোলন : ফরিদপুরে ২ সমন্বয়কসহ গ্রেফতার ৬৭
- ফরিদপুর প্রতিনিধি
- ২৫ জুলাই ২০২৪, ১৮:৪৬
ফরিদপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে চারটি সহিংসতার ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) পর্যন্ত ৫২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর বাইরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে গত কয়েক দিনে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আরো ১৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সবমিলিয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে এ পর্যন্ত সর্বমোট ৬৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরমধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে গ্রেফতার করা হয় দু’জনকে।
গ্রেফতার ব্যক্তিদের বেশির ভাগই বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী বলে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, কোটাবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে সহিংসতায় ফরিদপুরের সদরপুর থানায় দুটি এবং ভাঙ্গা ও কোতয়ালী থানায় একটি করে মামলা রুজু করা হয়েছে। এর মধ্যে সদরপুর সরকারি কলেজ এলাকায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা নিয়ে গত ১৮ জুলাই দায়ের করা মামলার বাদি ওই থানার এসআই মো: তানভীর। এ মামলায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ‘আরো অনেককে’ আসামি করা হয়েছে।
সদরপুর থানায় দ্বিতীয় মামলাটি হয় গত ২০ জুলাই। উপজেলার কৃষ্ণপুর বাজার এলাকায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দায়েরকৃত এ মামলার বাদি এসআই মো: রিপন। এ মামলায় সাতজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো অনেককে আসামি করা হয়েছে।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা রুজু করা হয়। থানা সূত্রে জানা গেছে, ১৭ জুলাই জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এসআই শ্রীবাস চক্রবর্ত্তী বাদি হয়ে তিনজনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো অনেককে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন কোতোয়ালি থানায়।
এছাড়া ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের সুয়াদী এলাকায় মহাসড়কে আগুন দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার অভিযোগে ভাঙ্গা থানায় মামলা হয়েছে গত ২০ জুলাই। এ মামলার বাদি এসআই মোশাররফ হোসেন। এ মামলায় ৪৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
জানা গেছে, ফরিদপুরের কোতয়ালী থানায় দায়ের করা মামলায় বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে ২১ জনকে। এর মধ্যে রয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফরিদপুরের দুই সমন্বয়ক শাহ মো: আরাফাত ও জনি বিশ্বাস। এছাড়া বাকিদের বেশির ভাগই বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী।
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদপুর কোতয়ালী থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহবুবুল করিম বলেন, গ্রেফতার হওয়া আরাফত ও জনি ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের শিক্ষার্থী। তবে মামলায় অন্যদের মধ্যে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক তানজিমুল হাসান হাসান, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী শিবলী রয়েছেন।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) শৈলেন চাকমা (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরে সহিংসতা, পুলিশের ওপর হামলা ও কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগে জেলার ভাঙ্গায় একটি, সদরপুরে দুটি ও কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলা ছাড়াও আরো কয়েকটি মামলায় এ পর্যন্ত ৬৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া এসব ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের খুঁজে আইনের আওতায় আনতে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা