০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ২ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

উপজেলা চেয়ারম্যান হতে চেয়েছিলেন প্রশ্নফাঁসে অভিযুক্ত সেই আবেদ আলী

আবেদ আলী - ছবি : নয়া দিগন্ত

বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) প্রশ্নফাঁসে অভিযুক্ত পিএসসির চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক আবেদ আলী জীবন ডাসার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হতে চেয়েছিলেন। ওই উদ্দেশ্যে প্রচারণাও চালিয়েছিলেন তিনি।

অভিযুক্ত আবেদ আলী মাদারীপুর ডাসার উপজেলার পশ্চিম বোতলা গ্রামের মরহুম আব্দুর রকমান মীরের ছেলে। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে আবেদ আলী মেজো।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, আবেদ আলী এলাকায় নিজেকে শিল্পপতি হিসেবে পরিচয় দিতেন। কেউ জানতো না যে তিনি ড্রাইভারের চাকরি করেন। বরং ঢাকায় রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা করতেন বলেও এলাকায় তার প্রসিদ্ধি রয়েছে। সম্প্রতি এলাকায় ব্যাপক দান-খয়রাতের মাধ্যমে মানুষের দৃষ্টিও আকর্ষণ করেন।

জানা গেছে, সৈয়দ আবেদ আলী আট বছর বয়সে জীবিকার তাগিদে ঢাকায় পাড়ি জমান। সেখানে কুলির কাজ করেতেন তিনি। এ অবস্থান থেকে তার উত্থান নিয়ে ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়াম সম্প্রতি একটি সমাবেশের বক্তব্য প্রণিধানযোগ্য। তিনি বাবার উত্থানের গল্প বলতে গিয়ে বলেন, আমার বাবা একদম ছোট থেকে বড় হয়েছে। আমার বাবার বয়স যখন আট বছর, তখন পেটের দায়ে ঢাকায় চলে গেছেন। ঢাকায় গিয়ে কুলিগিরি করে ৫০ টাকা রুজি দিয়ে তার ব্যবসা শুরু করেন। এখন তিনি একটি লিমিটেড কোম্পানির মালিক।’

স্থানীয়রা জানান, ঢাকায় আবেদ আলীর একাধিক বাড়ি রয়েছে। পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় রয়েছে থ্রি স্টার হোটেল।

সামান্য একজন ড্রাইভার থেকে হঠাৎ করে এমন বিত্ত-বৈভবের মালিক বনে যাওয়ায় তার সম্পর্কে জানার কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে সাধারণ মানুষের মাঝে।

সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমে উঠে আসে ভয়ংকর তথ্য। প্রায় এক যুগ আগ থেকে পিএসসির প্রশপত্র ফাঁস চক্রের সাথে জড়িত এই আবেদ আলী। এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তখন ধীরে ধীরে মানুষ জানতে পারে যে তিনি ছিলেন পিএসসির চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক।

একটি বেসরকারি টেলিভিশনের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে বিসিএসসহ ৩০টি নিয়াগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের তথ্য। পিএসসির ছয় কর্মকর্তা-কর্মচারীর একটি সিন্ডিকট দীর্ঘদিন ধরে প্রশ্নফাঁসের সাথে জড়িত বলে প্রতিবেদনে উল্লখ করা হয়। ওই অভিযুক্ত কর্মচারীদের তালিকায় নাম এসেছে আবেদ আলীর।

এসব বিষয়ে কথা বলতে যোগাযোগ করা হয় আবেদ আলীর ব্যবহৃত নম্বর ও তার ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়ামের নম্বরে। তবে একাধিক বার ফোন দিলেও তাদেরকে ফোনে পাওয়া যায়নি। তাদের গ্রামের বাড়িটিও তালাবদ্ধ।

এ ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশনের মাদারীপুর সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আতিকুর রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে কেউ অভিযাগ দিলে আমরা প্রধান কার্যালয়ের সাথে যোগাযোগ করে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করব।

 


আরো সংবাদ



premium cement