০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ২ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

মুন্সীগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা

নিহত সুমন হালদার - ছবি : নয়া দিগন্ত

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার আলহাজ্ব ওয়াহেদ আলি দেওয়ান উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানকে প্রকাশ্যে দিবালোকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

রোববার (৭ জুন) দুপুর দেড়টার দিকে পাঁচগাঁও আলহাজ্ব ওয়াহেদ আলী দেওয়ান উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সুমন হালদার টঙ্গীবাড়ী উপজেলার পাঁচগাও ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ছিলেন।

জানা গেছে, রোববার সকাল থেকে ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে নির্বাচন চলছিল। দুপুর ১টার দিকে ওই নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে সভাপতি পদে আমির হোসেন দেওয়ান নয় ভোটে পেয়ে বিজয়ী হন। আর পরাজিত প্রার্থী মিলনুর রহমান হালদার পান মাত্র দুই ভোট। পরাজিত প্রার্থী মিলন হালদারের সমর্থক নুর মোহাম্মদ হালদার নির্বাচনে পরাজয়ের জন্য ইউপি চেয়ারম্যান সুমন হালদারকে দায়ী করে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এ সময় সুমন হালদার গালিগালাজ করতে নিষেধ করায় নূর মোহাম্মদ হালদার তাকে প্রত্যক্ষ দিবালোকে বুকে গুলি চালায় এবং এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে টঙ্গিবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

আরো জানা গেছে, ঘটনার পর নূর মোহাম্মদ ও তার ভাই ভোলা হালদার দৌড়ে পালিয়ে গেলেও ঘটনাস্থল থেকে তার সহযোগী ম্যানেজিং কমিটির পরাজিত সভাপতি প্রার্থী মিজানুর রহমান হালদার, সওদাগর হালদার, কাউসার হালদার, নূর হোসেন হালদারসহ কয়েকজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মিজানুর রহমান মোল্লা বলেন, ‘ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে ফলাফল ঘোষণার পর ওই ফলাফলে আমির হোসেন দেওয়ান বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। এতে পরাজিত প্রার্থী মিলন চেয়ারম্যানের সমর্থক নূর মোহাম্মদ হালদার এই পরাজয়ের জন্য ইউপি চেয়ারম্যান সুমন হালদারকে দায়ী করেন এবং তাকে লক্ষ্য করে গুলি করলে সে গুরুতর আহত হন। এ সময় স্থানীয় মিলন হালদার, তার ভাই সওদাগর হালদার, নূর হোসেন হালদারসহ আরো কয়েকজন নূর মোহাম্মদকে সহায়তা করেন। গুলি করে নূর মোহাম্মদ ও তার ভাই ভোলা হালদার পালিয়ে যান।’

টঙ্গীবাড়ী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোল্লা সোয়েব আলী বলেন,একটি স্কুল ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পরাজিত প্রার্থীর লোকজন নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার পরপরই ইউপি চেয়ারম্যানকে গুলি করে। পরে তাকে উদ্ধার করে টঙ্গীবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেছে।

তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। মূল অপরাধীদের গ্রেফতারের সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে।


আরো সংবাদ



premium cement