গোয়ালন্দ উপজেলা কৃষকলীগ সভাপতির মারধরে সাধারণ সম্পাদক আহত
- মেহেদুল হাসান আক্কাছ, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) থেকে
- ২৬ জুন ২০২৪, ১৪:৪৭
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক মো: শামীম মৃধাকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে একই সংগঠনের সভাপতি মো: হাবিবুর রহমান হাবিব ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে।
রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গোয়ালন্দ বাজার রেলস্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। এ দিকে, মারধরের ঘটনায় আহত শামীম গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এ ব্যাপারে আহত শামীম সোমবার সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব ও মো: লিটন সরদারসহ অজ্ঞাত আরো চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। তবে পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি।
শামীমের লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গোয়ালন্দ উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিবের বিরুদ্ধে মাদক কারবার, চাঁদাবাজিসহ নানা ধরনের অসাংগঠনিক কাজের অভিযোগ থাকায় সংগঠন থেকে তাকে বহিষ্কার করেছে। ওই বহিষ্কার আদেশে শামীমের হাত রয়েছে এমন সন্দেহের জেরে তাকে গত রোববার হাবিবুর রহমান হাবিব ও মো: লিটন সরদারসহ অজ্ঞাত আরো চার থেকে পাঁচজন সংঘবদ্ধভাবে গোয়ালন্দ বাজার রেলস্টেশনে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে বেধড়ক মারধর করে।
অভিযোগ সূত্রে আরো জানা গেছে, এ সময় তাকে লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করার পর তার গলায় থাকা ৪৮ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণের চেইন ও জিন্স প্যান্টের পকেটে থাকা নগদ সাড়ে ২৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনাও অভিযোগে উল্লেখ করেছেন।
তবে এ বিষয়ে সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিবের কাছে জানতে চাইলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, ‘শামীম তার দলীয় পদবি ব্যবহার সরকারি ঘর দেয়ার নামে টাকা আদায়, ভিজিডি কার্ড পাইয়ে দেয়া-সহ নানা ধরনের প্রলোভন দিয়ে মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়ে থাকে। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে ফেনসিডিল, ইয়াবাসহ নানা ধরনের মাদক পাচারের অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে তাকে কেউ মারধর করে থাকতে পারে।’
তাছাড়া তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হলে যেকোনো সাজা মেনে নেবেন বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রাণবন্ধু চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘কৃষকলীগের শামীম একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত করা হচ্ছে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।