১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

পদ্মায় নিখোঁজের ৪৮ ঘণ্টা পরও তুহিনের সন্ধান মেলেনি

পদ্মায় নিখোঁজের ৪৮ ঘণ্টা পরও তুহিনের সন্ধান মেলেনি - ছবি : নয়া দিগন্ত

 


রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাটে পদ্মায় নিখোঁজ হওয়ার ৪৮ ঘণ্টা পরও শিশু তুহিনের সন্ধান মেলেনি। ওদিকে মায়ের সাথে গোসল করতে এসে নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে ঈদের আনন্দের পরিবর্তে শোকের কান্না থামেনি মা-বাবা ও তাদের পরিবারের লোকজনের। ফায়ার সার্ভিস কর্মী বাহিনী ও স্থানীয়রা মিলে বার বার তল্লাশি ও নজরদারী অব্যহত থাকলেও তার খোঁজ মিলছে না।

রোববার বিকেলে মায়ের সাথে পদ্মায় গোসল করতে আসে তুহিন (৫)। মা তাকে গোসল করানোর পর নদীর পাড়ে দাড় করিয়ে কাপড় কাঁচতে নদীতে নামে। এরই একপর্যায়ে তুহিন নিখোঁজ হয়। ঈদের আগের দিন ওই শিশুটি নিখোঁজ হওয়ায় পরিবারে নেই ঈদের আনন্দ। ঈদের পরিবর্তে তাদের পরিবারে চলছে শোকের মাতম।

নিখোঁজ তুহিন প্রামাণিক ৬নং ফেরি ঘাট সংলগ্ন বাহের চর দৌলতদিয়া ছাত্তার মেম্বর পাড়ার আমিরুল প্রামানিকের ছেলে। রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে দৌলতদিয়া ৫ ও ৬নং ফেরিঘাটের মাঝে সে নদীতে নিখোঁজ হয়।

প্রথমে মা তাকে নদীর পাড়ে দেখতে না পেয়ে চিৎকার করতে থাকে আর পানিতে খুঁজতে থাকে। তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে নদীতে নেমে খোঁজাখুঁজি করে পায়নি।

পরে গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয়। দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে ওইদিন রাত ৮টা পর্যন্ত খোঁজাখুঁজি করে তাকে পায়নি। এরপর সোমবার ঈদের দিনও শিশুটিকে খোঁজ করা হয়। আজ মঙ্গলবার বিকেলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার কোনো সন্ধান মেলেনি। শিশুটির মা-বাবার ও আত্নীয় স্বজনকে ক্রান্দনরত নদীর পাড়ে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়।

এ বিষয়ে গোয়ালন্দ উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের স্টেশন অফিসার রয়েল আহমেদ জানান, ঈদের আগের দিন বিকেলে তুহিন নামে ওই শিশুটি নদীতে ডোবার খবর পাওয়ার পর থেকে উদ্ধার চেষ্টা করি। আমাদের এখানে ডুবুরি না থাকায় আরিচা ফায়ার স্টেশন থেকে ডুবুরি দল এনে একাধিকবার শিশুটিকে খোঁজ করা হলেও তার সন্ধান মেলেনি। এখন তার পরিবারের লোকজন ও আমরা তার লাশ ভেসে ওঠার অপেক্ষায় আছি।

 


আরো সংবাদ



premium cement